মেরিন সেক্টরে বিপর্যয়ঃ বছরে ২০ কোটি ডলার রেমিটেন্সের পেশায় এখন হতাশা, বেকারত্ব।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
মেরিনার। জাহাজে যাদের পেশা জাহাজে যাদের জীবন। রোমাঞ্চকর সমুদ্র জীবন, দ্রুততম সময়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানো, বিশ্ব ভ্রমন আরও অনেক কারনে তরুন প্রজন্মের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে ছিল পেশাটি। বাংলাদেশের মেরিন অফিসাররা অত্যন্ত সুনামের সাথে দেশ বিদেশের বহু কোম্পানিতে কর্মরত আছেন। দেশের রেমিটেন্সে তাদের গুরত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। প্রতি বছর দেশের উপার্জিত বৈদেশিক মুদ্রার সাথে ২০ কোটি ডলার যোগ করে বাংলাদেশের মেরিনাররা। কিন্তু এসব কিছু এখন হতে যাচ্ছে সোনালী অতীত। সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক বিশ্ব বাজার হারাচ্ছে বাংলাদেশ, যা সত্যি দুঃখজনক। এজন্য বাংলাদেশ বঞ্চিত হচ্ছে বিপুল পরিমান রেমিটেন্স থেকে, একই সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে বেকারত্ব ও হতাশা।
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমী এবং অন্য প্রাইভেট একাডেমী থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে এমনকি অফিসার সনদ পাওয়ার পর ও মাসের পর মাস চাকুরির অভাবে বেকার বসে থাকতে হচ্ছে। এর মূলে রয়েছে ভিসা জটিলতা, ব্যাঙের ছাতার মত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন, একমাত্র সরকারি একাডেমীর মানের প্রতি নজর না দিয়ে সংখ্যার প্রাধান্য দিয়ে অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্যাডেট সংখ্যা ৫/৬ গুণ বৃদ্ধি, বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে জাল সনদ তৈরি এবং ঐ সনদের মাধ্যমেই বিদেশি কোম্পানিতে নিয়োগ, নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সাথে মেরিন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্য মন্ত্রনালয়গুলোর সমন্বয়হীনতার অভাব। যেহেতু এটি সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক পেশা এবং বহির্বিশ্বে দেশের সুনাম অনেকাংশেই একজন মেরিনারের কর্মকাণ্ডের উপর নির্ভরশীল তাই এ সমস্যা গুলো যত দ্রুত সম্ভব নিরসন করা প্রয়োজন। আর দক্ষতা ভিত্তিক পেশা বলে এই পেশায় নিজ উদ্যোগে চাকুরি অর্জন করাটা বর্তমান প্রতিযোগিতা মূলক বিশ্ব বাজারে অনেক কঠিন একটি ব্যাপার।
বিভিন্ন দেশ থেকে জাহাজে যোগদানের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসার প্রয়োজন পড়ে। এই ভিসা কে বলে OK TO BOARD ভিসা।যেহেতু কোন দেশ ভ্রমন কিংবা ঐ দেশে কাজ করা মেরিনারদের উদ্দেশ্য না তাই এই বিশেষ ভিসা দেয়া হয়। কিন্তু বিভিন্ন কূটনৈতিক জটিলতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশি সমুদ্রচারীদের ভিসা প্রদান থেকে বিরত রয়েছে। এর ফলে বিশ্বের অনেক নামীদামী জাহাজ কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে তাদের জাহাজের জন্য অফিসার ও ক্রু নিতে পারছে না। এছাড়াও সিঙ্গাপুর, ভারত, চীন সহ আরও অনেক দেশের ভিসা পেতে সমুদ্রচারীদের পাড়ি দিতে হয় এক দীর্ঘ জটিল প্রক্রিয়ার যা শেষ করে জাহাজে উঠতে পারাটা অনেক কঠিন হয় এবং অনেক ক্ষেত্রেই অসম্ভব হয়ে পড়ে।
শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছে কয়েক হাজার মেরিন অফিসারের কর্মসংস্থানের সুযোগ যা আমাদের দেশের মেরিন সেক্টরের জন্য যথেষ্ট। অথচ ভিসা জটিলতার কারনে আমরা সেই দেশগুলোর শিপিং কোম্পানি গুলোতে ত যেতে পারছিই না একই সাথে অন্য যেসব কোম্পানি ঐসব দেশের সাথে বানিজ্য করে এবং ঐ দেশের বন্দর থেকে মেরিনার যোগদানের দরকার হয় তারাও ভিসা সমস্যার কারনে বাংলাদেশি সমুদ্রচারীদের নিতে পারছে না।অনেক ক্ষেত্রে এমনও হয়েছে যে on arrival ভিসা প্রদানের কথা যেসব দেশের বিমানবন্দর থেকেও বাংলাদেশি অফিসারদের সরাসরি আবার দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। যা একই সাথে বিব্রতকর এবং চরম হতাশার।পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ করে কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় যত দ্রুত সম্ভব ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় জটিলতা গুলো দূর করা একান্ত প্রয়োজন।
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমী একটি আন্তর্জাতিক মানের মেরিটাইম প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এবং ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির একটি গর্বিত শাখা। অথচ এ প্রতিষ্ঠান থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করার এত মাস পরেও অর্ধেকের চেয়েও বেশি ক্যাডেট এবং সার্টিফাইড জুনিয়র অফিসার এখনও কর্মহীন।আন্তর্জাতিক বাজারের প্রকৃত চাহিদার সাথে প্রশিক্ষণার্থী ক্যাডেট সংখ্যার সমন্বয়হীনতাই এর একমাত্র কারন বলে আমরা মনে করি। লক্ষণীয় ব্যপার যে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে অফিসার চাহিদার কথা বলে ক্যাডেট প্রশিক্ষণ প্রায় ছয় গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং অনেক ক্ষেত্রে এজন্য IMO এর ন্যুনতম TRAINING STANDARD কেও মারাত্মকভাবে অবহেলা করা হয়েছে।
মূলত বেশি ক্যাডেট বেশি মুনাফা এই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে যে খারাপ অবস্থার সৃষ্টি করা হয়েছে যার জন্য বাংলাদেশকে চড়া মুল্য দিতে হতে পারে IMO এর সাদা তালিকা থেকে বাদ পড়ে। এর ফলে দেশের কয়েক হাজার মেরিনারের ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যাবে এবং অধিক রেমিটেন্স এর স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব একাডেমীর মোট প্রশিক্ষণার্থী ক্যাডেটের সংখ্যা ১০০ এ নামিয়ে আনা উচিত। কারন দিন দিন দেশী জাহাজের সংখ্যা কমছে। এক ই সাথে বিদেশী কোম্পানিগুলো ও ঝুঁকছে মনুষ্যবিহীন তথা UNMANNED জাহাজের দিকে। অফিসার চাহিদার অনেক তথ্য ও উপাত্তই তাই বর্তমানের সাথে সামঞ্জস্যহীন এবং একই সাথে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বাংলাদেশে বর্তমানে ১৭ টি প্রাইভেট একাডেমী রয়েছে যারা বাংলাদেশ মেরিন একাডেমীর মতই ২ বছরের প্রি সী ট্রেইনিং দিয়ে ক্যাডেট তৈরি করে এবং জাহাজে নিয়োগের দায়িত্ব নেয়।
তাদের প্রসপেক্টাসে Job Placement এর ১০০ ভাগ নিশ্চয়তা, নুন্যতম ৫০০ ডলার থেকে ৬০০ ডলার Starting Salary, বিশ্ব বাজারে লক্ষ লক্ষ মেরিনারের চাহিদার আষাঢ়ে গল্প, মাত্র ৪-৫ বছরে প্রমোশন পেয়ে ক্যাপ্টেন/ ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার অলীক ও বানোয়াট তথ্যের মাধ্যমে তরুন প্রজন্মকে প্রলুব্ধ করা হচ্ছে। বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রেই পাসিং আউটের পর তারা তাদের ক্যাডেটদের আর চিনেই না। অনেক সময় আবার অতিরিক্ত টাকাও দাবি করা হয় চাকরি দেয়ার জন্য। এসব তথ্যের কোনটিই মন গড়া কোন তথ্য নয়। পাসিং আউটের নয় মাসের মধ্যে চাকুরি দেয়ার কথা থাকলেও তা তারা রাখতে পারছে না এবং এই অপারগতাকে বিভিন্ন সমস্যাকে দায়ী করে এড়িয়ে যেতে চান অথচ এই সমস্যা গুলো জেনেই তারা প্রতিশ্রুতি গুলো দিয়েছিলেন। প্রাইভেট একাডেমীতে প্রশিক্ষণের জন্য প্রতি ক্যাডেটের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠান ভেদে জনপ্রতি ১০ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা আদায় করা হয়। মেরিনার নামক সোনার হরিণের পিছনে ছুটে একটি মধ্যবিত্ত পরিবার এই টাকার যোগান দিয়ে পরবর্তীতে যখন প্রতারিত হয় তখন তাদের অবস্থা কেমন হয় তা সহজেই অনুমেয়।
মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি ছেলে যে পরিমান টাকা বিনিয়োগ করে মেরিনে পড়ার স্বপ্ন নিয়ে একাডেমীগুলোতে ভর্তি হয় তার অর্ধেক টাকা দিয়ে প্রাইভেট একাডেমী থেকে পড়াশুনা শেষ করে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে পারে।
সনদ জালিয়াতি বর্তমানে পেশাটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন এজেন্সি নামেবেনামে এই অন্যায়ের সাথে সরাসরি জড়িত। তারা জাহাজ সম্পর্কে সামান্য ধারনা নেই এমন ব্যক্তিকেও বাইরের কোম্পানির অফিসার রিকোয়ারমেন্ট মত জাল সিডিসি এবং সিওসি (সার্টিফিকেট অব কম্পিটেন্সি) তৈরি করে পাঠায়। পরে যখন জানাজানি হয় তখন সংশ্লিষ্ট কোম্পানি সেই লোকটিকে চাকুরিচ্যূত করে কিন্তু একই সাথে গড়ে সব বাংলাদেশি মেরিনারের জন্য জারি করে নিষেধাজ্ঞা। অদক্ষ মেরিনারের এরকম ক্ষেত্রে হারানোর কিছুই নেই কারন মাত্র কয়েক হাজার টাকার সনদ বানানো এবং এজেন্সিকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়ে সে হয়ত ধরা পড়ার আগমুহূর্ত পর্যন্ত মাসে ৫/৬ হাজার ডলার হারে কয়েক মাস চাকুরি করতে পারে কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী ফলাফল হিসেবে বাংলাদেশের মেরিনাররা হারাচ্ছে সুনাম, বিশ্ববাজার। যেহেতু অনেক মানুষের জীবন এবং লক্ষ কোটি টাকার জাহাজ ও কার্গোর ব্যপার তাই কোন কোম্পানিই স্বাভাবিক ভাবে আর বাংলাদেশি অফিসার নিয়ে দ্বিতীয়বার প্রতারিত হওয়ার এই ঝুঁকি নিতে চাইবেনা।
সার্টিফিকেট জালিয়াতি বন্ধ করার জন্য অনতিবিলম্বে দোষী এজেন্সিগুলো সনাক্ত করে তাদের অনুমোদন স্থায়ীভাবে বাতিল করে দিতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া সিডিসি এবং সিওসি কে মেশিন রিডেবল করে এই জালিয়াতি ঠেকানো সম্ভব। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে আলাদা বুথ স্থাপন করে সমুদ্রচারীদের সব সনদ যাচাই করা যেতে পারে।
বিশেষভাবে উল্লেক্ষ্য যে বাংলাদেশে সিডিসি যাচাইয়ের জন্য সরকারি শিপিং অফিসের ওয়েবসাইটে একটি অপশন আছে যেখানে সিডিসি নাম্বার দিলেই সরকারীভাবে নিবন্ধিত সিডিসিটির সব তথ্য চলে আসে। কিন্তু সাইটের তথ্যগুলো যেমন ভয়েজ ডাটা, এমনকি নতুন ইস্যু হয়া সিডিসি গুলোও সেখানে আপডেট করা হয়নি। এর ফলে কেউ এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বুঝতে পারবে না যে এটি আসল নাকি নকল।
আইএমও বাংলাদেশকে তাদের ২৮ তম অধিবেশনে ৪০ সদস্যের নতুন কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্ত করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, নেদারল্যান্ড, সুইডেন ইত্যাদি রাষ্ট্রের সাথে একই সারিতে LARGEST INTEREST IN INTERNATIONAL SEABORNE TRADE CATEGORY তথা B CATAGORY তে গর্বের সাথে অবস্থান করছে যা আন্তর্জাতিক নৌ বাণিজ্যে বাংলাদেশের গুরুত্বকেই প্রতিফলিত করে। এত গুরত্বপূর্ণ মেরিটাইম কান্ট্রি হওয়ার পরও বিশ্বের বড় বড় শিপিং কোম্পানিগুলোর কোন ম্যানিং এজেন্সি বাংলাদেশে নেই যেখান থেকে তারা সরাসরি তাদের বাণিজ্যিক জাহাজ এদেশের মেরিনারদের রিক্রুট করতে পারে। অথচ ভারত, মায়ানমার, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন সহ আমাদের চেয়েও স্বল্পোন্নত অনেক দেশে যারা IMO এর কোন CATEGORY তেই পড়ে না সেখানেও রয়েছে তাদের পরিপূর্ণ অফিস।
আমাদের নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের নীতিনির্ধারকরা এক্ষেত্রে উদ্যোগ নিয়ে বিশ্বের শিপিং কোম্পানিগুলোর সাথে বা সংশ্লিষ্ট দেশের মেরিটাইম অথরিটির সাথে যোগাযোগ করে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি নিয়োগের জন্য এদেশে রিজিওনাল অফিস স্থাপনের আমন্ত্রন জানাতে পারেন।
কিছু কিছু কোম্পানি আবার নিজেরাই বিভিন্ন দেশে তাদের একাডেমী স্থাপন করে নিজস্ব কারিকুলাম এর উপর প্রশিক্ষণ দিয়ে ওই দেশ থেকে মেরিন অফিসার তৈরি করে নেয়। এরকম ক্ষেত্রে আমরা CADET ও অফিসার নিয়োগের দীর্ঘমেয়াদি শর্ত ও চুক্তির সাপেক্ষে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমী ও পরিকল্পনাধীন অন্য সরকারি একাডেমীগুলোর ভৌত অবকাঠামোগুলো ব্যবহারের সুযোগ দিতে পারি যা ভবিষ্যতে আমাদের মেরিন সেক্টরের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।
এছাড়াও আরও বেশ কিছু কর্মপন্থা আমাদের এই বিশাল সম্ভাবনাময় সেক্টরটিকে বাঁচিয়ে রাখতে সহায়ক হবে বলে মনে করি যেমন পানামা, লাইবেরিয়া, বাহামাস, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইংল্যান্ড, সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়াতে মেরিটাইম কাউন্সিলর নিয়োগ করা যেতে পারে যারা সেই দেশে মেরিনারদের প্রকৃত চাহিদা সার্ভে করে, বাংলাদেশি মেরিনারদের উপস্থাপন করে এবং দেশের একাডেমী ও সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে মেরিনারদের নিয়োগে এবং সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশি মেরিনারদের সমস্যা সমাধানে কাজ করবেন।
পররাস্ট্র মন্ত্রনালয়ের মেরিটাইম বিষয়ক সেকশন কে যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর করা প্রয়োজন যার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে মেরিনারদের ভিসা সমস্যা এবং উদ্ভুত অন্যান্য সমস্যাগুলো সমাধান করা সহজতর হয়।
মেরিনারদের সমস্যাসমূহ নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে যারা সমুদ্রচারী এবং বাস্তব কর্মজীবনে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হন তাদের কথা কে সবার আগে প্রাধান্য দেয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।
এছাড়াও দেশী কোম্পানি গুলোতে মেরিনার রা আরও অনেক সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকেন। বাংলাদেশের অনেক কোম্পানি এবং বেশকিছু এজেন্সি তাদের জাহাজের অফিসার এবং ক্রুদের বেতন সময়মত পরিশোধ করেন না। নানা অজুহাত দেখিয়ে মাসের পর মাস তাদের কে হয়রানি করা হয় এবং সমুদ্রচারীদের এসকল অভিযোগ করার ও কোন জায়গা নেই। তাই আমাদের মতামত যে নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সাথে শ্রম মন্ত্রনালয়কেও একসাথে হয়ে মেরিনারদের বেতন ভাতা নিয়মিত পরিশোধ, Maritime Labour Convention’06 অনুযায়ী আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড অনুসরন করে বেতন নির্ধারণ এবং অন্যান্য বিষয়গুলো সমাধানে কাজ করা প্রয়োজন।
ডকুমেন্ট সহ দেখতে ইউটিউব লিঙ্কঃ
৮টি মন্তব্য ৭টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন
এখানে সেরা ইগো কার?
ব্লগারদের মাঝে কাদের ইগো জনিত সমস্যা আছে? ইগোককে আঘাত লাগলে কেউ কেউ আদিম রোমান শিল্ড ব্যবহার করে,নাহয় পুতিনের মত প্রটেকটেড বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করে।ইগো আপনাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে, টের পেয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবং আপনারা যারা কবিতা শুনতে জানেন না।
‘August is the cruelest month’ বিশ্বখ্যাত কবি টিএস এলিয়টের কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ ‘The Westland’-র এ অমোঘ বাণী যে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এমন করে এক অনিবার্য নিয়তির মতো সত্য হয়ে উঠবে, তা বাঙালি... ...বাকিটুকু পড়ুন
=বেলা যে যায় চলে=
রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।
সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন
মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন