রাশা বইটার একটা অংশে দেখলাম স্যর ঐ আইডিয়া কোন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেছেন। যাই হোক, বইটাতে মূল চরিত্র একটি মেয়ে যার নাম রাইসা। রাইসা থেকে রাশাতে রূপান্তর ঘটে। বাবা-মার ডিভোর্সের পর মেয়েটিকে জীবনের চরম সব বাস্তবতা স্বীকার করে নিতে হয়। রাশার বাবা বিয়ে করে কানাডা প্রবাসী হন, অপরদিকে মা মেয়েকে ফেলে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমায়। রাশা বড় হতে থাকে ওর নানীর কাছে, মুক্তিযুদ্ধে স্বামী হারাবার পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে এক পর্যায়ে বিকারগ্রস্হ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। এই নানীর কাছে রাশা শুরু করে জীবনের নতুন অধ্যায়।
জন্মাবধি শহরে বড় হওয়া মেয়ে রাশা প্রাকৃতিক সান্নিধ্যে নিজেকে নতুনভাবে চিনতে শুরু করে। উপন্যাসটার মধ্যে শিক্ষামূলক উপাদান খুব বেশি চলে এসেছে, যদিও আমি মনে করি বর্তমান বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের কাছে মেসেজগুলো পৌছে দেওয়া খুব প্রয়োজন ছিলো।
ঘটনাচক্রে বাল্যবিবাহের প্রসংগ এসেছে , আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষার পরিবেশ, অসাম্প্রদায়িকতা, দেশপ্রেম, বিজ্ঞানচেতনা অনেক কিছুই আবর্তিত হয়েছে রাশা চরিত্রকে কেন্দ্র করে। আমি জানি না অন্যদের কেমন লাগবে, জাফর স্যরের কিশোর উপন্যাসগুলো আমাদের স্বপ্ন দেখতে শেখায়। এ উপন্যাসটিও অনেকটা সেরকম। এদেশের নতুন প্রজন্মের বিজ্ঞানমনষ্ক, অসাম্প্রদায়িক ও দেশপ্রেমিক হয়ে গড়ে ওঠার আশা আমরা সবাই করতে পারি।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:১৬