যদি আপনার মুখে দুর্গন্ধ থাকে তাহলে জানবেন এই সমস্যায় শুধু আপনি একা নন ,আপনার আশেপাশের অনেকেই এই সমস্যায় ভুগছেন। আমাদের দেশের শতকরা ৮৫ ভাগ ভাগ লোক কোন না কোনভাবে এই সমস্যার স্বীকার।
দন্ত চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার এই সমস্যাকে হ্যালিটোসিস বলে।
যে সব কারনে আমাদের মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে??
মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার প্রধান কারন হল সঠিক পদ্ধতিতে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ ও সঠিক পেস্ট ব্যবহার না করা
এছাড়াও, তীব্র গন্ধ যুক্ত খাবার যেমন পিঁয়াজ রসুন যুক্ত খাবার,ফাস্ট ফুড খেলে
মাড়ির সমস্যা,উঁচুনিচু বা ফাঁকা দাঁত যেখানে খাবার জমে পচে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে
দাঁতে ক্যারিজ হলে
ড্রাই মাউথ সিনড্রোম
মুখ দীর্ঘ সময় ধরে শুকনো থাকলে
তামাক জাতীয় দ্রব্যাদি বা জর্দা চুন সহ পান খেলে
মুখের ক্যান্সার
জিহ্বায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামন
এছাড়াও যদি আপনার ডায়াবেটিস, ক্রনিক সাইনুসাইটিস, ব্রংকাইটিস, নিউমনিয়া, ক্রনিক কফ, পেপটিক আলসার বা গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা থাকে তাহলে আপনার মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।
মুখে দুর্গন্ধের কারনে দাঁতের রোগঃ
হুম। দীর্ঘদিন যদি আপনার মুখে দুর্গন্ধ বা হ্যালিটোসিস রোগ থাকে তবে সেখান থেকে আপনার প্ল্যাক বা ক্যালকুলাস জমে আপনার দন্ত ক্ষয় হতে পারে। এছাড়াও মাড়ি দুর্বল হয়ে যাওয়া বা মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার অন্যতম কারন হলো হ্যালিটোসিস রোগ।
এই রোগ প্রতিরোধের কিছু উপায়ঃ
অনেকেই হয়ত মনে করেন বাজারে অনেক সুগন্ধি মাউথওয়াস পাওয়া যায় তা দিয়ে কুলকুচি করলাম আর ভালো হয়ে গেল এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারনা। এগুলো শুধু দুর্গন্ধ ঢেকে রাখে কিন্তু দন্তরোগ বা অন্যান্য সমস্যা থেকে মুক্ত করে না। এজন্য দিনে দুইবার Anti bacterial মাউথওয়াস দিয়ে কুলকুচি করুন ।
এছাড়াও,
সকালে ও রাতে খাবার পর দাঁত ৩-৪ মিনিট ধরে ব্রাশ করুন।
মেডিকেটেড টুথপেস্ট যেমন mediplus , sansodine ব্যবহার করুন।
দিনে অন্তত একবার দাঁতে ফ্লস করুন।
Tongue cleaner বা ব্রাশ দিয়ে জিহবার উপরের অংশ ভালো করে পরিষ্কার করুন।
সিগারেট, তামাক জাতীয় দ্রব্য, জর্দা পান এইসব পরিহার করুন
বেশি করে পানি খান।
নন সুগার কেমিক্যাল মুক্ত chewing gum খেতে পারেন। এটা আপনার মুখে লালার ক্ষরণ বৃদ্ধি করে আপনার মুখ দুর্গন্ধ মুক্ত রাখবে।
এছাড়াও যদি আপনার ডায়াবেটিস, ক্রনিক সাইনুসাইটিস, ব্রংকাইটিস, নিউমনিয়া, ক্রনিক কফ, পেপটিক আলসার বা গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সেগুলো অতি দ্রুত সমাধানের জন্যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
আশা করি উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে চললে এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাবেন। তাহলে আর দেরী কেন? বিজ্ঞাপনের ভাষায় এখন কণ্ঠ ছাড়ুন জোরে !!!!
কারো যদি এই সমস্যা বা অন্য কোন দাঁতের সমস্যা নিয়ে details জানতে চান প্লিজ মেইল করুন আমার অ্যাড্রেসেঃ kaziromi@gmail.com।
ধন্যবাদ সবাইকে।