সুউচ্চ হিমালয় কন্যা নেপাল আর সুবিশাল ভারতের বৃষ্টি আর বরফ গলা বিশাল জলরাশি দু'শতাধিক নদ-নদী বাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পরবে। এটা প্রাকৃতিক ওয়াটার সাইকেলের একটা অংশ। এই পুরো পানিপথ বাংলাদেশের উপর দিয়েই প্রবাহিত হয়ে আসছে, প্রবাহিত হতেই থাকবে। এ থেকে বাচার একমাত্র উপায় নদী-নালা-খাল-বিলকে জলাধার এবং জল নির্গমনের পথ হিসেবে ব্যবহার করা। প্রকৃতি সেভাবেই ডিজাইন করে দিয়েছিল কিন্তু -
আমরা বাধ নির্মান করেছি, নদী শাসন করেছি, আরো কি কি করেছি তা সবারই জানা। ফলে পানিপ্রবাহ বাধার সন্মুখীন হয়েছে। পানিতো আর বিএনপি নয় যে বাধা মেনে চুপ মেরে বসে থাকবে! পানি হচ্ছে পানি, বাধা দিলে ফুসে উঠবে, ফুসে উঠে নতুন নির্গমন পথ খুজে নেবে। তাতে কখনো জনপদ ভাসিয়ে দেবে, কখনো ফসলের মাঠ। কখনোবা শহুরে ড্রয়িং রুমে ঢুকে যেতেও অরুচি দেখাবে না, দেখাচ্ছেও না। আমরা তাকে যতই বন্যা বলে গালি দেই, জল প্রবাহের তাতে কিছু আসে যায় না। আসলে বন্যা বলে কিছু নেই যে! এতো তার গতিপথ বদলে দেয়া আর বাধাগ্রস্থ ক্রার প্রতিক্রিয়া মাত্র।
যাই হউক, আরো অনেক কথা আছে যা স্বল্প পরিসরে বলা সম্ভব নয়। আমি যেটা বলার জন্য লেখাটা শুরু করেছিলাম তা হলোঃ
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বস্তিবাসী থেকে অট্টালিকাবাসী বাংলাদেশের মানুষকে নীচতলা ছেড়ে দিয়ে বসবাস করার প্রস্তুতি নিতে হবে। বাশের খুটি আর কংক্রিট ঢালাই যাহাই হউক না কেন, নীচ তলা ফাকা থাকতে হবে এবং বসবাস দোতলা থেকে শুরু করতে হবে। পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষ তাদের বাশকাঠের ঘর জন্তুজানোয়ার থেকে বাচাতে যা করে অভ্যস্ত সমতলের মানুষকেও এখন তা অনুকরন করতে হবে। নদী-নালা-খাল-বিল খেয়ে ফেলা জাতির জন্য অবাস্তব মনে হলেও এটাই একমাত্র বাস্তবসম্মত সমাধান।