শহরবাসী পানির পাম্প ছাড়ে সকাল-বিকাল। পানির ট্যাঙ্ক ভরে গেলে কিছুটা পানি উপচে পরে যদিও মানুষেরা তখন হাক-ডাক ছাড়ে পাম্প বন্ধ করার জন্য।বন্ধ করেও দেয়।পানির ট্যাঙ্কগুলুও একেবারে ঢাকনা দিয়ে তালা মারা। কেউ একবারও ভাবে না, আমাদের পান-স্নানের একমাত্র সুজুগ তাদের এই অনবধানতাবশত উপচে পরা খানিকটা পানি।পুকুর-নদী-খাল শব্দগুলু ঢাকা শহরের জন্য অচীন শব্দ। ছিল কিন্তু খেয়ে ফেলেছে।
মাঝে মাঝে বড় বড় মেশিন দিয়ে যখন গর্ত করতে দেখি তখন ভাবি, বুঝি পুকুর খনন করছে! কিন্তু না, মানুষেরা আসলে বাড়ি বানানোর জন্য আগে একটা বিরাট গর্ত করে। পরে সেটা আবার বুজিয়ে ফেলে সেখানে মস্ত ইমারত তৈরী করে। আগে মাঝে মধ্যে ড্রেনের পানিতেও জরুরী কাজ সারা যেত কিন্তু এখন ড্রেনগুলুকেও স্ল্যাব দিয়ে ঢেকে দিয়ে উপরে দিব্যি দোকান-পাট খুলে বসে আছে। মানুষগুলুর বুদ্ধি দেখে হাসি পায়। পাখি সামান্য জলপান করবে, তা ঠেকানোর জন্য কত পায়তারা!যাই হউক মনুষ্যচরিত বোঝার সাধ্যি আমাদের নেই।আমরা কেবল তাদের করুনাই কামনা করতে পারি।
হে নগরবাসী! আমাদেরকে একটু দয়া কর। দয়াকরে ছাদের কোনায় কিংবা বারান্দার শেষ মাথায় ফেলে দেয়া মাটির বাসন অথবা প্লাষ্টিকের বাটিতে একটু পানি রাখ। আমরা অপচয় করব না। ওইটুকুতেই জরুরী পান-স্নান সেরে নেব। আমরা তো প্রকৃতিরই সন্তান, আমাদের জন্য এতটুকু নিশ্চই করতে পারবে।বিনিময়ে আমরা কিছুই দিতে পারব না কিন্তু প্রকৃতির সন্তান হিসেবে আমাদের যা ভুমিকা তা নিশ্চই রেখেই যাব।গান শোনাব, কীটপতংগ আবর্জনা সাফ করব, সকাল সাঝে ডেকে ডেকে তোমাদের শুভেচ্ছা জানাব।
তোমরা বল, মানুষ মানুষের জন্য কিন্তু আমরা তো শুনেছি, মানুষ প্রকৃতির জন্য!
হে মানুষ, আমরা এই গরমে পানির অভাবে কষ্ট পাচ্ছি !