মারুফ একজন মেধাবী ছাত্র। সে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ICT ডিপার্টমেন্টের স্টুডেন্ট। হটাত করে সে তার স্মৃতিশক্তি হারাতে শুরু করল। তার মানসিক বয়স হটাত করে ৯ এ চলে এলো। সে বাচ্চাদের মত চিন্তা শুরু করল। তার ব্রেইন সেলগুলো আর বড়দের মত কাজ করছে না।
একদিন সে ক্লাস করতে ভার্সিটিতে গেল। যেয়ে দেখল VLSI Circuit Design ক্লাস চলছে। মেহেদী স্যার ক্লাস নিচ্ছেন। কিভাবে সিলিকন ওয়েফার তৈরি করতে হয় স্যার তা পড়াচ্ছেন । সে মনে মনে ভাবল, মামা ওয়েফার তো অনেক খেয়েছি কিন্তু সিলিকন ওয়েফার তো কখনো খাওয়া হয়নি। আজকেই সিলিকন ওয়েফার খেতে হবে। সে মনস্থির করল স্যারকে জিজ্ঞেস করবে কোথায় সিলিকন ওয়েফার পাওয়া যায়। তার মন এখন আর ওয়েফার তৈরির কৌশলে নয়, ওয়েফার খাওয়ার কৌশলে নিবদ্ধ। সে ক্লাস খুব উপভোগ করতে শুরু করল।
পরের পিরিয়ডে তোফায়েল স্যার ক্লাস নিতে আসলেন। উনি Web Technology & Programming পড়ান। আজ উনি PHP Framework সম্পর্কে পড়াচ্ছেন। উনি যখনি CakePHP এর নাম নিলেন, মারুফের তো জিবে জল চলে আসল। সে CakePHP কে নতুন কোম্পানির কেক মনে করল। তার খাবার মেনুতে সে নতুন একটি কেক পেল।
পরের ক্লাসে দুলাল স্যার ক্লাস নিতে আসলেন। স্যার ক্লাসে এসে Android এর ভার্সনগুলোকে সবার সাথে পরিচিত করাচ্ছিলেন। উনি যখনি Jelly Bean, KitKat, Lollipop এদের নাম নিলেন তখন আর মারুফকে রুখে কে। তার ব্যাগে একটা Kitkat ছিল। সে ক্লাসের মধ্যেই খাওয়া শুরু করল। আর মনে মনে ভাবল, টিফিনের সময় সে একটা Lollipop খাবে।
যথারীতি টিফিনের সময় হল। সে ললিপপ খেতে গেল। দোকানে যেয়ে সে একটি ললিপপ কিনল। তার কাছে এখনো কিছু টাকা আছে। সে ভাবল একটা সিলিকন ওয়েফার কিনে নিবে। দোকানিকে জিজ্ঞেস করল, আংকেল, সিলিকন ওয়েফার আছে? দোকানি তো অবাক! এই ভেবে না যে মারুফ সিলিকনের ওয়েফার চাচ্ছে, এই ভেবে, নতুন একটা কোম্পানি চলে আসল অথচ সে জানে না। মারুফের আর সিলিকন ওয়েফার কেনা হল না।
টিফিন শেষে ল্যাব ক্লাস শুরু হল। শরীফ স্যার Simulation & Modeling ক্লাস নিতে আসলেন। উনি এসে Monte-Carlo মেথডের প্রয়োগ সম্পর্কে আলোকপাত করছিলেন। তিনি VisSim, PLCLogix উচ্চারণ করতে করতেই মারুফ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার মজা বুঝতে শুরু করল। ক্লাস যত এগোচ্ছিল সেও তত মজা পেতে শুরু করল। ফলস্বরূপ তার বাকি ব্রেইন সেলগুলোও উল্টাপাল্টা কাজ করতে শুরু করল। ইঞ্জিনিয়ারিং তার মানসিক বয়স আরও কমাতে শুরু করল। যখন তার মানসিক বয়স ৭ তখন সে তার নাম চেঞ্জ করে ‘কায়ান’ রেখে দিল।
অতঃপর সে ইঞ্জিনিয়ারিং বাদ দিয়ে সামুতে লেখা শুরু করল!!!