সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তৃতীয় শ্রেণী থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা করার ঘোষনা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল ঢাকায় শিক্ষক সমাবেশে তিনি এ ঘোষনা দিয়ে বলেছেন- শিক্ষকদের মর্যাদা যদি যদি আমরা না দিতে পারি তাহলে আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন শিক্ষার্থীও তৈরী হবে না। আর এই জাতি বেশিদূর এগোতেও পারবে না। দেশের একজন প্রান্তিক পর্যায়ের নাগরিক হিসেবে অনরূপ ঘোষনার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
একজন শিক্ষক যে এতোদিন ধরে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী ছিলেন সেটা জানা ছিলো না। সারা জীবন ধরে শিক্ষকদের সম্পর্কে অনেক চমৎকার চমৎকার কথা শুনে এসেছি। মধূর সব বিশেষনে ভূষিত হতে দেখেছি। এসকল শিক্ষকদের হাতে গড়া কত সচিব, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীকে পার হয়ে যেতে দেখেছি। কিন্তু তারা শিক্ষকদের যথাযথ মর্যাদা প্রদানে কার্যকর কিছুই করলেন না। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষনার মাধ্যমে শিক্ষকদের কিছুটা হলেও মর্যাদা প্রদান করা হলো। তাই প্রধানমন্ত্রীকে আবারও আন্তরিক ধন্যবাদ। মানুষ গড়ার এসকল কারিগররা কেবল পাঠ্যপুস্তক থেকেই পাঠদান করেন না, নিজেদের জীবনযাপনের মধ্য দিয়েও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিয়ে থাকেন। তারা যদি যথাযথ মর্যাদা না পান তাহলে শিক্ষার্থীরা কিভাবে উঁচুমনের মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে।
আরেকটি সংবাদ দেখে মনটা বিষন্ন হলো। প্রধানমন্ত্রী যখন মাধ্যমিক শিক্ষকদের মর্যাদা প্রদানের ঘোষনা দিচ্ছেন তখন প্রাথমিক শিক্ষকদের পুলিশ অন্যরকম মর্যাদা প্রদান করছে। চাকুরি জাতীয়করণের দাবিতে এসকল শিক্ষকরা আন্দোলন করছিলেন। পুলিশ তাদের উপর জলকামান দিয়ে গরম পানি ছিটাচ্ছে। লাঠিপেটা করছে। কলার ধরে টানছে। এমন ভাব যেনো এরা মারাত্মক ধরণের কোন সন্ত্রাসী। অতীব নিন্দনীয় একটি কাজ। আশা করি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীরও নজরে এসেছে।