দেশটা কি ‘মব জাস্টিস’ প্রবণ হয়ে উঠল? মাত্র ৪/৫ শিক্ষার্থীর আবদারে ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জনের ভাগ্য নির্ধারন করা হবে? এটা কি কোন পদ্ধতি হল?
বিষয়টা কি এমন যে, দাবিটা ন্যায় সঙ্গত কিনা তা যাচাই-বাছাই ব্যতিরেখে শুধু মাত্র কিছু মানুষ দলভুক্ত হয়ে একটা দাবী নিয়ে বিক্ষোভ করলেই রাষ্ট্র তা মানতে বাধ্য? এটাকে নৈরাজ্য ছাড়া আর কিছু বলা যাবে না, ‘মব জাষ্টিস’ এর ভয়ে অন্যায়কে মেনে নেয়াটা বোকামী এবং কাপুরুষোচিত সিদ্ধান্ত ছাড়া আর কিছু নয়। পরীক্ষা বাতিল করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে অটল গহরবে নিক্ষেপ করা হলো, এর দায় ভার নিবে কে?
পরীক্ষা বাতিল করে তার প্রতিক্রিয়া কি হবে তা কি তারা বুঝতে সক্ষম ? নাকি হুদাই চেয়ার পাইছে, বইছে, ব্যাস! কাশিনাথ! এর পর করণীয় কি?
(*) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৪ বাতিল। সে সকল বিষয়ের পরীক্ষা ইতোমধ্যে হয়ে গেছে তার ভিত্তিতে সকল পরীক্ষার্থীকে (পরীক্ষা দেয়া সব বিষয়ে পাসমার্ক থাকে) সাধারণ গ্রেডে উত্তীর্ণ ঘোষণা করে শর্তসাপেক্ষে*** উচ্চ শিক্ষার সুযোগ দিতে হবে।
(**) মেধানুযায়ী গ্রেড পেতে আগামী এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫ এ বিভিন্ন বিষয়ে অথবা সম্পুর্ণ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এটা হবে ঐচ্ছিক, যারা অটোপাস হিসাবে সাধারণ গ্রেডে থাকতে চায় তারা ইচ্ছা করলে পরীক্ষায় অংশ নাও নিতে পারে। তবে মেধাভিত্তিক গ্রেড পেতে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের ইম্প্রুভমেন্ট, বিষয়ভিত্তিক বা সম্পুর্ণ পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
(***) যারা উচ্চ শিক্ষায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল বা ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি হবে তাদের জন্য বাধ্যতামূলক পরীক্ষার অসম্পূর্ণ বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে মেধা তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ তার ভর্তি বাতিল করতে পারবে।
এরপর রাষ্ট্র ব্যবস্থাপকদেরকে অবশ্যই কঠোরতার সাথে শুধু মাত্র ‘মব জাষ্টিস’ না দেখে রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের সকলের জন্য কল্যাণকর বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬