somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার সোনার (রং করা ইষ্পাত) বাংলাদেশ যেন রাজনীতিবিদদের মোনালিসা..................................(রি-পোষ্ট)

১৪ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আবহমান কাল থেকে আমরা শোষক শ্রেণীর হাতে শাষিত হচ্ছি। একসময়ে রাজা-বাদশারা আমাদের শোষণ করতো এর পর পর্যায়ক্রমে বৃটিশরা, পাকিস্তানীরা সর্বশেষ স্বদেশী মহান রাজনীতিবিদরা।

গল্প শুনেছি, ৭১ পরবর্তী মুজিব সরকারের নির্যাতন ইতিহাস, রক্ষীবাহিনীর নির্মমতার করুন কাহিনী। আজও একটি শেখ মুজিবের একটি উক্তি শোনা যায় "সাড়ে ৭ কোটি বাঙালীর জন্য ৮ কোটি কম্বল এল আমারটা কই"। ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় রাজপথে শেখ মুজিবর রহমান যতটা পারদর্শী দেশ শাসনে ততটাই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। হয়তো মুজিব শাসনে অনেকেই ত্যক্ত-বিরক্ত হয়েছে, বাকশাল এর বিরুদ্ধে জনমত বেশী ছিল কিন্তু ১৫ আগষ্ট এর রক্তাক্ত ইতিহাস কারো কাম্য ছিল না। তবুও শাসক শ্রেণীর ক্ষমতালোভীরা সেদিন সাধারণকে নতুন আশার দেখাল, নতুন স্বপ্ন দেখাতে লাগল- "এদেশে সুশাসন আসবে"। বাঙালী স্বপ্ন দেখলো, বুঝতে পারলো না, শাসকশ্রেণীতে শুধু চেয়ারটার মানুষ পরিবর্তন হয়, নীতি বা লোভ নয়।

রক্তের মাতম ঝরিয়ে এল জিয়াউর রহমান, তিনিও স্বপ্ন দেখালেন। একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর সৃষ্টি করলেন যাদের ব্যবসা হল 'রাজনীতি'। শুরু হল নতুন নির্যাতনের খেলা। বাঙালী উপলদ্ধি করল, দূর্নীতি কত প্রকার এবং কি কি ?

আবারও রক্তের খেলা আর রাজনীতিবিদদের প্রহসন। ক্ষমতায় এলেন এইচ এম এরশাদ। কিছুদিন প্রতিবাদ হল, মিছিল হল, মিটিং হল তারপর যখন সুবিধাবাদীদের তিনি প্রলুদ্ধ করলেন সব ঠান্ডা। আবার আমরা শোষিত হতে থাকলাম। বিশ্বপ্রেমিক এইচ এম এরশাদ যেন সনাতন ধর্মের শিব দেবতার আশ্রয় পেল। দেশ স্বেচ্ছাচারিতায় বিকলাঙ্গ হল। সুবিধাবাদীরা তার সম্ভাব্য পতন দেখে তাকে স্বৈরাচারী আখ্যা দিয়ে রাজপথে নামল। একদিন সুবিধাবাদীদের আখ্যায়িত স্বৈরাচার এরশাদের পতন হল।

সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এল বিএনপি, প্রধানমন্ত্রী হলেন বেগম খালেদা জিয়া। এদেশে জন্মনিল নতুন এক সুবিধাবাদী চক্র। এতোদিনের শাসকেরা আজ নিষ্ক্রিয়। ক্ষমতাবঞ্চিত সুবিধাভোগীরা গণমানুষের রক্ত চুষে ক্ষুধা মেটাল। খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাদী আর টেন্ডারবাদীদের আড্ডা হল বাংলাদেশ নামক পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ রাষ্ট্র। একদিন বিএনপি সরকারের পতন হল।

আবারও সাধারণ নির্বাচন, ক্ষমতায় এল আওয়ামী লীগ, প্রধানমন্ত্রী হলেন মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা। ক্ষমতায় এসেই মুজিব রক্তের ভয়াবহতা দেখাল। পিতৃহত্যার বিচার তার মূর্খ উদ্দেশ্য হিসাবে দেখা গেল। এদিকে তিনিসহ তার মন্ত্রীদের দূর্নীতির বিষয়ে কথা উঠতে তার সাফ কথা - "বিএনপি সরকার এর চেয়ে বেশী দূর্নীতি করেছে"
(প্রশ্ন হল - ক্ষমতায় থাকলে কতটুকু দূর্নীতি জায়েজ আছে ?)
তাবত পৃথিবীর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টাকা ডোনেশন দিয়ে ডিগ্রী হাসিল করা আর মেডেল পাওয়ার লোভ তাকে গ্রাস করলো। দূর্নীতির কথা আর বলতে লজ্জা করছে। কারণ, আমরা দূর্নীতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি!!!!!!!!!!!!!!! নিজেকে উচ্চমানের শিক্ষিত দাবী করে প্রতিনিয়ত অশালীন ভাষায় কথা বলে দেশে বিখ্যাত হয়ে উঠলেন। সারাদেশে রাষ্ট্রীয় তদারকীতে বোমাবাজি করেও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারলেন না। একদিন তারও পতন হল।

আবারও সাধারণ নির্বাচন, আবারও বিএনপি ক্ষমতায় এবং যথারীতি বেগম খালেদা জিয়া প্রধান মন্ত্রী। ম্যাডামের প্রধান সিপাহশালার জনাব তারেক জিয়ার ক্ষমতার অপব্যবহার আজ বিশ্বনন্দিত। প্রথম পর্বের ক্ষমতায় থাকা কালে আসলে দূর্নীতি কম করা হয়েছে, এটা আওয়ামী সরকারের আমলে ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন তাই এবার ক্ষমতায় এসে সেই অপূর্ণ সাধ সুদে আসলে মিটিয়ে নিলেন। সারাদেশে সিরিজ বোমা বিস্ফোরিত হল, কোথা থেকে যেন আবিস্কার হল 'জেএমবি ভুত'। নিষিদ্ধ করা হল জেএমবি, বোমাবাজদের জনতার চোখের আড়াল করতে। শীর্ষ কয়েকজন সন্ত্রাসী সুবিধাভোগীকে ফাঁসিতে ঝুলান হল। এদিকে আমরা দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়নশীপ অক্ষুর্ণ রাখার প্রতিজ্ঞা করলাম। শেষ হয়ে এল সরকারের মেয়াদ।

রক্তাক্ত হল রাজপথ, দুই শীর্ষ রাজনৈতিক দলের তালগাছ নিজের দাবীকে রক্ষা করতে সাধারণ জনতা কতনা ভোগান্তির শিকার হল তা আমরা দেখেছি।

কে আসবে এবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় ?
(জামায়াত নিয়ে কথা বলার সাহস পেলাম না, ভগবান শেষে আমার বেহেস্তের টিকিট যদি বাতিল করে দেই, এই ভয়ে। দয়া করিয়া ওপারের অনাবিল সুখ ও শান্তি চাইলে জামায়াত নিয়ে কথা বলবেন না।)
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শেখ হাসিনার শেষের ঘন্টা ও কিছু কথা!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩২

এই বৃষ্টি ভেজা রাতে আজ অনেক ঘটনাই মনে পড়ছে, কোনটা রেখে কোনটা লিখি তা নিয়েও ভাবতে হচ্ছে! তবে প্রথম যে ঘটনা লিখতে ইচ্ছা হচ্ছে তা হচ্ছে শেখ হাসিনার পলায়নের শেষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি নিষিদ্ধ

লিখেছেন আজব লিংকন, ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৪১

আমি নিষিদ্ধ! হইলেও হইতে পারি!
শুনছি নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের বেশি আকর্ষণ। দূর থেইক্কা আপনি আমারে দেখেন। টুকটাক আমার লেখালেখি পড়েন। কই কখনো তো আপনারে লাইক কমেন্ট কিংবা খোঁচা মারতে দেখলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ্‌ সাহেবের ডায়রি।। আমি পদত্যাগ করিনি , ডাইনী করেছে

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪০

জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানা আপু

লিখেছেন সোহেল ওয়াদুদ, ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৩

শুভ জন্মদিন আপু! আপনার জন্মদিনে সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন কর্মব্যস্ত সুখী জীবন কামনা করছি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আপনি এবং দুলাভাই অনেক প্রজ্ঞাবান মানুষ। দেশের স্বার্থে জাতির স্বার্থে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পদ ত্যাগ না করলেও ছেড়ে যাওয়া পদ কি শেখ হাসিনা আবার গ্রহণ করতে পারবেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৯



তিনি ছাত্র-জনতার ধাওয়া খেয়ে পদ ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে প্রাণে বেঁচে গেছেন। পদের লোভে তিনি আবার ফিরে এসে ছাত্র-জনতার হাতে ধরাখেলে তিনি প্রাণটাই হারাতে পারেন। ছাত্র-জনতার হাত থেকে রক্ষা পেলেও তাঁর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×