হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চে রেসর্কোস ময়দান যে ভাষণ দিয়ে ছিলেন, সে ভাষণ ছিল বাঙালী জাতির স্বাধীনতা অর্জনের যাদুমন্ত্র। বাঙালী জাতি বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণেই স্বাধীনতা সংগ্রামের জীবনদায়ী অনুপ্রেরণা পেয়ে ছিল। বঙ্গবন্ধুর ৫১ তম জন্মদিনের মাত্র ১০ দিন আগে রেসকোর্স ময়দানের এই ভাষণ তার সমগ্র জীবণ-দর্শণ পূর্ণাঙ্গভাবে ফুটে উঠেছিল। ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু নিস্পেষিত-নির্যাতিত বাঙালীর মুক্তির কথা, স্বাধীকারের কথা, সর্বোপরি এই বাংলার স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে ছিলেন। জাতির জনকের ৭ই মার্চের ভাষণ আমাদের কাছে, একজন বাঙালীর কাছে যে কত গুরুত্ব বহণ করে তা কোন লেখায় তুলে আনা সম্ভব নয়, সে হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে হয়। বঙ্গবন্ধু রেসর্কোস ময়দানে ৭ই মার্চের ভাষণেই বাংলাদেশ ও বাঙ্গালীর স্বাধীনতার সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়ে ছিলেন। আমার এই লিখায় সে দিকটাই তুলে ধরার চেষ্টা করব মাত্র। কারণ স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিগুলো সুযোগ পেলেই জাতির জনককে বিতর্কিত করে তোলার মিথ্যা চেষ্টায় স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে জাতির সামনে প্রশ্ন ছুড়ে দেন বারবার। সেক্ষেত্রে ৭ই মার্চের ভাষণ তাদের উচিৎ জবাবের মুখ্যোম অস্ত্র হিসাবে বিবেচিত হবে।পাঠকও সে প্রশ্নের একটি সঠিক উত্তর খুজেঁ পাবেন বালে আশা করি।
এখন আমরা বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে বাংলাদেশের স্বাধীনতার চুড়ান্ত ঘোষনা ছিল এবং তা কিভাবে বাঙ্গালীর অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল তা বিশ্লেষণ দেখার চেষ্টা করবো। বাঙালীর নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময় সঙ্ঘাৎ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেছেন। তিনি কখনই এ দেশের মাটিতে রক্ত ঝরাতে চান নি। বঙ্গবন্ধু প্রথমেই পাকিস্তান সামরিক সরকারকে হুশিয়ার করে দিয়ে বলেছিলেন, “সামরিক আইন ‘মার্শাল ল’ উইথড্র করতে হবে। সমস্ত সেনা বাহিনীর লোকদের ব্যারাকে ফেরত যেতে হবে। যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তার তদন্ত করতে হবে । আর জনগেণের প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তারপর বিবেচনা করে দেখবো, আমরা এ্যাসেম্বলিতে বসতে পারবো কি পারবো না।” এখানে পাকিস্তান সামরিক সরকারকে সুস্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছিল আমাদের সাথে এই ২৩ বছর ধরে আপনারা যে আচরণ করেছেন, সে আচরণে বাংলার মনুষের মধ্যে যে ক্ষেভের সঞ্চার হয়েছে তার জন্য এই মুহূর্তে পকিস্থানীদের কি করা দরকার। বঙ্গবন্ধু জানতেন হাজার মাইল দুরুত্বের দুই ভু-খন্ডের পাকিস্তানের পশ্চিম পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ তখনও জানতেন না পূর্বপাকিস্তানে বাঙালীদের উপর কি নির্মম অত্যাচার করা হচ্ছে। এই অত্যাচার, নিস্পেষণ আর নির্যাতনের কাহিনী পশ্চিম পাকিস্তানীদের পাশাপাশি বিশ্ববাসী জানুক আমরা বাঙালীরা নিজের দেশে কিভাবে পরবাসী হয়ে নিজের ধর্মের মানুষের কাছে অত্যাচারিত ও নির্যাত্বিত হচ্ছি। আমরা বাঙ্গালীরা এখনও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে চাই, এখনও সে পথ খোলা আছে। তবে বঙ্গবন্ধু এও জানতেন তাঁর প্রস্তাব পাকিস্তানের সামরিক সরকার কোন দিন কর্ণপাত করেনি, করবেও না। ২৩ বছরের অপেক্ষার বাঁধ এবার রক্তস্রোতে ভেঙ্গে দেবার নির্দেশ দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালীকে রক্ত ঝরার নিদের্শ দিলেন, “মনে রাখবা রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইন্শাল্লাহ।”
বঙ্গবন্ধু যে নিঃস্বার্থভাবে এদেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন, এ দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে রাজনীতি করেছে, তার বাস্তব প্রমানও মেলে ৭ই মার্চের রেসর্কোস ময়দানের ঐতিহাসিক এই ভাষণে। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করলে বঙ্গবন্ধু বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না। আমরা এ দেশের মানুষের অধিকার চাই।” বঙ্গবন্ধু আরো বলেন, “২৫ তারিখে অ্যাসেম্বলি কল করেছে রক্তের দাগ শুকায় নাই। আমি ১০ তারিখে বলে দিয়েছি, যে ঐ শহীদের রক্তের ওপর পাড়া দিয়ে আরটিসিতে মুজিবুর রহমান যোগদান করতে পারে না।” এবার তিনি আলোচনার দরজা খোলা রেখে বাংলার স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতির নির্দেশনা দিলেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এভাবে প্রকাশ্য জনসমুদ্রে স্বাধীনতার ঘোষনা ও সমর কৌশল বর্ননা করার ঘটনা আর একটিও নেই। এবার ধারাবাহিক ভাবে আন্দোলন কর্মসূচী ও সমর কৌশল বর্ননা করে বঙ্গবন্ধু বলেন, “আমি পরিষ্কার অক্ষরে বলে দেবার চাই যে আজ থেকে এ বাংলাদেশের কোর্ট-কাছারী, আদালত-ফৌজদারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনিদৃষ্ট কালে জন্য বন্ধ থাকবে।”
বঙ্গবন্ধু যুদ্ধকালীন জীবিকা নির্বাহের দিক তুলে ধরতে গিয়ে আপদকালীন সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি কিভাবে চলবে সে দিকে নির্দেশনা প্রদান করে বলেন, “যে পর্যন্ত আমার এই দেশের মুক্তি না হবে, খাজনা ট্যাক্স বন্ধ করে দেওয়া হলো, কেউ দিবে না।” গত ৭ দিন হরতালে গণমানুষের যে সম্পৃক্ততা ছিল তা বঙ্গবন্ধু প্রত্যক্ষ করেন, তাই তিনি শ্রমিকদের বেতন দিবার নির্দেশ দিয়ে শিল্প-কারখানার মালিকদের বলেন, “আর এই ৭ দিন হরতালে যে সমস্ত শ্রমিক ভায়েরা যোগদান করেছেন, প্রত্যেকটা শিল্পের মালিক তাদের বেতন পৌঁছায়া দিবেন।” ব্যাংক-বীমা ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড কিভাবে পরিচালিত হবে সে বিষয়েও তিনি এই সমর কৌশলে নির্ধারণ করে দেন। বঙ্গবন্ধু বলেন, “দুই ঘন্টা ব্যাংক খোলা থাকবে, যাতে মানুষ তাদের মেইনাপত্র নিবার পারে। কিন্তু পূর্ববাংলা থেকে পশ্চিম পকিস্তানে এক পয়সাও চালান হতে পারবে না।”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার সাধারণ মানুষকে ভালো করে জানতেন কারণ তার শৈশব-কৈশর কেটেছে শ্রমজীবি সাধারণ মানুষের পল্লিগ্রাম টঙ্গিপাড়ায়। স্বাধীনতা আন্দোলনে এ দেশের খেটে খাওয়া মানুষের যাতে স্বাধীনতা খর্ব না হয়, গরীব মানুষের কোন কষ্ট না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে ৭ই মার্চ ভাষনে বঙ্গবন্ধু বলে ছিলেন, “গরীবের যাতে কষ্ট না হয়, যাতে আমার মানুষ কষ্ট না করে সেই জন্য সমস্ত অন্যান্য যে জিনিসগুলো আছে, সেগুলোর হরতাল কাল থেকে চলবে না- রিক্সা, ঘোড়ার গাড়ী চলবে, রেল চলবে, লঞ্চ চলবে....” এই সমরকালীন সময়ে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যাবস্থার কি ভাবে চলবে তাও স্পষ্ট করে তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু বলেন, “টেলিফোন টেলিগ্রাম আমাদের এই পূর্ববাংলায় চালবে এবং বিদেশের সঙ্গে নিউজ পাঠাতে হলে আপনারা চালাবেন কিন্তু যদি এই দেশের মানুষকে খতম করার চেষ্টা করা হয়, বাঙ্গালীরা বুঝেশুনে কাজ করবেন।” বঙ্গবন্ধু প্রচার ও গণমাধ্যম বিষয়েও নির্দেশনা দিয়ে বলেন, “মনে রাখবেন রেডিও-টেলিভিশনের কর্মচারীরা যদি রেডিওতে আমাদের কথা না শোনে তাহলে কোন বাঙ্গালী রেডিও স্টেশনে যাবেন না। যদি টেলিভিশন আমাদের নিউজ না দেয়, কোন বাঙ্গালী টেলিভিশনে যাবেন না।” (উল্লেখ্য রেডিও-টেলিভিশন কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে পরের দিন ৮ মার্চ সকাল বেলা বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের রেসর্কোস ময়দানের ঐতিহাসিক এই ভাষণটি রেডিওতে সম্প্রচার করতে বাধ্য হয়েছিল সরকার) বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণে আমারা সরকারী কর্মচারী-কর্মকর্তাদের যুদ্ধকালীন সময়ে তাদের করনীয় সন্পর্কে নির্দেশ দিতেও শুনি বঙ্গবন্ধু বলেন, “সরকারী কর্মচারীদের বলি, আমি যা বলি তা মানতে হবে। ” সরকারী কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বেতন প্রদানের নিদের্শ দিয়ে তিনি বলেন, “২৮ তারিখে কর্মচারীরা গিয়ে বেতন নিয়ে আসবেন। এরপরে যদি বেতন দেওয়া না হয়, আর যদি একটা গুলি চলে আর যদি আমার লোকের ওপর হত্যা করা হয়.....।” বঙ্গবন্ধু বারবার শান্তিপূর্ণ আলোচনায় বসতে চেয়েছেন, কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানিরা এটাকে বাঙ্গালীদের ও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের দূর্বলতা ভেবে বারবার বাঙ্গালীদের ঠকিয়েছেন আর নির্যাতনের ধরণ ও তিব্রতা বৃদ্ধি করেছেন। ৭ই মার্চের ভাষণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সে কথা উল্লেখ করে বলেন, “কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় ২৩ বছরের করুণ ইতিহাস, বাংলার অত্যাচারের , বাংলার মানুষের রক্তের ইতিহাস, ২৩ বছরের ইতিহাস মুমূর্ষ নর-নারীর আর্তনাদের ইতিহাস, বাংলার ইতিহাস এ দেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস। ১৯৫২ সালে রক্ত দিয়েছি। ১৯৫৪ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করেও আমরা গদিতে বসতে পারি নাই। ১৯৫৮ সালে আইয়ূব খান মার্শাল ল জারি করে ১০ বৎসর আমাদের গোলাম করে রেখেছে। ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলনে ৭ই জুনে আমার ছেলেদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।”
বাঙালীদের দাবী যে ন্যায়সঙ্গত দাবী ছিল তার স্বপক্ষে বঙ্গবন্ধু বলেন, “আমি বললাম, আ্যাসেম্বলির মধ্যে আলোচনা করবো এমনকি আমি এ পর্যন্তও বললাম, যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে, আমরা সংখ্যায় বেশি হলেও একজন যদিও সে হয় তার ন্যায্য কথা আমরা মেনে নেব।” বঙ্গবন্ধু আমাদের সতর্ক করে দিয়ে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “শুনেন, মনে রাখবেন, শত্রুবাহিনী ঢুকেছে নিজেদের মধ্যে আত্মকলহ সৃষ্টি করবে, লুটতারাজ করবে।” সত্যি সত্যি আমরা ‘৭১ সালের স্বাধনিতা যুদ্ধের ৯ মাস এই সব শত্রুদের কাছ থেকে দেখেছি। দেখেছি তারা কিভাবে আমাদের স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে, কিভাবে লুট-তারাজ করেছে। কিভাবে মা বোনের ইজ্জৎ নিয়ে খেলা করেছে।
এই বাংলাদেশ যে অসম্প্রদায়ীক দেশ হিসেবে জন্ম নিবে সেটা তিনি ৭ই মার্চ রেসর্কোস ময়দানের এই ভাষণেই স্পষ্ট করে তুলে ধরে তিনি বলেছেন, “এই বাংলায় হিন্দু মুসলমান, বাঙালি নন-বাঙালী যারা আছেন তারা আমাদের ভাই। তাদের রক্ষার দায়ীত্ব আপনাদের ওপর, আমাদের যেন বদনাম না হয়।”
একটা সরকারের মধ্যে থেকে সেই সরকারের বিরোদ্ধে আন্দোলনের নামে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা কত বড় দুঃসাহস, সেটা অন্তরে উপব্ধি করতে না পারলে কোন ভাবেই বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে বুঝে উঠা সম্ভব নয়। শুধু তাই নয় রেসর্কোস ময়দানের এই ভাষণ প্রদান কালেই তার কাছে সংবাদ এসেছিল এক্ষুনি তাকেঁ এ্যারেস্ট করা হবে। কিন্তু তাতেও তিনি দমে জাননি। এক সময় ভাষনের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুকে তাড়াতাড়ী মঞ্চ থেকে নেমে যেতে বলা হলে বঙ্গবন্ধু একটি শব্দ উচ্চারণ করে ছিলেন, “....আসতেছি।” কিন্তু তিনি ভাষণ শেষ না করে যান নাই।
তার সমগ্র রাজনৈতিক জীবণ শুধু নয়, বাঙ্গালীর হাজার বছরের স্বপ্ন পুরোনের গীতিমালা বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চ রেসর্কোস ময়দানের সেদিনের ভাষণে বলে দিয়ে ছিলেন। বাংলার স্বাধীনতার নতুন সূর্য দেখার জন্য যারা হাজার বছর ধরে সংগ্রাম করেছেন, রক্ত ঝরেছেন, জীবন দিয়েছেন সেই মন্ত্রসিদ্ধ বাক্যবান বঙ্গবন্ধু আজ ছুড়ে দিলেন শত্রু শিবিরে। আজ তিনি বললেন,
“এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম সবাধীনতার সংগ্রাম।
জয় বাংলা!”
এরপরও কি মনে হতে পারে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য আনুষ্ঠানিক ঘোষনার দরকার ছিল? আসলে যারা স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি। সেদিনের সেই স্বাধীনতা বিরোধী শত্রুরা সব সময় ওৎপেতে আছে, ও থাকবে। কি করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিতর্কিত করা যায়, কি করে জাতির জনককে বির্তকিত করা যায়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এখন আমাদের স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস উদ্ধার করতে স্বক্ষম হয়েছে। আর স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক করার কোন সুযোগ নেই। ২৬ মার্চ বা ২৭ মার্চ ? কোন মেজর রেডিও স্টেশনে গেল না গেল সে ভাবনা এখন অমুলক মাত্র। ৭ই মার্চের ভাষণের পর বাঙালী আর বসে নেই। জাতির জনকের নির্দেশনায় বাংলার প্রত্যেকটি ঘর তখন বাংলার স্বাধীনতা যুদ্ধের দূর্গে পরিনত হয়েছিল। এতো কিছুর পর যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চান নিশ্চয় তারা স্বাধীনতার শত্রু ছাড়া আর কেউ নন, তারা কোন দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা চননি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শুধু একজনই। তিনি হলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুই একমাত্র নেতা যিনি প্রকাশ্য জন সমুদ্রে একটি জাতির স্বাধীন ভু-খন্ডের জন্য স্বাধীনতা ও সমর-কৌশল ঘোষণা করে যুদ্ধ জয় করেছেন।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২৪