আজ (সোমবার ৬ মার্চ ২০১৭ ধামইরহাট, নওগাঁ) সন্ধ্যার কোন এক সময়ে নওগাাঁর ধামইরহাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) বাজারের মাদক ব্যাবসায়ী বলে পরিচিত মতিবুলের ঔষুধের দোকানে রেড দেন। সন্ধ্যার পর আমি হেঁটে হেঁটে পূর্ববাজারে যাচ্ছি বন্ধুদের সাথে চা চক্রে বসবো। প্রায় ১৩ দিন ভারত সফর শেষে দেশে আসলাম। এবার অনেক গুরুত্ব পূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান দেখেিএসেছি । হুগলীর চুঁচুঁড়ায় দানবীর হাজী মোহম্মদ মহসিনে বাড়ী, স্টেটও কলেজ। বারাকপুর ক্যান্টমেন্ট। যেখানে মঙ্গল পান্ডের নেতৃত্বে ১৭৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের সুচনা হয়ে ছিল। হুগলীর সেই কারাকক্ষ যেখানে আবদ্ধ থেকে দ্রোহের কবি বিদ্রোহ করেছিলেন, “কারার ঐ লৌহ কপাট ভেঙ্গে ফেল কররে লোপাট এবং শিকল পরার ছল মোদের শিকল পরার ছল” এই বিখ্যাত গান দুটি রচনা করেছেন। অনেক বই কিনেছি বন্ধুরা সবায় বসে আছে আমরার গল্প শুনতে। আমি লুঙ্গি পড়ে সদ্য কলকাতা নিউ মার্কেট থেকে নেয়া পাতলা একটা পশমিনা চাদর গায়ে জড়িয়ে ( আমাদের ধামইরহাটে কিন্তু আজো লেপ উড়তে হয়।) রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি। ঠিক সে সময় কাঁচা বাজারে অনেক লোকজনের জটলা দাঁতের ডা: (?) আমিনুল সাহেব উপস্থিত লোকজনকে উত্তেজিত করছে আর বলছে, “ এ,সি, ল্যান্ড কোন ঔষুধের দোকানে রেড দিতে পারে না, এগুলো অন্যায় ইত্যাদ্দি ইত্যাদ্দি।” হেঁটে যাবার একপর্যায়ে ডাঃ (?) আমিনুল আমাকে ডাক দিয়ে বলল, “আফজাল ভাই শোনেন তো “আপনারা এই প্রশাসনের এসব অন্যায় কেমন করে সমর্থণ করেন, আমি তো হুইপ সাহেবকে ফোন দিয়ে ছিলাম।” আমি বল্লাম, ”হুইপ সাহেব কি বল্লেন ?” আমিনুল আমার প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে অন্যায়ের সমর্থনে পাবলিককে বুঝাচ্ছে প্রশাসনকে টাকা দিলে এসব হতো না।” অনেক কিছু। আমি বল্লাম, ‘ প্রসাশনের সবাইতো এক রকম নয়। আর একজন ম্যাজিস্ট্রেট ঔষুধের দোকান কেন, কোন কিছুতে জনজীবন বা রাস্ট্রের ক্ষতি হতে পারে বলে প্রতিয়মান হলে তিনি তা তল্লাসী করতে পারেন।” আমিনুল ডাক্তার(?) আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলছে, “ ভুল বলছেন, ফিজিয়ান সেম্পল কেন ধরবে এসব বে আইনী ইত্যাদ্দী” আমার সাথে বাজারের খালেকুজ্জামান স্যার সহমত পোষন করে কথা বলছেন। কিন্তু বীরগ্রাম স্কুলের মাস্টার নাজমুল হক সাহেব বিষয়টিকে পলিটিক্যাল মোড় নেবার চেষ্ঠা করছেন ঘটনা স্থলে। এর ভিতর পুর্ববাজারের তেল দোকানদার কালুর ছেলে আব্দুল হালিম ( মতিবুলের ড্রাগ কাষ্ঠমার পরে শুনলাম) বিষয়টিকে একটি সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে রুপ নেওয়ালে হঠাৎ করে মাদক ব্যাবসায়ী ঔষুধ দোকানদার মতিবুল ও তার ছেলে আমার উপর চড়াও হয়। আমি মাটিতে পড়ে গেলে লোকজন আমাকে উদ্ধার করে। উত্তেজিত জনতা তাকে মারবে তার দোকান পাট ভাঙ্গবে এই পর্যায়টি আমি সমাল দিলাম। কারণ দ্বিতীয় ঘটনাটি প্রথম ঘটনাকে ঢেকে ফেলতো। আমি দ্বিতীয় ঘটনা ঘটাতে দেইনি। যাতে করে মাদকের বিষয়টি চাপা পড়ে যায়। আমি আর বলতে পারছিনা। থানা-আদালতে আমার কোন অভিযোগ নেই। আমি সুস্থ্য বিবেক গুলোর কাছে অভিযোগ দিলাম তাহলে অন্যায়ের পক্ষে থাকলে নির্যাতিত হতে হবে?
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:০৪