মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!
মোবাইলে আপনার উদ্যোগে পাঠানো মেসেজটি পেয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে। সেখানে লেখা ছিল “সরকার ইসলাম ও মহানবীর (ছল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম) অবমাননা বন্ধে বদ্ধ পরিকর”। পবিত্র দ্বীন ইসলামে সাক্ষীর জন্য ২ জন পুরুষই যথেষ্ট; সেখানে কোটি কোটি মোবাইল গ্রাহককে সাক্ষী রেখেই আপনি দৃঢ়চিত্তে পবিত্র দ্বীন ইসলাম এবং আমাদের প্রাণের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম উনাদের অবমাননা রোধে আপনার সঙ্কল্পের কথা মানুষকে জানিয়েছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অবমাননা হয় তখনই, যখন পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুসরণ না করে তার অপব্যাখ্যা করা হয়। তার বিরুদ্ধাচরণ করা হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিধান মুবারক-এ ছবি তোলা, আঁকা, রাখা হারাম। না, এটা আমার মতো কোনো অযোগ্য লোকের কথা নয়। আপনি যাঁর অবমাননা রোধে দৃঢ় শপথ নিয়েছেন অর্থাৎ আমাদের প্রাণের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারই পবিত্র হাদীছ শরীফ। তাহলে উনার পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিরুদ্ধাচরণ কি পবিত্র ইসলাম উনার অবমাননা এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অবমাননা নয়? তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা চাই আপনি নিজে ছবি তোলা থেকে বিরত থাকবেন, ছবির ব্যবহার বন্ধ করবেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!
আপনিতো দেশবাসীর কাছে ওয়াদা করেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার। তাহলে এখনো কেন পাসপোর্টে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহারের ডিজিটাল পদ্ধতি বাদ দিয়ে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অবমাননাকর ছবির ব্যবহার করা হচ্ছে?
এখনো কেন ভূমি কেনা বেচার ক্ষেত্রে ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতি বাদ দিয়ে হারাম ছবি ব্যবহারে বাধ্য বাধকতা?
এখনো কেন পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নির্দেশ “মহিলাগণের পর্দা করা ফরয” সেই ফরয নির্দেশকে উপেক্ষা করে অর্থাৎ অবমাননা করে পাসপোর্ট, জমি কেনা বেচার ক্ষেত্রে মহিলাগণের ছবি তুলতে বাধ্য করা?
এখনো কেন রাস্তায় বিলবোর্ডে অশালীন কুরুচিসম্পন্ন মহিলাদের পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে? এখনো কেন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে, নমিনি করতে মহিলাগণসহ সকলের ছবি তুলতে বাধ্য করা হয়?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!
আপনি পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অবমাননা করা বন্ধ করুন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়–ন। আমরা আপনার পাশে আছি।
কিন্তু ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করলে, পবিত্র দ্বীন ইসলাম নিয়ে প্রতারণা করলে প্রকৃতপক্ষে কেউ কিন্তু পাশে থাকবে না। এছাড়া কবরে একা থাকতে হবে। আর হাশর-নশর ও শেষ বিচারের দিনকে কিন্তু মুসলমান ভয় করে।