নেত্রকোনার ভাষায় একটি প্রবাদ আছে, “কাউয়্যার বাসায় কুলির চাও (কোকিলের বাচ্চা), জাত বিদ্যায় করে রাও (ডাক)”
অর্থাৎ যে যেখানেই অবস্থান করে না কেন তার স্বজাতির স্বভাব পরিবর্তন হয় না। রাজাকারের ক্ষেত্রে উক্ত প্রবাদের শতভাগ সত্যতা মিলে। রাজাকার শব্দের সাথে ধর্ষক-লম্পট-দুশ্চরিত্র শব্দগুলোও স্থান-কাল-পাত্র ভেদে পরিবর্তিত হয় না। একাত্তরে হোক কিংবা বর্তমানে হোক, জেলে থেকেই হোক বা হাসপাতালে থেকেই হোক, কথিত ওয়াজ মাহফিলে হোক বা মহান আল্লাহ পাক উনার ঘর মসজিদ থেকেই হোক রাজাকারের কুৎসিত লাম্পট্য কখনই পরিবর্তন হবার নয়।
লেখার শুরুতেই নিয়ে আসছি বাচ্চু রাজাকার (মাও আবুল আলাম আযাদ) নামক এক বিকারগ্রস্ত নারীলোভী রাজাকারের অপকর্মের ফিরিস্তি।
১৯৭১-এ গ্রামশুদ্ধ মহিলাদেরকে ধরে এনে আটকে রেখেছিল এই বদমায়েশ রাজাকার। দীর্ঘ ৯ মাস ধরে শতাধিক মহিলার উপর পালাক্রমে পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে সে। যার হিং¯্র নখ-দন্তে ছিন্নভিন্ন হয়েছে বহু মহিলার দেহ।
যুদ্ধপরবর্তী ’৭৫-এ ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা মসজিদে ইমাম থাকাকালে এক দরিদ্র কিশোরীকে মসজিদের মধ্যে নির্যাতনের চেষ্টা চালায় এই বাচ্চু রাজাকার। সে সময় হাতেনাতে ধরা পড়ায় উত্তম-মধ্যম সহকারে বাচ্চুকে ফরিদপুর ছাড়া করে জনগণ। এরপর বাচ্চুকে আর ফরিদপুরে দেখা যায়নি।
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে বার বার। কয়েক বছর আগেও এই লম্পট ঢাকাস্থ একটি মসজিদে রাতের বেলায় পতিতা নিয়ে অবস্থান করছিল, সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়, পালিয়ে জানে রক্ষা পায় সে। শুধু তাই না, কয়েক বছর আগেও বৃদ্ধ বাচ্চু রাজাকার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে এক নার্সের সাথে জড়িয়ে পড়ে নিকৃষ্ট অপকর্মে।
বাচ্চুর পর এবার আসি জামাতীদের চন্দ্র বিজয়(!)কারী দেইল্লা রাজাকারের কথায়। ’৭১-এ যে অনৈতিক অপকর্মের জন্য তার ফাঁসির আদেশ হয়ে গেছে, সেই কথা আর পুনরাবৃত্তি করব না। তবে এই বৃদ্ধ বয়সেও যে অপকর্মের ফিরিস্তি পাওয়া গেছে তাও মাথা ঘুরিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। সম্প্রতি বাংলালিকস নামক একটি ছিদ্রান্বেষণকারী ওয়েব সাইটের কল্যাণে তা সবার গোচরীভূত হয়েছে।
ছাত্রী সংস্থার মেয়েদের সাথে ছাত্রশিবিরের অবৈধ কর্মকা-ের বহু দলিল পাওয়া যায়। কিন্তু নেতৃস্থানীয় জামাত নেতাদের সাথে যে ছাত্রী সংস্থার মেয়েদের অবৈধ সম্পর্ক থাকতে পারে তার বাস্তব প্রমাণ পাওয়া গেল দেইল্লা রাজাকারের ক্ষেত্রে।
সাঈদী কথিত ওয়াজের সময় চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কিভাবে ওই সকল মেয়েদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলত, পরকিয়া করত বা ফোনে অশ্লীল কথোপকথন করত তা বাংলালিকস ১ লক্ষ ডলারের ওপেন চ্যালেঞ্জ সহকারে ফাঁস করে দেয়। এছাড়া ফাঁস করা হয় বিভিন্ন মহিলাদের সাথে অবৈধ সম্পর্কের জেরে দেইল্লার স্ত্রীর সাথে তার দীর্ঘ ঝগড়ার মোবাইল অডিও।
সর্বশেষ বাংলালিকস-এর কল্যাণে সবার সামনে আসে আরেক কুখ্যাত রাজাকার ফকা’র পোলা সাকা’র অপকর্ম।
বলাবাহুল্য, যুদ্ধের পরে যখন ফকা চৌধুরী ধরা পড়েছিল, তখন তার সাথে ছিল দেড় মণ সোনা, কিন্তু পরনে ছিল একটি মাত্র ‘জাঙ্গিয়া’। অর্থাৎ মরবার আগেও তার সঙ্গী ছিল সেই অপকর্ম। অনুরূপ সাকা চৌধুরী বর্তমানে ফাঁসির রায়ের অপেক্ষায় থেকেও কাশিমপুর কারাগারে কিশোর বন্দিদের সাথে লিপ্ত হয়েছে বারংবার সমকামিতায়।
সত্যিই সেকুলাস!!! কুত্তার লেজ সোজা হয় একথা বিশ্বাস করব, কিন্তু রাজাকার নষ্টামি ছাড়ে এই কথা কখনই বিশ্বাস করব না......
কুকুরের লেজ সোজা হয় একথা বিশ্বাসযোগ্য!!! কিন্তু রাজাকার নষ্টামি ছাড়ে এই কথা কখনই বিশ্বাসযোগ্য নয়