প্রথম পর্বঃ কাপ্তাই লেক-এ নৌভ্রমণ --------
পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই গোসল সেরে রেডি হয়ে নিলাম। সারাদিন ঘোরাঘুরি শেষে, রাতের বাসে ঢাকায় ফিরতে হবে, এমনই প্রোগ্রাম! নাস্তা সেরে সবাই বেরিয়ে এলাম হোটেল থেকে, আজকের গন্তব্য কাপ্তাই। সেই ঘাটে দু’টো নৌকা বাঁধা। একসময় যাত্রা শুরু হলো আমাদের। আজকেই শেষ দিন তাই নৌকাতে গল্পসল্প খুব বেশী চলছিল, চলছিল কত্ত রকমের ছবি তোলা।
দুই ঘন্টার মত সময় লাগলো আমাদের কাপ্তাই পৌছাতে। কাপ্তাই ঘাটে এসে আমার" চক্ষু দু'টি ছানাবড়া, মুখখানি মোর হাঁড়ি"----!!! নামা সে আরেক জ্বালা। এত নৌকা জমে আছে ঘাটে, আমাদের নৌকা ঘাট পেল না। আমরা নৌকা থেকে নেমে আরেক নৌকায়, তারপর আরেক নৌকায়, তারপরে আরেক নৌকায়----- এভাবে ৩/৪টা নৌকা পেরিয়ে ঘাটে এলাম। ঘাটে নেমে অবাক হবার পালা, চারিদিকের সব মানুষের চেহারা, ভাষা অন্যরকম। আমরা যেন এখানে পরদেশী! ঘাট থেকে কিছুদূর হেঁটে একটা হোটেলে উঠলাম আমরা। ফ্রেশ হয়ে, সবার ব্যাগ রেখে ঘুরতে বের হব আমরা। গ্রুপ ক্যাপ্টেন জানালেন, “কাপ্তাইতে কোথাও একটা ঝর্ণা আছে, গাইড সাথে নিয়ে খুঁজে যেতে হবে। ওখানে যারা যেতে চান না, তারা নেভি পার্ক দেখতে যেতে পারেন। খুব ভাল লাগবে। ঝর্ণা দল আর নেভি পার্ক দল একসাথে হয়ে আমরা দুপুরের খাবার খাব। এর পরের স্পট রাসেল পার্ক দেখা।“
নৌকা ছাড়ার সাথে সাথেই আড্ডা শুরু, আজকেই নৌভ্রমণের শেষ দিন।
কত যে পোজ নিয়ে ছবি ওঠা!!!
লেক-এর এমন রূপ আবার কবে দেখা হবে, আদৌ হবে কী না কে জানে!!
দূরের কোন পাহাড়ে বৃষ্টি নেমেছে!
ছোট ছোট এমন দ্বীপে বাস করে অনেকেই!
এক সময় কাপ্তাই চলে এলাম, দেখা যাচ্ছে কাপ্তাই ঘাট।
ঘাটের পাশেই হাট বসেছে!
আমরা গেলাম নেভি পার্ক দেখতে। এডভেঞ্চার প্রিয় আরেক দল গেল ঝর্ণা আবিষ্কার করতে!! ছোট ছোট সবুজ পাহাড়ের টিলা, মাঝে মাঝেই ছোট ছোট লেক। ছোট সেই লেক-এর সাথে মূল লেক-এর সংযোগ আছে। ঢুকেই হারিয়ে গেলাম সবুজ অরণ্যে। দু’চোখ ভরে শুধুই দেখলাম কিছুক্ষণ, তারপরে ক্যামেরা হাতে নিলাম! দলের কেউ কেউ কোনদিকে গেল, কে জানে! ছো্ট ছোট প্রমোদ তরী, স্পীড বোটে মূল লেকে বেড়ানোর ব্যবস্থাও আছে। আরো যে কত কী আছে, অত কিছু দেখার সময় কৈ। ভিতরেই বাংলা কলা আর দেশী পেয়ারা কিনে সবাই খেলাম। আমি এক কাপ কফিও খেলাম। লাঞ্চ-এর আগেই ফেরার প্রোগ্রাম আছে, তাই তাড়াতাড়িই ফিরতে হলো।
এভাবে সবুজের মাঝে আঁকাবাঁকা পথ চলে গেছে নেভি পার্কের ভেতরে!!
আমাদের দল চলেছে ঐ টিলার উপরে কি আছে দেখতে।
ওই টিলার উপর থেকে এমন দেখা যাচ্ছে পার্কের লেক এবং মূল কাপ্তাই লেক।
প্রশান্তি নিয়ে সবার ফিরে আসা।
পার্কের ভিতরে এমনই সুন্দর সুন্দর স্পট।
বনচয় কুটিরে দলের কয়েক জনের আবারও পোজ দেয়া।
রাস্তার পাশে থেকে তোলা। এইসব নৌযানেই লেকে ভ্রমণ করা হয়।
এই স্পটটি জাহাজ আকৃতির, নিচে বয়ে চলেছে শান্ত পানির লেক। খুব ভাল লেগেছে আমার। বাকিটা সময় আমি এখানেই কাটিয়েছি, দলছুট হয়ে। অনেক অনেক ছবি তুলেছি এখান থেকেই!!
ওখানে দাঁড়িয়েই তোলা এই ছবিগুলো।
এখান থেকে বেরিয়ে, দুপুরের খাবার খেয়ে সবাই রওয়ানা হলাম রাসেল পার্কের দিকে। আজ আর নয়। ওখানে বেড়ানোর ছবি আরেকদিন হবে -------------
ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৩৮