** আজ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানের মৃত্যুবার্ষিকীতে জানাই আমার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলী!!!!
নাম:- ল্যান্টানা/ লণ্ঠন, পুটুস।
ইংরেজি নাম Sage.বিভিন্ন রংয়ের হয়ে থাকে।শীতপ্রধান দেশে যত্রতত্র দেখা যায়।
আমাদের দেশে সৌখিন ফুলপ্রেমিদের বাগানে ও ঝোপ জঙ্গলে দেখা মেলে।
তাম্রপাতা বা ইংরেজিতে Copper leaf বা ব্লাক ফ্লামিনগো।
বৈজ্ঞানিক নাম Chrysothemis Pulchrlla.
ল্যান্টানাঃ
বনফুল, গায়ে বুনো গন্ধ কিন্তু রুপের জুড়ি নেই। হলুদ গোলাপি-শাদা-লাল নানা রঙের মিশ্রণ আছে এর। ফোটার পর ক্রমে রঙ বদলায় আবার ঝোপ থেকে ঝোপে রঙের পার্থক্যও দেখা যায়। সময়ের সাথে সাথে রঙ রূপ বদলে ফেলা এই ফুলটি ঝোপ আলো করে লণ্ঠনের মত আলো ছড়ায় বলেই হয়ত এই নাম। বাংলাদেশে এটি অপ্রয়োজনীয় ঝোপ হিসেবেই পরিচিত। মোটামুটি সব জায়গায় কম বেশি দেখা যায় এই ঝোপ। সবচেয়ে চমৎকার লাগে এই ফুলের রঙ। নতুন ফুলের এক রঙ একটু পুরানো ফুলের আরেক রঙ। একই থোকায় কয়েক রঙ। সাধারণত হলুদ, লাল, কমলা, বেগুনি, মেজেন্টা ইত্যাদি রঙের এই ফুল দেখা যায়।
(২)
উদ্ভিদটির আদিবাস আমেরিকায় হলেও এখন সারা দুনিয়ায় ছড়িয়েছে। সে কষ্টসহিষ্ণু, খরা-তাপ সহ্য করে দিব্যি টিকে থাকে ও বিস্তৃত হয়। গাছটিকে আগ্রাসী বলা যায়। অন্যান্য গাছের জন্য প্রাণান্তকর রাসায়নিক বস্তু ছড়ায় সে। তবে গাছের উকুন নামে কুখ্যাত এফিড পোকা নিয়ন্ত্রণের জন্য লান্টানাজাত উদ্ভিদ ব্যবহার করা হয়। এই গাছের পাতা গবাদি পশুর জন্য বিষাক্ত খাবার। তবে উদ্ভিদটি প্রজাপতি-বান্ধব।
(৩)
গাছটির ভেষজ গুণ আছে; চর্মরোগ ও জ্বর নিরাময়ে এটি ব্যবহৃত হয়। এর ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ পাকলে গাঢ় বেগুনি রঙের হয়। পাখিরা পাকা ফল খায়। বাগানের সৌখিন ফুল হিসেবে লান্টানা বেশ জনপ্রিয়। সারাবছরই ফোটে এ ফুল, তবে বর্ষায় বেশি দেখা যায়।
আমার বাগানে দুই রঙের ল্যান্টানা আছে, হলুদ আর লাল। সারা বছরই বাগান আলো করে রাখে। বাগানে কোন ফুল না থাকলেও ল্যান্টানা জ্বলে থাকে দূর দিগন্তের ওই তারগুলোর মত!!
(৪) ল্যান্টানা গাছের ফল।
(১) (২) (৩) (৪)------ এই ছবিগুলো আমি নেপাল থেকে তুলেছিলাম। নিচের লাল আর হলুদ ফুলগুলো আমার বাগানের।
তথ্যসূত্রঃ বৃক্ষকথা
ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৪৮