আমি ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুর পথে যাত্রা শুরু করলাম বাংলাদেশ বিমানের একটি প্লেনে। ওদিকে আমার কর্তা মহাশয় নেপালের পুর্বাঞ্চলীয় শহর ধারান থেকে চলে এসেছেন কাঠমান্ডুতে, আমাকে রিসিভ করার জন্য।(তিনি তখন ওখানে কর্মরত ছিলেন)। এটাই আমার প্রথম নেপাল সফর। এয়ারপোর্টের সব ফর্মালিটি সেরে বেরিয়ে দেখি, উনি আমার জন্য অপেক্ষায় আছেন হাতে কিছু নেপালের জাতিয় ফুল লালিগোরাস! কাকতালীয় ব্যাপার, আমিও সেদিন পরেছিলাম লাল রঙের সেলোয়ার, ওড়না, হিজাব আর সাদা রঙের কামিজ। এক্কেবারে সেইরকম ম্যাচিং হবে ফুলের সাথে! আমাকে প্রথমে নজরে আসতেই তেনার ক্যামেরার ক্লিকবাজী শুরু হয়ে গেল! বেরিয়ে এলাম আমি লাগেজ ট্রলি নিয়ে। আমার হাতে লাল টকটকে লালিগোরাস দিয়ে বরণ সমাপ্ত হলো। সাথে এসেছে ওনার ড্রাইভার। মাঝবয়সী ভদ্রলোক, টকটকে ফর্সা তার গায়ের রঙ। মাথায় নেপালি টুপি। আমাকে সালাম দিয়ে শুভেচ্ছা জানালো। মূলত এই ফুল দিয়ে বরণ করার আইডিয়াটা ড্রাইভারেরই। আমি তাদের দেশে প্রথম এলাম, তাই। না হলে অন্য কোন ফুল দিয়ে বরন করা হতো! আমাদের এই নেপালি ড্রাইভারই গাড়ি চালিয়ে সমস্ত ট্যুরিষ্ট স্পট ঘুরে দেখিয়েছে আর যা জনশ্রুতি আছে, সেগুলোও জানিয়েছে আমাকে। ওর নাম ওম বাহাদুর কার্কী।
এটিই নেপালের জাতিয় ফুল লালিগোরাস।
হোটেলে পৌছে ফ্রেশ হয়ে খাবার খেলাম ভেজিটেবল, রাইস সাথে সালাদ, টকদই। নেপালে আমাদের জন্য হালাল খাবারের সংখ্যা কম। সবজি, রুটি আর ডিম ছাড়া খাবার তেমন কিছু নেই। পরে খুঁজে পেয়েছিলাম মুসলিম দোকান, সেখানেই সব রকমের মাছ মাংসই পাওয়া যেত। মাছটা যৎসামান্য, মাংসই বেশী।
কাঠমান্ডুর হোটেলে কার্নিশে ঝুলে থাকা এই ফুলটি আমি প্রথম দেখলাম।
প্রোগ্রাম করাই ছিল, প্রথমে কাঠমান্ডু দেখব তারপরে পোখারা যাব। পোখারা থেকেই নাগরকোট ঘুরে আসব। এভাবেই এক সপ্তাহ এদিকটায় কাটিয়ে পরে চলে যাব ধারান।
এ প্রসঙ্গে বলে নিই, হিমালয়ের পর্বতশৃঙ্গের মধ্যে ৮,০০০ মিটার এর বেশী উচ্চতার শৃঙ্গ আছে ১৪ টি। এর ৮টিই নেপাল থেকে দেখা যায়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ চুড়া (১) এভারেষ্ট=৮,৮৪৮ মিটার, (২) কাঞ্চনজঙ্ঘা রেঞ্জ=৮,৫৯৮ মিটার, (৩) লোহৎসে=৮,৫১৬, (৪) মাকালু=৮,৪৬৩ মিটার, (৫) ধাওলাগিরি=৮,১৬৭ মিটার, (৬) মানসালু=৮,১৬৩ মিটার, (৭) অন্নপূর্ণা=৮,০৯১ মিটার এবং (৮) চো ইয়ো=৮,২০১ মিটার।
শুরু হলো আমাদের পোখারা যাত্রাঃ
নেপালের অন্যতম প্রসিদ্ধ দর্শনীয় ট্যুরিষ্ট স্পট পোখারা। কাঠমুন্ডুর পরেই নেপালের অন্যতম শহরগুলোর একটি। কাঠমান্ডু থেকে দূরত্ব ২০৩ কিলোমিটার। গাড়িতে ৭/৮ ঘন্টা লাগল, রাস্তায় মাঝে মাঝেই চা বিরতি দিতে হুয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর পোখরা শহরকে "নেপালের ভূস্বর্গ" ও "নেপাল রানী" বলা হয়। নেপাল পর্যটন বিভাগের একটি শ্লোগান আছে, " তোমার নেপাল দেখা পূর্ণ হবে না, যদি না পোখারা দেখ।" শহরটি নেপালের উত্তর পশ্চিমে, কেন্দ্রীয় অঞ্চলে অবস্থিত। পোখারা থেকে বিশ্বের দীর্ঘতম (১৪০কিলোমিটার) সারিবদ্ধ হিমালয় পাহাড়ের সারি দেখা যায়। পোখারাকে, "মাউন্টেন ভিউ"-এর শহরও বলা হয়। প্রায় ৯০০ মিটার উচ্চতায় পোখারা, বেড়ানোর উপযুক্ত সময় অক্টোবর থেকে এপ্রিল। জানুয়ারিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গড়ে ৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড। আর মে মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গড়ে ৩১ ডিগ্রী। জুন, জুলাই, আগষ্টের বর্ষায় প্রবল বৃষ্টিপাত হয় পোখারায়। প্রায়ই শোনা যায় পাহাড় ধ্বসে রাস্তা বন্ধ হয়ে আছে। তবে আমার মনে হয় এই সময়টায় পাহাড়ি ঝর্ণাগুলো দারূন লাগবে দেখতে।
পোখারার পার্বত্য শোভার তুলনা হয় না। সবুজ বনাঞ্চল পাহাড়ের কোলে, ফিউয়া লেক ঘিরে ছবির মত সাজানো সুন্দর পাহাড়ি শহর পোখারা। অদূরেই দিগন্তবিস্তৃত হিমালয়ের তুষার রূপ, উপত্যাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট্ট পাহাড়ি নদি যেন ছবির মত! ছোট ছোট পাহাড়ি গ্রাম, সবুজ শষ্য খেত, জলপ্রপাত, এসব দিয়ে যেন সাজানো একটি জনপদ পোখারা। তাই এখানে দু’চারদিন থেকে না দেখলে মন ভরবে না! আধুনিক পর্যটনের সবরকম সুযোগ মেলে এখানে। লেকের পানিতে বোটিং করা থেকে শুরু করে প্যারাগ্লাইডিং, ঘোড়ায় চড়া এমনকি সাইকেলও ভাড়া পাওয়া যায়। হোটেলের ম্যানেজারের মাধ্যমে এসবের ব্যবস্থা করা যায়।
পোখারার মূল আকর্ষণ প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করা। উত্তর দিকটা জুড়ে দিগন্ত বিস্তৃত নীল আকাশের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ৮,১৬৭ মিটার ঊঁচু ধওলাগিরি, ৭,২২৯ মিটারের অন্নপূর্ণা সাউথ, ৮,০৯১ মিটার উচ্চতার অন্নপূর্ণা শৃঙ্গ। আর আছে ৬,৯৯৩ মিটারের ফিস টেইল, সূর্যাস্ত সোনালী রূপ ধারণ করে। দুপুরে ফিউয়া লেকের পানিতে ফিস টেইলের ছায়া পড়ে।সে দৃশ্যও মনোহর। পোখারার মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে এই ফিস টেইলের অবস্থান। চাঁদনী রাতেও ফিস টেইল অনন্য রূপ ধারন করে।
শারাংকোটঃ- পোখারার শারাংকোট পর্যটকদের কাছে সব চেয়ে আকর্ষণীয় ভিউ পয়েন্ট, যেখান থেকে পর্বতমালার অপূর্ব দৃশ্য, পোখারা ভ্যালী ও ফিউয়া লেক দেখা যায়। শারাংকোট পোখারা থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে, সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১৫৯২ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এখানে পর্যটকেরা মূলতঃ আসে,পর্বতশৃঙ্গে সূর্য্যের প্রথম আলোর বর্ণালী দেখতে। একদিকে নতুন সুর্য্য, আরেকদিকে অন্নপূর্ণা, ফিস টেইল। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য!!
শারাংকোট যাবার রাস্তার একপাশে পাহাড়, যে পাশ থেকে পর্বতশৃঙ্গ গুলো দেখা যায়, সে পাশে হোটেল, রেস্টুরেন্ট। এইসব হোটেলের ছাদই ভিউ পয়েন্ট। আমরা পোখারা থেকে সুর্য ওঠার আগেই যেয়ে প্রবেশ করলাম এমনই একটি ভিউ পয়েন্টে। সাথে অসংখ্য পর্যটক। আমরা চেয়ার নিয়ে বসে গেলাম, মার্চের ঠান্ডাটাই আমাদের জন্য বেশী ঠান্ডা। ভারী গরম কাপড় পড়েই গিয়েছিলাম। এক রাউন্ড কফি খাওয়া হয়ে গেল। এর মাঝেই একপাশ থেকে উউউউ, ওয়াও ওয়াও চিৎকার। তাকিয়ে দেখলাম সূর্যের প্রথম আভা, খুব তাড়াতাড়িই সোনালী আলোয় ভরে দিয়ে সুর্য্য উঠে গেল। ওদিকে আরেক বিস্ময় গিরিশৃঙ্গগুলো ধিরে ধিরে স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হয়ে চলেছে। সুর্য্যের আলো যখন আর খালি চোখে সইছে না, ততক্ষণ পর্যন্ত ওখানে থেকে একরাশ মুগ্ধতা আর বিস্ময় নিয়ে চলে এলাম। দু'দিন আর দু'রাত্রি পোখারায় থেকে, পোখারাকে ঘুরে ঘুরে দেখেছি আমরা।
সূর্য্যের প্রথম কিরণ
কুয়াশা ভেদ করে প্রথম চোখে পড়ল অন্নপূর্ণা এবং ফিস টেইল
গিরিশৃঙ্গগুলো ধিরে ধিরে স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হয়ে চলেছে।
অন্নপূর্ণা
ফিস টেইল
একটি ভিউপয়েন্ট
ভিউপয়েন্টগুলোতে পর্যটককে আকৃষ্ট করার জন্য এমন অনেক কিছু পসরা সাজানো রয়েছে
ফেরার পথেও যেন ফিরে ফিরে চাইতে ইচ্ছে করে
ফিউয়া লেকঃ- এটি নেপালের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাকৃতিক লেকের একটি। দৈর্ঘে ৪কিলোমিটার এবং প্রস্থে ১.৫কিলোমিটার। প্রথমটির নাম "রারা লেক", এটা নেপালের পশ্চিমের মুগু জেলার দুর্গম অঞ্চলে অবস্থিত। ফিউয়া লেকটি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু, আদর্শ বিনোদন কেন্দ্র। রঙ বেরঙের নৌকা ভাড়ায় পাওয়া যায়, প্যাডেল বোট ও পালতোলা নৌকাও পাওয়া যায়। সময় হিসেব করে ভাড়া মেটাতে হয়। লেকের প্রবেশ পথেই টিকেটের ব্যবস্থা রয়েছে। ভিনদেশী পর্যটকদের চেয়ে সার্কভুক্ত দেশের জন্য টিকেটের দাম অনেক কম রাখা হয়। লেকের মাঝে একটি মন্দির আছে, নাম "বারাহি হিন্দু মন্দির"। ওখানে নৌকা ছাড়া যাবার আর কোন বাহন নেই। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাই নৌকায় পার হয়ে মন্দিরে যান, অনেক পর্যটকও যান ওখানে। নৌকা নিয়ে বেড়াতে ভীষণ ভাল লাগে। চারপাশে রঙ-বেরঙের নৌকায় চড়ে রঙ-বেরঙের মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে্ন। আমরা সকালের দিকটায় গিয়েছিলাম, না হলে অসম্ভব ভিড় জমে যায়। কিন্তু দুপুরের দিকে লেকে- ফিস টেইলের ছায়া দেখা যায়। সেই অভূতপূর্ব ছবি আমার দেখার সৌভাগ্য হয়নি!
ফিউয়া লেক-এ পর্যটকের অপেক্ষায় রঙিন নৌকাগুলো
দূরে খেলা করছে বিবিন্ন প্রজাতির হাঁস
নৌকাতে ওঠার ভিড়
নৌকা থেকে নামারও ভিড়
"বারাহি হিন্দু মন্দির"।
ভক্তের ভিড়ে "বারাহি হিন্দু মন্দির"
ডেভিস ফলঃ- ফিউয়া লেকের পানি থেকেই উৎপন্ন ডেভিস ফল। এই লেকের পানিই ঝর্ণাধারার মত নেমে আসে। বর্ষাকালে যখন প্রচুর পানি উপর থেকে পড়ে, বাস্পের মত জলকণা ছড়িয়ে যেতে থাকে বা বাতাসে তা উড়তে থাকে, সূর্য্যের আলোতে তখন রংধনু তৈরি হয়। সে এক অসাধারণ অনুভূতি!!! মোহনীয় পরিবেশ!!! আমি মার্চে গিয়েছিলাম, তাই প্রায় পানি শুন্য ডেভিস ফল দেখতে হয়েছে আমাকে!
ডেভিস ফল
মহেন্দ্র গুহাঃ- ডেভিস ফল-এর বিপরীতে চুনা পাথরের গুহাটিকে মহেন্দ্র গুহা বলে। এই গুহাটি মৃত রাজা মহেন্দ্র বির বিক্রম শাহাদেব-এর নামে, নামকরণ করা হয়েছে। এর ভিতরে ছোট ছোট স্বল্প পাওয়ারের বাল্ব লাগানো আছে। ভিতরে ঢুকতে একজন গাইড এবং জনপ্রন্তি একটি করে টর্চের প্রয়োজন হয়। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসীরা গুহার ভিতরে তাদের প্রধান যুদ্ধ দেবতা মহাদেবের মুর্তি স্থাপন করেছেন। সেখানে একজন পুরোহিতও আছেন। এটি তাদের একটি ধর্মীয় উপাসনালয়ও। ভিতরে পায়ের নিচে বড় বড় পাথর, স্বল্প আলো, হাতে টর্চ, সাথে গাইড, গা ছমছম পরিবেশ, আমাদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা !!! আরো কিছু দূরে আরেকটি গুহা আছে, যার নাম "চামেরি গুহা"। এর ভিতরে প্রচুর বাদুরও আছে। ওখানে আমার যাওয়া হয় নাই।
মহেন্দ্র গুহা এলাকাতে ঢোকার প্রধান গেট
মহেন্দ্র গুহার ভিতর ঢোকার মুখ
ইন্টারন্যাশনাল মাউন্টেন মিউজিয়ামঃ- পোখারা শহরের কেন্দ্রস্থলে, বিমানবন্দর থেক ১.৫ কিলোমিটার দক্ষীণে এই মিউজিয়ামটি অবস্থিত। এখানকার অন্যতম বৈশিষ্ট হলো, এখান থেকে তিনটি পর্বতশৃঙ্গ দেখা যায়। যার নাম, ধওলাগীরি, অন্নপূর্ণা ও মানাস্লু। এই মিউজিয়ামের প্রধান বৈশিষ্ট হলো, এতে পর্বতারোহনের কলা কৌশল, বিশ্বব্যাপি প্রধান পর্বতমালার তথ্য সমূহ, পর্বতমালার ভৌগলিক অবস্থান,বিশ্বব্যাপি পর্বতারোহীদের ব্যবহৃত সরঞ্জামাদী, পোশাক-আশাক এবং আরোহনের ইতিহাস প্রদর্শন করা আছে।
মিউজিয়ামের গেট
মিউজিয়ামের ভিতরের চত্বরে ফিস টেইলের ভাস্কর্য
মিউজিয়ামের ভিতর থেকে তোলা প্রথম এভারেষ্ট বিজয়ী হিলারির ছবি
মিউজিয়ামের ভিতর থেকে তোলা প্রথম এভারেষ্ট বিজয়ী তেনজিনের ছবি
মিউজিয়ামের ভিতর থেকে তোলা পর্বতশৃঙ্গ এভারেষ্ট
গুরখা মেমোরিয়াল মিউজিয়ামঃ- এই মিউজিয়ামটিও পোখারা শহরেই অবস্থিত। এখানে বিশ্ববিখ্যাত গুরখা সৈন্যদের যুদ্ধজয়ের কাহিনী, পোশাক, ব্যাচ, ব্যবহৃত অস্ত্র, অন্যান্য সরঞ্জামাদি বর্ণনা সহ প্রদর্শণ করা আছে। গুরখাদের আদীবাস পোখারার কাছেই, যা বর্তমানে গুরখা ল্যান্ড নামেই পরিচিত।
গুরখা মিউজিয়ামের ভিতরে
গুরখা মিউজিয়ামের বাইরে, আমাদের নেপালি ড্রাইভার ওম বাহাদুর কার্কী
তিব্বতিয়ান বুদ্ধীজম মোনাষ্ট্রীঃ- পোখারার শহরতলীতে, বিমানবন্দর থেকে চার কিলোমিটার দূরে শ্বেতি নদির পাশে অবস্থিত। এটি বৌদ্ধদের একটি উপাসনালয়।
তিব্বতিয়ান বুদ্ধীজম মোনাষ্ট্রী
তিব্বতিয়ান বুদ্ধীজম মোনাষ্ট্রীর ভিতরে
খুব ভোরে অন্নপূর্ণা ভিউ পয়েন্ট থেকে তোলা তিব্বতিয়ান বুদ্ধীজম মোনাষ্ট্রী, পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে শ্বেতি নদি
সব শেষে ফুলের ছবি দিয়ে শেষ করলাম, ছবিটি পোখারার হোটেল চত্বর থেকে তুলেছিলাম।
তথ্যসূত্রঃ গুগোল, ইন্টারন্যাশনাল মাউন্টেন মিউজিয়াম, নেপাল।
ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৫