জারভিস বে অষ্ট্রেলিয়ার, নিউ সাউথ ওয়েলস (NSW)-এর দক্ষীণ উপকূলের একটি সুরক্ষিত উপসাগর, রাজধানী সিডনি থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষীণে। এই উপসাগরের পানি ঝকঝকে পরিষ্কার। যেমন ঝকঝকে পরিস্কার তেমনি স্বচ্ছ নীল। আর সেই নীল সাগরে যেন নিজের ছায়া দেখছে নীল আকাশ। সাগর তীর থেকে কিছু দূর ভিতরে গেলেই অনেক ডলফিন দেখা যায়। দেখা যায় ডলফিনের স্বাচ্ছন্দে খেলাধুলো, ছুটোছুটি। আরো গভীরে গেলে তীমি মাছও দেখতে পাওয়া যায়। ডলফিন দেখতে যাওয়ার জন্য ছোট ছোট ক্রুজার এবং তীমি মাছ দেখতে যাওয়ার জন্য বড়-সড় জাহাজ ছেড়ে যায় হাসকিশন থেকে। আমরা ছোট ক্রুজারে ডলফিন দেখতে রওয়ানা হলাম নীল সাগরের গভীরে। কিছুক্ষণ পরেই ক্রুজারের গতি কমে এল, এক সময় প্রায় থেমেই গেল। দেখলাম অনেক ডলফিন খেলা করছে স্বচ্ছ নীল পানিতে আর সেই আনন্দ উপভোগ করতে ক্রুজার থেমে গিয়েছিল নীল জলের রাজ্যে। অবাক বিস্ময়ে দেখতে লাগলাম, যেন ভুলেই গিয়েছিলাম আমাদের একটা সময়ে ফিরতে হবে। কিছু আনন্দ, কিছু সুখস্মৃতি নিয়ে এক সময় ফিরে এলাম আমরা।
এই ক্রুজারে আমরা গিয়েছিলাম ডলফিন দেখতে
ডলফিন দেখার আগেই চোখ আটকে গেল পানকৌড়ির জলকেলিতে
ডলফিন যেন খেলা করছে ঢেউএর সাথে
এই উপসাগরকে ঘিরে আছে ছোট ছোট কতগুলো সৈকত। আমাদের কক্সবাজারের মত বিশাল সৈকত এখানে নেই। তবে এই ছোট ছোট সৈকতের বিশেষ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি হলো পৃথিবী বিখ্যাত সাদা বালি, আরেকটি কৃষ্টালের মত স্বচ্ছ পানি।
নীল রঙ যে এত সুন্দর হয় আগে বুঝিনি কখনও
আমরা ডলফিন দেখা শেষ করে এলাম সৈকতে। এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য, সবকিছু যেন ছবির মত লাগছে!!! সমদ্রের ঢেউ আসছে, কিন্তু পানি এতটুকুও ঘোলাটে দেখায় না। পায়ের নিচে শুভ্র বালি, স্বচ্ছ পানি! দূরে নীল আকাশ আর নীল পানি, একজন আরেকজনের কাছে যেন যে যার সৌন্দর্য প্রদর্শন করছে! তখন ছিল আগস্ট মাস, ওখানে শীতকাল। তাই বালি একটুও গরম ছিল না, বরং রোদের গরমে আরো ভাল লাগছিল। তাই আমরা অনেকক্ষণ ছিলাম সৈকতে। আজও ভুলতে পারিনি সেই ক্ষণের ভাললাগা!!!
জারভিস বে তে বিশ্ববিখ্যাত সাদা বালি
ছোট ছোট সৈকতের একটি। ছোট হলেও অপরূপা
★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২০