চন্দ্রমল্লিকার ইংরেজি নাম Chrysanthemum, বৈজ্ঞানিক নাম Chrysanthemum indicum। ক্রিস্যানথিমাম শব্দটি গ্রীক থেকে এসেছে। ক্রিসস অর্থ 'সোনা' এবং এনথিমাম অর্থ 'ফুল'।
এটি অতন্ত পরিচিত ফুল। এই ফুলের অনেকগুলো প্রজাতি রয়েছে। বাণিজ্যিকভিত্তিতে যেগুলোর চাষ হয়, সেগুলোকে প্রধানতঃ দুই শ্রেণীতে ভাগ করা হয় – ছোট ও বড়৷
ছোট প্রজাতি - বাসন্তী (জলদি জাত) – উজ্জ্বল হলুদ, মেঘামী (জলদি জাত) – হালকা বেগুনী, উনা (নাবিজাত) – হালকা গোলাপী
বড় প্রজাতি - চন্দমা, স্নোবল, সোনার বাংলা, রোজডে, পুইসা পকেট।
এ গাছ ৫০ থেকে ১৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। বৃহদাকৃতির ফুলগুলো সচরাচর সাদা, হলুদ, মেরুন রঙের হয়।
এটি বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হয়। বিভিন্ন রংয়ের এই ফুলগুলোর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমূল্য রয়েছে প্রথম সারিতে। অক্টোবরে কুঁড়ি আসে এবং নভেম্বরে ফুল ফোটে৷ গাছে ফুল তাজা থাকে ২০ থেকে ২৫ দিন৷ ফুলদানি সাজানোর জন্য লম্বা ডাঁটাসহ এবং মালা গাঁখার জন্য ডাঁটা ছাড়া ফুল তোলা হয়। অন্যান্য স্থানীয় নামের মধ্যে - চন্দ্রমুখী, chrysanthemum, Gul dawoodi উল্লেখযোগ্য। (তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া)
এ ফুলের গাছ স্থায়ী উদ্ভিদ। একবার লাগালে প্রতি বছর এতে ফুল ফোটে। ফুল ফুটে শেষ হয়ে গেলে , বড় গাছগুলো মরে যেতে থাকে আর এই বড় গাছে শিকড় থেকে ছোট ছোট চারা গাছের জন্ম হয়।
জানা যায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এ ফুলের নাম দিয়েছিলেন চন্দ্রমল্লিকা!
আমার বাগানের ফুলগুলোর মধ্য বেশ কয়েক প্রকারের চন্দ্র মল্লিকা আছে। সেই সাথে আরো আছে স্নোবল। চলুন ঘুরে আসি আমার মল্লিকা বনে।
যখন প্রথম ধরেছে কলি আমার মল্লিকা বনে!!!!!!!!!!
আমার মল্লিকাবনে যখন প্রথম ধরেছে কলি
তোমার লাগিয়া তখনি, বন্ধু, বেঁধেছিনু অঞ্জলি ।।
তখনো কুহেলীজালে,
সখা, তরুণী উষার ভালে
শিশিরে শিশিরে অরুণমালিকা
উঠিতেছে ছলোছলি ।।
এখন বনের গান, বন্ধু, হয় নি তো অবসান-
তবু এখনি যাবে কি চলি ।
ও মোর করুণ বল্লিকা,
ও তোর শ্রান্ত মল্লিকা
ঝরো-ঝরো হল, এই বেলা তোর শেষ কথা দিস বলি ।।
——- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মেরুন রঙের
হলুদ রঙের (ছোট)
হলুদ রঙের (বড়)
দারুচিনি রঙের
সাদা রঙের
সাদা রঙের স্নোবল
হালকা বেগুনী রঙের স্নোবল
হলুদ রঙের স্নোবল
★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭