ঈদের ব্যস্ততা শেষ হয়ে যাবার পর ঢাকা থেকে বেরোবার তাগিদ অনুভব করছিলাম। বহুত ঝক্কি গেছে ঈদের এ ক’দিন। মুক্ত বাতাশে স্বাস নিতে ইচ্ছে করছিল। ঠিক করলাম মাওয়া যাব, যেখানে পদ্মা ব্রীজ এর হাউজিং। সকালে যেয়ে বিকেলেই চলে আসব। আমার ছোট বোনটাকেও দেখা হয়নি অনেকদিন। ও শ্বশুরবাড়ীতে ঈদ করেছে। ঈদের পরে ফিরেছে মাওয়া ক্যাম্পাসে।
সকালে বের হয়ে এলাম ঝুম বৃষ্টি উপেক্ষা করেই। রাস্তার জ্যাম পেরিয়ে যখন পুরোনো ঢাকায় এলাম, বৃষ্টিটা অনেকটাই থেমে এল। ঝিরঝিরে ঠান্ডা বাতাস বইছে। গাড়ীর কাঁচ নামিয়ে দিয়ে চলেছি আমরা। ভ্যাপসা গরমের পরে বৃষ্টিভেজা বাতাসের পরশ, দারুন ভাল লাগছিল। বুড়িগঙ্গা ব্রীজের উপরে না থেমে পারলাম না। বুড়ীগঙ্গা আর যেন বুড়ী নেই, এখন সে ভরা যৌবনা। বর্ষার ঝকঝকে পানি সে অঙ্গে ধারন করে আছে। সে সৌন্দর্য্য কিছুক্ষণ উপভোগ করে এগিয়ে চললাম মাওয়ার পথে। কেরানীগঞ্জ পার হতেই শুধু সবুজ আর সবুজ। বৃষ্টিস্নাত এই সবুজ সত্যিই মনোহর। দেড় ঘন্টার পথ তিন ঘন্টায় কাটিয়ে চলে এলাম মাওয়া পদ্মা ব্রীজ ক্যাম্পাসে।
বুড়িগঙ্গা নদি, নদিতে বড় বড় লঞ্চের সাথে ছোট্ট ডিঙি নৌকাও তাল মিলিয়ে চলছে
এপাড়ে সদরঘাট
ওপাড়ে কেরানীগঞ্জ
ক্যাপশন নিস্প্রয়োজন
ধলেশ্বরী সেতুর কাছে চলে এসেছি আমরা
ধলেশ্বরী সেতু এক থেকে ধলেশ্বরী সেতু দুই দেখা যাচ্ছে
জননেতাদের শুভেচ্ছা নিয়ে ধলেশ্বরী পেরিয়ে এলাম
নতুন মাটিতে গড়ে ওঠা ক্যাম্পাসটি এখন ঘাস লাগিয়ে সবুজ করা হয়েছে। প্রতিটি বাড়ীর সামনে বাগান। দু’একটা করে ফুল ফুটছে। চারিদিকে খোলা সবুজ মাঠে ঝাঁকে ঝাঁকে টুনটুনি, চড়ুই, শালিক, ফিঙে পাখির কিচির মিচির শব্দ, চারিদিকের নিস্তব্ধতার ব্যাঘাত ঘটিয়ে চলেছে। সারাটা দিন ওখানে কাটিয়ে, রাত আটটার দিকে ফিরে এলাম ঢাকার যান্ত্রীক জীবনে।
চলে এলাম পদ্মা ব্রীজ ক্যাম্পাসে (মাওয়া)। তিন বেড রুমের হাউস এগুলো ।
ক্যাম্পাসের মসজিদ
অফিস বিল্ডিং
ইঞ্জিনিয়ার'স মেস
গাড়ী পার্কিং-এর স্থান
বাস্কেট বল মাঠ
নির্মাণাধিন সুইমিং পুল
ক্রিকেট মাঠ
চিকিৎসা কেন্দ্র
গ্যারেজের সামনের মাঠেই ফুটবল খেলা চলছে
★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০১