বিনা ভোটে নির্বাচন করে ক্ষমতা আকড়ে রাখলে ক্ষমতাধরের আশপাশে এই রকম চাটুকার তেলমর্দনকারীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তেই থাকে। ক্ষমতাধর ব্যক্তি জানে তার এই ক্ষমতা ফানুসের মতই। গ্যাস এবং বায়ুর জোরেই তার শুন্যে উড়ে বেড়ানো। গ্যাস শেষ হয়ে গেলে কিংবা কোনো কিছুর খোচাতে ঠিকই সে মাটিতে আচাড় খেয়ে পড়বে।কিন্তু যতক্ষণ তার মধ্যে গ্যাস মাটিকে থোড়াই কেয়ার করে শুন্যে উড়ছে তো উড়ছেই।হাসিনার আশপাশে ও তেল মর্দনকারী আর চাটুকার সংখ্যা আছে । কারণ আমজনতার চোখে ধুলো দিয়ে হাসিনা কে তেলের উপর ভাসাতে পারলেই ক্ষমতার কুরসী চিরস্থায়ী করা যাবে। আর তেল মর্দনকারীরা ও টু পাইস ইনকাম করার সুযোগ থাকে।
২০১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের সব পাঠ্যপুস্তকের কভার পৃষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বই বিতরণের ছবি অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।একই সঙ্গে ওই ছবির সঙ্গে ‘মানসম্মত শিক্ষা, জাতির প্রতিজ্ঞা’ শীর্ষক স্লোগানও অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শেখ হাসিনা কে ছাত্রছাত্রীদের কাছে একজন শিক্ষানুরাগী হিসেবে পরিচয় করে দেয়ার পায়তারা।
আমরা আমজনতা এই প্রক্রিয়াকে বাহবা জানাতেই পারি। তবে শুধুমাত্র বইয়ের মলাটে এই ছবি কেন।রান্না বান্না শিক্ষার বইয়ে শেখ হাসিনা একজন ভালো রাধুনী তার ছবি থাকতে পারে।ধর্ম শিক্ষার বইয়ে তার হিজাব এবং হাতে তসবিহওয়ালা ছবি দেয়া যেতে পারে। বাংলা সাহিত্যের রোমান্টিক গল্পে তার আর মৃনালদার মধুর প্রেম কাহিনী থাকতে পারে। নাট্য আর চারুকলার বইয়ে বার্ন ইউনিটে গিয়ে চোখে গ্লিসারিন লাগিয়ে কিভাবে কাদতে পারা যায় তার ছবি সহ বিবরণ থাকতে পারে। একজন সাহসী নারী হিসেবে কিভাবে একটি লাশের বদলে দশটি লাশ ফেলা যায় কিংবা লগি বৈঠা নিয়ে কিভাবে মানুষ মারার মন্ত্র তার কর্মীদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া যায় তার ছবি সহ বিবরণ ইতিহাসের বইয়ে লিপিবদ্ধ করা যেতে পারে।
তাহলে তার আশপাশের চাটুকারদের মত আমরা আম জনতা ও খুশি।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৪