এই যুক্তিতে মুক্তচিন্তার আবরনে আবৃত হয়ে যদি কোন ছেলে অথবা মেয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তায় দাড়িয়ে সেক্স্ করে আর বলে "শরীর আমার সিদ্বান্ত আমার" তবে কি পৃথিবীর এমন কোন ধর্ম এমনকি এমন কোন দেশ আছে যে তাদেরকে এই গর্হিত কাজ করতে বাধা প্রদান করবে না? আমার ধারনায় বিংশ্বশতাব্দির এই পৃথিবীর এমন কোন মানব বসতিই হয়তো এটাকে সহজে মানতে চাইবে না। আর চাইবে না বলেই ত মানুষ আর পশুর মধ্যে প্রার্থক্য। মানব সমাজে বাচতে হলে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় মানুষকে কিছু না কিছু নিয়ম কানুন মানতেই হয়। সমাজের সব আইন-ই সবার-ই সমান পছন্দ হয় না কিন্তু সামাজিক জীব হিসাবে চলার জন্য সবাইকেই মানতে হয়। যদি কেই না মেনে চলে তবে-ত দেশ অথবা ধর্ম তাকে সুস্থ মানুষই মনে করে না ফলে তার ঠিকানা হয় হয়তো জেলখানা না হয় পাগলাগারদ।
একইভাবে মুক্তচিন্তা মানেই এটা হতেই পারে না যে, আমার যা মন চাইবে তাই বলে দিতে পারবো যা ইচছা তাই সবখানে লিখতে পারবো। মুক্তচিন্তায় চিন্তিত ব্যাক্তিকেউ কথা বলা অথবা লেখা-লেখিতে অবশ্যই কিছু না কিছু আইন-কানুন-আদব-কায়দা-শিষ্টাচার মানতেই হবে। দুনিয়ায় এমন কোন পাগলা ড্রাইবার অবশ্যই পাওয়া যাবে না যে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে চলার সময় গাড়ির ব্রেক-লুকিং গ্লাস-ইঊ টান নিষেধ এই সবের তোয়াক্কা করবে না। এমনকি গাড়িকে নিরাপদে গন্তেব্য পাঠানোর জন্য চতুর ড্রাইবারকেও তার এসিসটেন্ট হিসাবে হেলপার নিতে হয় আর সরকার-ত তার জন্য রাস্তায় রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের ব্যাবস্থাও করে থাকে। তখন-ত কোন ড্রাইভার এই কথা বলে না যে, আমার গাড়ি আমি চালাবো যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে চালাবো। ইভেন মুক্তচিন্তায় চিন্তিত কোন ভাইকেও পাওয়া যাবে না যে এই ব্রেক-লুকিংগ্লাস বিহিন-হেলপার ছাড়া চলন্ত কোন গাড়ির যাত্রি হয়ে চলাচল করতে। তবে কেনো শুধুই শুধু ধর্মীয় বিষয়ে মুক্তমনা হয়ে মানব সমাজটাকে অস্থির করে তুলতে হবে?
একই সাথে সমাজকে যারা অস্থির করে তুলছে তাদেরকে শায়েস্তা করতে যেয়ে রাষ্টযন্ত্রের আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে খুনা-খুনি শুরু করাটাও যে খুবই মঙ্গলজনক তাও কিন্তু সঠিক নয়। অপরাধীকে আইনের হাতে তুলে দিলেই বরং সমাজের অস্থিরতা কমবে আর আমরাও একটু শান্তি পাবো। আর শেষ কথা হলো আমাদের দেশে অতি সম্প্রতি যে সমস্ত ব্লগার মুক্তির গান গাচ্ছে তারাও কিন্তু আমাদেরই ভাই অথবা বোন। একটু চিন্তা করার বিষয় হলো এরা কিভাবে মস্তিকগতভাবে আমাদের সমাজ থেকে আলাদা হয়ে গেলো? এর পিছনে দায়ী কিন্তু আমরাই কারন এদের জীবনের শুরুতেই আমরা ওদেরকে মোরালিটি-ইথিকস-সামাজিকতা-ধার্মীকতা ইত্যাদির কিঝুই শিক্ষা দেইনি। যে কোন জমি হতে ফসল ফলাতে হলে কৃষককে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে রাত-দিন গাদার মত খাটুনি খাটতে হয় কিন্তু ঐ জমিতে আগাছা জম্নানোর জন্য কিন্তু কোন রকম পরিশ্রমই করতে হয় না। আগাছা আপনা আপনিই মাথাচারা দিয়ে উঠে। ঠিক তেমনই সন্তানদের ভাল মানুষ করতে হলে পরিবারেরই প্রত্যেক সদস্যকেই কৃষকের মতই মাথার ঘাম পায়ে ফেলে রাত-দিন পরিশ্রম করতে হয় কিন্তু সন্তানকে বখাটে বানানোর জন্য কোনই পরিশ্রম করতে হয় না বরং সামান্য অমযোগীই যথেষ্ট।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭