বচ্ছরে ২৫ লাখ লুক নতুন যুগ হইতাছে (৩০ লাখ হয়তো জন্মায়, ৫/৬ লাখ মইরা ২৫ লাখে ব্যালান্চ হয়)। কথা হইতাচে এত লুক বাড়তাছে ক্যান, এর পিছনে দুষ কার। চলেন শিকড় থিকা শুরু করি
১। আম্গো দ্যাশে এখন পর্যন্ত বিয়ার পর সেক্স কইরাই মানুষ বাইচ্চা বানায়, তয় বিয়াত লুকে সেক্স কর্লেই বাইচ্চা বানাইতে হইবো এমন কতা নাই
২। মদ্ধবিত্ত আর উচ্চবিত্তগো বেশির ভাগই হিসাব কইরা দুইটা আড়াইটার বেশি পুলাপান লয় না এক জেনারেশন হয়া গেছে
৩। বেশির ভাগ লুক যুগ হইতাছে নিম্নবিত্ত আর গ্রামাঞ্চলে
৪। কিন্তুক নিম্মবিত্ত আর গ্রামের লুকেরা কেন এত বাইচ্চা বানায়?
৫। ধর্ম, কুসংস্কার আর অশিক্ষার কারুনে জন্মনিয়ন্ত্রনের প্রভাব এগো মইধ্যে কম। যুদিও কন্ডম সস্তা, নানা রকম ওপারেশনও ফ্রি। এক্টা সরল রিলেশনশিপ আছে, ২ এর ওধিক বাইচ্চা ওয়ালা মহিলারা বেশির ভাগই ওশিক্ষিত। এছাড়া গ্রামাঞ্চলে বহুবিবাহও কারন।
৬। কিন্তুক মহিলারা ওশিক্ষিত, কুসংস্কারাচ্ছন্ন কেন? বহু বিবাহই বা নিম্নবিত্ত/গ্রামাঞ্চলে বেশি কেন?
৭। কারন ধর্মের প্রভাব। পর্দার কারুনে মেয়েরা ইষ্কুলে যাইতে পারে না, দর্মে মাইয়াদের পিছনে ফেলাইয়া রাখার করুনে শিক্ষার সুযুগ কম। শিক্ষার সুযুগ কম বইলা তারা সংসারের ডিসিশনও লইতে পারে না, সুতরাং জামাই কর্তিক ধর্ষন ও বাইচ্চা জন্ম দেওন চল্তে থাকে। বেপারটা পরিষ্কার হইবো কিছুদিন আগেও গরীব দেশ ভিয়েতনামের দিকে তাকাইলে। ক্যাবল ইস্লাম ধর্ম না থাকায় পুর্ব এশিয়ার দেশগুলাতে নারি পুরুষের শিক্ষার হার কাছাকাচি। সেই কারনে দু দশকে তাগো জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনে আইয়া গেচে, কিন্তুক আম্গো দ্যাশে আসে নাই। বিশ্শাস না হইলে এক্টা নিগেটিব উদারন দেখি। ৭১ সালে পচ্চিম পাকিস্তানের লুক সংখ্যা ছিল ছয় কুটি বা পাচ কুটি, আমরা ছিলাম ৭ কুটি, এখন আমরা ১৫ কুটি, হেরা ১৮ কুটি। সবই আল্লার ইচ্চা।
সর্কার ফেমিলি প্ল্যানে ওনেক ট্যাকা ঢালে। বিদেশি সাহায্যও এই খাতে ওনেক। গত ২৫ বচ্ছরে জনসংখ্যা বৃদ্দিও কমছে। তয় ভিয়েতনামের মত কমে নাই। কারন গোড়ায় গলদ আছে। সেইটা হইলো ধর্ম। গোড়া না ঠিক কইরা আগায় পানি ঢাললে লাব হইবো না। দ্যাশে বহুবিবাহ নিষিদ্দ করেন, আর সন্তান নিব কি নিব না এই ডিসিশন মাইয়াগো হাতে ছাইড়া দেন, সব কিছুত মাইয়াগো সমান ওধিকার দেন, তারপর পাচ বচ্ছর পরে আইসা আমারে জিগাইয়েন কাম হইছে কি না।