আমার ঘর গড়তে গিয়ে ভেংগ্যাছে অনেক আগেই,
নীল শাড়ীর ভাঁজও খুলে নি
'তোমরা' হারিয়ে গিয়েছ।
হারাওনি-
প্রবৃত্তি তোমাদের নিয়ে গ্যাছে সদ্য শাদা হওয়া নদীর জলে।।
তোমাদের দোষ কই?
নদীর পানিতো সবসময় রক্ত কালোই থাকে,
এখানে-
সেখানে!
আমি রিতীমত হারাই
রাজপথে,
বিক্ষিপ্ত নদীতে,
শুকিয়ে যাওয়া খালে;
ঘরে ফিরা অতিথি পাখিদের কোলাহলে;
আমি হারাই-
এটাতো নতুন কোন কাব্য বা কবিতা না।
আমরা রাজপথের নুড়িতে ভালোবাসা খুঁজি;
মাঝে মাঝে বুলেটের খোসা খুঁজে পাই;
আমাদের পাকস্থলীতে এম সিক্সটিন বাসা বাঁধে,
জানতে চাইতে পারো-
ক্যানো?!
আমাদের জন্ম ছিল জমে যাওয়া রক্তের এভারেস্টে-
এভারেস্ট তো গলে যায় রোজইঃ
রক্তের দলা কি গলতে পারে?
চারপাশে আমাবস্যার মত তেজস্ক্রিয়তা নিয়ে
আমরা ঘুরে বেড়াই;
মাথায় ঢুকে চেরনোবিলের কান্না!
তুমি বলতেই পারো
এত চিন্তা ক্যানো "বাবা"?
এখানে রক্তের পর ঘাম নিয়েও ব্যবসা চলে-
চলছে অবিরাম অসুস্থতা,
এখানে হাড্ডিসার 'ক্লায়েন্ট' পড়ে থাকে অবাক দৃষ্টি মেলে।
তুমি বলতেই পারো-
কি বলছ বুঝছি নাতো!
তোমরা বুঝেছ কবে?
ভালোবাসার মত শব্দও এখন বাংলা ভাষায় হাস্যকর ঠেকে!
আমি এক আর্টিশম্যান হয়ে বলে যাচ্ছি-
পৃথিবীর ভালোমন্দ যেমন আমাকে পোড়ায়-
তোমাদেরও একদিন পোড়াবে-
যখন জঠর বেদনায় 'মা' 'মা' বলে কেঁদে উঠবে শতবার।
অভিশাপ দিচ্ছি না-
এই ব্যাথা বুকে নিয়ে আজন্ম আমরা রাজপথ মাড়াই।
ভালো থেকো ফুলেরা-
ভালো রেখো!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৪:১১