তখন রাত;
ঘুমাতে যায়নি-
ঠান্ডা হতে হতে থেমে যাওয়া উষ্ণ বাতাস-
প্রকৃতি থেকে চুরি করে আনা 'লোহা'র গ্রিল বেয়ে বেয়ে বইছিল ঠিকই।
রাত বড় বেহায়া!
সামঞ্জস্যহীন প্রকৃতি যেন
জেগে উঠল,
বড় বড় চোখ মেলে দেখল-
ষোড়শীর কম্পন।
রাত বড় বেহায়া!!
বয়স বেড়ে যাবে বলে চিন্তিত-
কামরাঙ্গা গাছও দেখছিল,
অসামঞ্জস্য প্রেম প্রেম ব্যর্থতা।।
অপ্রিয়তা!
চাঁদের মন ভালো খারাপ হলে,
সাগরে ফুলে ফেঁপে উঠে জল-
ঢেউ উঠে;
সেই ঢেউতো শিশুসুলভ।।
যদি দ্যাখো ষোড়শীর কম্পন।
সাইক্লোনের মত অবাধ্য হাওয়াও হার মেনে যায়-
অবাধ্য প্রশ্বাস এর কাছে;
ষোড়শীর গোপন বাধাহীন নিঃশ্বাস।।
চাঁদের মন ভালো না খারাপ,
কি আসে যায় তাতে!
মাটিতে হাঁটতে থাকা চিনিচোরও-
চমকে উঠে;
একি!
ঝড় উঠবে নাকি!
ওগো, বাসায় ঢুক-
রতনরেও নিয়ে যাও!
শহরে বিশুদ্ধ বাতাস বয়-
নগরজুড়ে প্রকৃতির উল্লাস;
তবে,
দূর্যোগ ষোড়শীর স্বত্তায়,
ভূমিকম্পতো নস্যি।।
রাত জুড়ে ব্যস্ততার উপর-
একটা মন খারাপ করা প্রলেপ;
ষোড়শীর কম্পন!
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪১