১
রেশমী চুলের আর পেলব চামড়ায় টানা ডাগড় চোখের তরুনীটি - হাটছে,
এখন শুভ সকাল, শান্ত অমলিন পরিবেশে,
হাটছে তরুনী, খুব হাটছে।
২
সামনেই একটা বড় বিপদজনক খাল,
তরুনীটি ভয় পাচ্ছে।
একজন আবক্ষ যুবক, তরুনীটিকে, হাত ধরে পার করে দিল।
যুবকটি হঠাৎ সাঁকোর শেষ মাথায় যেয়ে পরে- মরেই গেল।
তরুনীটি যুবকটির জন্য কাঁদল,
তবু থেমে থাকল না, এগিয়ে চলল, দ্রুত।
৩
তরুনীটির মুখে ছিল আপমানের ছোয়া,
একটু এগিয়ে যেতেই, এক বৃদ্ধ মা তরুনীটিকে থামালেন।
বৃদ্ধ মা তরুনীর আপমানে ব্যাথিত হলেন, প্রতিবাদ করলেন।
প্রতিবাদ করতে করতে মা জননীও মরে গেলেন।
তরুনীটির আপমানের ছায়া আরো গভীর হল,
যখন সে দেখল কিছু অপমানকরীরা ওঁকে, আবারও ইভ চিজিং করছে।
তরুনীটির মুখ নিচু করে এগিয়ে চলল।
৪
কিছু বেখেয়ালী ছেলেরা এই অপমানের তিব্র প্রতিবাদ করল,
সবাই তাতে সমর্থন দিল,
বেখেয়ালী ছেলেরা ইভ চিজারদের ধরে ধরে শাস্তি দিল।
তরুনীটির আপমানের ছায়া দুর হল।
রেশমী চুলের আর পেলব চামড়ায় টানা ডাগড় চোখের তরুনীটি দ্রুত এগিয়ে চলল।
৫
সুন্দরী তরুণীটি এখন বেকে বেকে হাটছে,
হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত।
আজ বহুদিন সে খাবার খাইনি,
শরীর শীর্ণ হয়েছে।
আজ বহুদিন সে কোন চিকিৎসা পাইনি,
শরীরে অসুখ বেঁধেছে।
আজ বহুদিন কোন বন্ধু পাইনি।
বন্ধুরা সবই শত্রু হয়েছে,
চারিদিকে শত্রু।
শত্রুরা ক্রমশ কাপড় ছিড়ে নিচ্ছে,
বেআব্রু শরীর বেরিয়ে পড়ছে।
সে প্রকাশিত চামড়া দেখে ছেলে বুড়োরা - মরা মাছের দৃষ্টি দিয়ে চেয়ে আছে।
একজনও আবক্ষ যুবক আর অবশিস্ট নেই।
একজন প্রতিবাদি বৃদ্ধ মা আর বেচেঁ নেই।
বেখেয়ালী ছেলেরা সব হাড়িয়ে গেছে, অজানা দেশে।
বেচেঁ আছে কিছু বোধহীন শকুন,
আর একজন অর্ধনগ্ন, মৃতপ্রায় তরুনী।
আসলে সবই ঠিক আছে,
রেশমী চুলের আর পেলব চামড়ায় টানা ডাগড় চোখের তরুনীটি "ঠিকই" আছে।
"এটাই" এখন "স্বাভাবিক"।
@দুঃখিত, দেরিতে উত্তর দেয়ার জন্য। আজ নুর হোসেনকে মনে পড়ছে, অনেক অনেক।