কিছু রাত আসে ভয়ানক নিস্তদ্ধতা নিয়ে - কোন কিছুতেই মন বসাতে পারি না। আমার সবকিছু এলোমেলো হয়ে আসে। দখিনের ভাঙ্গা জানলা দিয়ে হুরমুরিয়ে বাতাস ডুকছে। রাতের ঠিক এই সময়টা আমার খুব পছন্দের,কোথাও কেউ নেই কেবলই আমি।
আমি শেষ কবে ভালবেসেছিলাম? কৈশোরের সেই দুরন্ত দিন গুলোতে সন্ধ্যা বেলায় আম কুড়োনোয় বেলায়, খেলার ছলে আলতো করে ওর হাত ছোঁয়ায়, নাকি খানিকটা আগে দুটো শরীরের এক হয়ে যাওয়ায়।
আমার বালকবেলা কেটেছে অনেকটা অসহায়ের মত। বন্ধু বলতে আমার কেউ ছিল না - মা আমাকে অনেক অনেক বই কিনে দিত আর বাবা যোগাত আমার শখের সব খোরাক। বিকেলে যখন আমার সমবয়সী সবাই সবুজ খোলা মাঠে খেলত,আমি জানালার ফাঁক দিয়ে দেখতাম। দেখতে দেখতে কেমন করে জানি বড় হয়ে গেলাম। আজও আমার ইচ্ছে করে সেই সবুজ খোলা মাঠে একটা গোলাকার বল নিয়ে দৌড়াতে।
ওহহ আমার কৈশোরের সেই মিষ্টি ভালবাসার কথা বলতে ভুলেই গেছি। চুম্বন কি বন্তু খায় না মাথায় দেয়---চুমো সম্পর্কে আমার ধারনাটা এমনই ছিল ওই বয়সটাতে। একটা ছেলে আর মেয়ের মাঝে পার্থক্য ঠিক কুন জায়গাটাতে আমি বুঝতে পারতাম না। ছোট্ট থাকতে বোধ হয় আমি কোলবালিশ টাইপ ছিলাম(গোলগাল টাইপের) আমার খালার উঠতি বয়সি বান্ধবীরা বাসায় আসলেই সে কি আদর আর যাবার সময় আর কিছু না হোক অন্তত একটা চুমো খেয়ে যেতো আমাকে! হায় তখন যদি বুঝতাম!
ইংরেজীতে বলতে গেলে বলা যায় “লাভ” - “অ্যাম নট সিওর অ্যাবাউট দ্যাট” ওটাকে ভালবাসা বলা যায় না। খানিকটা ভাল লাগাকে ভালবাসার সাথে তুলনা করাটা বোকামি যদিও ভালবাসা এক অর্থে বোকামিই। আমি খুব কাছ থেকে ভালবাসাকে দেখেছি। তবুও পুরোটা জানতে পারিনি এখনও। দখিনের জানালাটা দিয়ে এখনো বাতাস আসছে - ঝিরঝিরে নীরবতায় দখিনের এলোমেলো বাতাসে আমিও খানিকটা এলোমেলো হয়ে গেলাম।