স্বপ্ন দেখতে কে না ভালবাসে। কেউ দেখাতে ভালবাসে,কেউ দেখতে ভালবাসে...আমরা সবাই স্বপ্ন দেখি। যে জীবনে স্বপ্ন নেই সে জীবন প্রকৃত পক্ষে অর্থহীন। শুধু আমার স্বপ্নটাই চার দেয়ালে বন্ধী। তবুও আমি স্বপ্ন দেখি। হাত বাড়িয়ে ওই দুরের চাঁদটাকে ছোঁবার স্বপ্ন, ছায়া ঢাকা পথে তোমার হাত হাত রেখে হেঁটে যাবার স্বপ্ন, নীল আকাশে ঘুড়ি ওড়ানোর স্বপ্ন।
১. জেগে জেগে স্বপ্ন দেখি ....ঘুমিয়েও স্বপ্ন দেখি। স্বপ্ন ছিল বিশাল কোন এক পাবলিক ইউনিভার্সিটতে পড়ব। দাপিয়ে বেড়াব পুরোটা ক্যাম্পাস। কিন্তু স্বপ্ন মাঝে মাঝে স্বপ্নই থেকে যায়। বাস্তবতায় আমি ঝিমিয়েছি অন্ধ-চিপা গলির এক ভার্সিতে। যেখানে সূর্যের আলোও ঠিক মত পৌছোত না। গতবাধা বাধা নিয়মে ৬ মাস পড়াশোনা শেষে সবাই পরীক্ষা দিত “সে এক ব্যাপক অবস্থা হলের বাইরে সবাই সারি ধরে পড়ছে, দুনিয়াতে এই মূহূর্ত সবচাইতে দামী হইল হাতের ওই চোথা গুলান”। একখান সিগারেট মুখে লইয়্যা হলের সামনে গেলে আর পড়তেও মন চাইত না সবার পড়ার ভাব দেইখ্যা। একমাথা স্বপ্ন নিয়া পরীক্ষা দিতে বসতাম – রাত্রিকালে স্বপ্নে দেখছি যে পাঁচটা প্রশ্নের উওর দেইখ্যা আইছি ওই পাচটাই আসছে পরীক্ষায়। বিরক্তিকর ঘন্টাখানের কলমের যুদ্ধ শেষে বাইরে আসলে গিয়া হইল শান্তি!
২. স্বপ্ন দেখার শুরুটা সেই কলেজের সেকেন্ড ইয়ারে কেমিষ্টি মডেল চেষ্ট দেয়ার সময়। কয়দিন পর পরীক্ষা, পরীক্ষা কি দিমু ওরে দেখেত দেখতেই আমার সময় যাইত। একমনে খাতায় লিখত – মাঝে মাঝে এক পাশের বড় চুলগুলো চোখের উপর এসে লেখায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করত। ইচ্ছে হত হাত দিয়ে চুলগুলো সরিয়ে দেই! সে সময়টায় খুব স্বপ্ন দেখতাম। রঙ্গিন সব স্বপ্ন। স্বপ্নটাকে জিততে চাইতাম। অনেক সাহস সঞ্চয় করে ওকে বলতে পেরেছিলাম। কিন্তু ভালবাসায় যে শর্ত জুরে কেউ দিতে পারে আমি প্রথম জানলাম। “ভালো রেজাল্ট করে ভাল কোথাও ভর্তি না হলে আমাকেও পাবে না তুমি”
৩. ইদানিং নতুন একটা স্বপ্ন দেখছি। আমার সময় ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে। চারপাশের সবাই সেটা মেনে নিলেও আমি মানতে নারজ। আমার চারপাশ জুরে সব প্রিয় মুখ গুলি।মার কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছি আমি। আমার মা বড় বেশি কাদে তাঁর অধর বেয়ে গরিয়ে পড়া চোখের পানি আমার কপাল এ পড়লে আমি তা টের পাচ্ছি। এমন মাকে ফেলে স্বপ্নেও মরতে ইচ্ছে হয় না।আমার মাকে যে আমি অনেকখানি ভালবাসি কিন্তু অনেক না বলা কথার মত এটাও বলা হবে না আমার। আমি ঈশ্বরে তেমন বিশ্বাস করি না তবুও স্বপ্ন হোক আর বাস্তবতায় যেখানেই হোক না কেন আমার মরন যেন প্রতিবারই এই মায়ের কোলে লিখা থাকে।