বাস্তবতা মনে না রবী-ঠাকুরের কোন কবিতা অথবা জীবনানন্দের বনলতা সেন। বাস্তবতা সব কিছু থেকে আলাদা অনেক অনেক বেশী জটিল। কিন্তু হায় আমার বুঝতে যে অনেকখানি দেরী হয়ে গেছে।
১. আমার শেষ চাকরীর ইন্টারভিউ -তে আমি একটা প্রশ্ন করছিলাম---একজন টেকনিক্যালী সাউন্ড ইঞ্জিনিয়রিং পড়ুয়া ছাএ ক্যান মাকেটিং-এর জব করবে? এই প্রশ্নটা করা মাএই আমাকে বলা হল তুমার কি সিসিএনএ দেয়া আছে? দেয়া না থাকলে বিদেয় হও! আমি কতখানি জানি এটা কুন বড় প্রশ্ন না আমার সার্টফিকেটা নেই আর আমার শেষ ডিগ্রীটার জোর একটু কমই। আর আমার জন্য কেউ ফোনে হেসে হেসে কোন চারিত্রিক সার্টিফিকেটও দেয়নি। এজন্যই আমার চাকরীটা হয় নি। আমি চাকরী পাই না বলে আমার কুন কষ্ট নাই কিন্তু যখন শুনি যে ছাএটির হায়ার সেকেন্ডারীতে ম্যাথ বলে কোন সাবজেক্টই ছিল না সেকিনা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে কোন এক বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার! তবে আমার কমতি কোথায়! ও যদি লেকচারার হবার যোগ্যতা রাখে তো আমার প্রফেসর হতে দোষ কি?
২. আমারা এমনই এক অদ্ভূদ দ্যাশে বসবাস করি। যেখানে মেধার মুল্যায়ন হয় না তা বলা ঠিক হবে না। কিন্তু মেধার ঠিক কতখানি মুল্যায়ন করা হয়ে থাকে তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আপন দেশ ছেড়ে কেউ যেতে চায় না। কিন্তু মাঝে মাঝে যেতে বাধ্য করা হয়! একটি দুগ্ধপোষ শিশুকে যদি তার মার কাছ থেকে বিছিন্ন করে দেয়া তা পাপ কিন্তু দেশে হতে যে সব মেধা পাচার হয়ে যাচ্ছে এতে কোন পাপ হচ্ছে না।
৩.আমার মাঝে মাঝে মনে হয় দেশটা এখনও স্বাধীন হয়নি। যুদ্ধ আরও বাকী! লক্ষ শহীদের রক্তে পাওয়া আমাদের এই বাংলাদেশ। তারা যা ভেবে নিজেদের রক্তের বিনিময়ে দেশটা স্বাধীন করেছিল
তারা আজ দেখলে বড় কষ্ট পেত। আমি যুদ্ধ করিনি, সেসময় আমার জন্মই হয়নি তবু আমি বুঝতে পারি স্বাধীনতার মানে কি। আর পুরো দেশটা যারা চালায় তাদের মাঝে তো অনেকে মুক্তিযোদ্ধার রক্ত শরীরে বহন করে চলেছে। তারা কি বুঝতে পারে না দেশটা রসাতলে যাচ্ছে দিন কে দিন!
লেখাটা হয়ত অনেকটা লাইন ছাড়া হয়ে গেছে। আসলে মাথা অ্যাউলায় আছে। আমি সবকিছুর উপর চরম পরিমানে ত্যাক্ত-বিরক্ত অনেকখানি বিব্রত! আমি ঠিক বুঝতে পারছি না কি করলে আমার কিছুটা সময় অন্তত ভাল কাটবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৫২