বড় হয়ে যাওয়াটাই যেন ভুল। আর পরিবারের বড় ছেলে হওয়াটা যেন অপরাধ! আমি এই অপরাধে অপরাধী। আহ! “রিজেক্টেড” “উই আর এক্সস্টিমলী স্যরি” শুনতে শুনতে আমার কান ঝালাপালা হবার দশা। সব অযোগ্যতা যেন আমারই।
কিছুক্ষন আগে আমার মা আমার রুমে এসে থ্রেট দিয়া গেছে “ তুই কিছু না করলে তো তোকে বিয়েও দিতে পারছি না”। বাপ-মার কুন স্বপ্ন পুরন করতে পারলাম না। বিয়া করতেও দেখি আজকাল যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। বিদেশ ফেরত ছেলের মনে হয় ব্যপক ডিমান্ড যাইতাছে বিয়ের বাজারে। পোলাডার চরিত্র দিয়া কি হবে পোলায় বিদেশ থেইক্যা পইড়্যা আইছে! সোনার ছেলে। ফেন্ড গুলার বিয়াতেও যাইতে আমার এখন আর মনঞ্চায় না। হালারা বাইরে থিকা একটা ডিগ্রী নিয়া আইসা কিসব সুন্দরী মাইয়াগুলারে বিয়া করতাছে আমি অবশ্য যাই না গিফট দেয়ার ভয়ে। লজ্জায় পকেটে ডুইক্যা যাইতে মনঞ্চায়।
মাকে বেশ কিছুক্ষন বিশ্বসৃষ্টির বহস্যে সম্পর্কে বোঝালাম- পৃথিবীতে মানুষের মৌলিক চাহিদা, অস্বিত্ব, কোথা হতে আমরা এসেছি, আদৌ কোথাও যাবার আছে কিনা---এই মানব জীবনের তাৎপর্য কি? আমি মারে কইলাম দেখ আম্মু কত্ত মনীষী, মহামানব আছে যারা জীবনে বিয়ে করে নাই। আর আমি কুন ছাড়! আমাকে বিয়ের জন্য কেউ বইস্যা নাই। আর বিয়া করতে ব্যাপক সব যোগ্যতার দরকার পড়ে ভুরি ভুরি ডিগ্রীর সনদপত্র লাগে,তার কোনটাই আমার নাই। না আমি এক্সওডেনারি কেউ, না আছে আমার চাকরী, না আছে সুন্দর একটা ক্ষেমা। তাই তোমার এই আবদার রাখা আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। সম্ভবতই আমার অন্যসব কার্যলপে আম্মু আমাকে পাগল বলে চলে যায়- আজও তার ব্যতিক্রম হল না।
আমি বইসা ভাবছি - খ্রাপ নাই আমি। অন্যের দাসত্ব করতে হয় না। নিজের ইচ্ছেতেই চলি। আধ পেট খেয়ে-পড়ে বেঁচে আছি। খ্রাপ কি? এখন থিকা কানে তুলা দিয়া, চোখে অন্ধের চশমা পইরা থাকব অলটাইম। কিছুই শুনতে অথবা দেখতে হবে না :-)