অ্যাটলিষ্ট আমার মত ছন্নছাড়া লাইফ যারা লিড করে থাকেন তাদেরকে নিজ বাপ-মার কাছ থেকে তাদের বন্ধু-বান্ধবদের ছেলে অথবা মেয়েদের সাথে তুলনাটা অন্তত একবার হলেও শুনবার কথা। যদিও আমার দিনে কম করে হলও তিনবার এই তুলনা শুনতে হয়।
অমুকের ছেলে তো আইবিএ-তে পড়ে, ওর ছেলেতো ফুল স্কলারশিপ নিয়ে আমেরিকা গেছে, ওইতো আমার বন্ধুর মেয়ে একটা মেয়ে হয়েও কত্ত ভাল একটা চাকরি করে - আর তুই কি করিস? - ঘরে বসে বসে ঘাস কাটিস! আর দিবাস্বপ্ন দেখিস! তোরে দিয়া কিচ্ছু হবে না। তোর জন্য সমাজে আমার আর মুখ থাকল না। এই ধারার কথা আমার প্রায় প্রতিনিয়তই শুনতে হচ্ছে।
চাকরীর জন্য কারও পা-চাটতে পারব না - এইটা আমার নীতি। একাত্বই আমার। কোন কিছু পাবার জন্য আমি কারও হাত-পায় ধরতে শিখিনি কখনও। যদিও একমাএ এই কারনে আমি সবসময় পিছিয়ে থেকেছি। আমি কি বানের জলে ভাইসা আইছি? এতটাই নষ্ট হয়ে গেছি যে কিছু করার জন্য আজ কাউরে কইতে হইবো! এমন চাকরী আর সমাজের মুখে আমি পিসাব করি।
বাবা-মার বন্ধুদের ছেলে-মেয়েরা সবই কি ভালই হয়। নাকি আমরা তুলনা করা শিখি ভালটা দিয়ে? ক্যান বাপ-মা-রা কি এইটা কইতে পারে না ওর ছেলেতো হেরোইন-প্যাথ নিতে নিতে শেষ হয়ে গেল। তুইতো তবুও টিকে আছিস। আমাদের অভিভাবকগনদের বুঝা উচিৎ ঘরের ভিতরেই যদি এমন তুলনা দেয়া হয়ে থাকে, তাইলে বাহিরের অবস্থাটা কেমন?
দুধে একফোটা চুনা পড়লে যেমন সব নষ্ট হয়ে যায় আমার হইছে এমন অবস্থা! সারাজীবন উপরের সারিতে থাকতে অভ্যস্ত আমি শেষটাতে সব গুবলেট পাকায় ফেলছি। সবাই একটা সেকেন্ড চান্স ডিজার্ব করে কিন্তু আমার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বলে কোন কথাই থাকল না। অনেকটা প্রকৃতি বিরুদ্ধ হয়ে গেল না!
যদি আমার পোষ্টটা আপনাদের কারও বিরক্তের কারন হয় তবে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। যেহেতু আমার অশ্রুর দাগ সব অগনিত মিথ্যে মুখোশে ঢেকে থাকে। আমি অনন্তের মতো ছায়াহীন- অন্ধ খোরা একটা শরীর নিয়ে চলি। ক্ষতবিক্ষত- প্রতিদিন- আভ্যন্তরিন- অসংখ্য মৃত্যুতে অগনন মরি। তোমাদের প্রয়োজনে ভাঁড়ের মুখোশ এঁটে হেঁটে যাই অক্লান্ত পাড়হীন নদীটা ঘেসে। প্রতি সন্ধ্যায় তোমাদের আড্ডায়- ঠাট্টার- খোরাক.....সে যে কেবলই আমি....আমি ব্যাতীত দ্বিতীয় কারও স্থান নেই সেখানটায়....