যদি কখনও সকালের চায়ের টেবিলে
আমাকে মনে পড়ে
রুটি আর অমলেট টুকু ফেলে দিও না।
মধ্যরাতের ট্রেনের হুইসেল শুনে,ভেবো না
আমি ফিরে এসেছি।
আমার সব অভিমান শেষ রাত্রির কাছে জমা রেখে,আমি আছি,তুমি আর
তোমাদের থেকে অনেক দূরে।
উদাস দুপুরে জানালার পর্দা নামিয়ে রেখো
যাতে আসে না কোন স্মৃতির ধুলো।
শ্রাবণের বর্ষায় যদি ভুলেও চোখে জল আসে,আঙ্গিনায় নেমে করো বৃষ্টি স্নান
ধুয়ে যাবে সব মনের গহীনে জমানো বিষন্ন মেঘমালা।
সব ভুলে যেও তুমি সমুদ্র থেকে
ভাওয়ালের শাল মহুয়ার মায়াবী জ্যোৎস্না রাত।
কোন মাতালের
মাদকতা মেশানো কবিতায় হয়ে যেও না ব্যাকুল।
কখনও ফাল্গুনের রাতে
খুনসুটিতে মেতে উঠো না,
অনেক কথা মনে পড়বে,তার চেয়ে বরং তুমি স্লিপিং পিল খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ো।
ভুলেও তুমি রেখ না,কোন পুরনো চিঠি
এখনি ছিড়ে ফেল
উড়িয়ে দাও বারোয়ারি আকাশে!
দূরন্ত বাইকের পিছনে উঠো না তুমি,ভেসে যাবে স্মৃতির ভেলায়
সুমি,প্রতাপ,সন্তোষের সাথে করো না দেখা
ওরা তোমায় কলংকিনী বলে,তাচ্ছিল্য করবে অবহেলায়।
লাল পেড়ে সাদা শাড়ি,কপালে লাল টিপ
পরো না পরবে না তুমি!বুক কাঁপবে ঢিপ ঢিপ।
ধনে পুত্রে বাড়ুক তোমার সংসার
এই নিয়ে কর তুমি অহংকার।
এ আমার অভিশাপ নয়,একান্ত আশীর্বাদ
সব ভুলে সুখে থেকো তুমি,
আমার মত জীবন করো না বরবাদ!
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১