যখন তুমি সমুদ্র দেখনি!বন্যার জল দেখে বলেছিলে"নাবিক এই বুঝি তোমার সমুদ্র"!
আমি বলেছিলাম ধূর বোকা"সমুদ্র সে তো নীল নোনা জলের সীমাহীন আধার।
যার বিশালতা তোমাকে মুগ্ধ করে রাখবে
তীরের অপেক্ষায় কতকাল চোখ পোড়াবে"।
তুমি এমন বিস্ময়ে
আমার দিকে তাকিয়েছিলে!
আমি সেদিন থেকে তোমার চোখে সমুদ্র দেখেছিলাম।সেই অথৈই নীল কষ্টে বিবর্ন,দিকহারা
নাবিক আমি,আমার জাহাজ আর ভীরে না কোন বন্দরে।
ঝড়ের পূর্বাভাস আসেনি কোন রেডিও সিগন্যালে,তবুও ঝড় উঠে পাল ছিড়ে ক্ষত বিক্ষত,
আমার হৃদয়ে ঘটে রক্তক্ষরণ।অথচ আমি ছিলাম এক দুঃসাহসী জাহাজী।
চোখ পুড়ে নোঙ্গরের অপেক্ষায়,কেটে যায় নিঃসঙ্গ রাত দিন।আশার দোলাচলে আমার হৃদয়
জাহাজ সহ কেঁপে,কেঁপে উঠে।ও চোখে ছিলো না তোমার মধ্য দুপুরের হাসি,ছিলো শুধু নীল জল রাশি।
হায়!আমি কেমন জাহাজী
জানি না নীল সমুদ্রের কুষ্টি পাঁজি।
চারদিকে থৈ থৈ করে নীল জলরাশি,মরুর তৃষ্ণায় বুক ফাটে,আকাশে উঠে না পূর্ণ শশী।
এখনও মধ্যরাতে
ঘুম ভেঙ্গে উঠি সেই সমুদ্রের গর্জনে,আমার বুকের ভেতর মোচর দিয়ে উঠে।
নীল কষ্ট বুকে আমার,চোখ ভেজে নোনা জলে
হারিয়ে যেতে বসেছি আমি সমুদ্রের অতলে।
তবুও আমি গল্পটা বার,বার তোমাকে শোনাই,তোমার চোখে সমুদ্র দেখি।সমুদ্র সঙ্গমে মেতে উঠতে চাই,
এক বুক পিপাসায় সমুদ্র পানে চেয়ে থাকি।নীল কষ্ট আমাকে খুড়ে,খুড়ে খায়।তার পরও তোমাকে ভালোবাসি
তোমার অতল গহবর থেকে সেচে আনতে চাই আমার সব হারানো ভালোবাসা।যে সমুদ্রের গল্প শুনে
একদিন তুমি আমায় করেছিল মাল্যদান
আমিতো জানিনা সখী সমুদ্রের অভিধান!
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০৫