নাগরিক যন্ত্রনা শেষে চলে যাই নিষিদ্ধ পানশালায়।কঠিন তরল বায়বীয় সব হাহাকার ঢালি
সুরাপাত্রে।এক নিমিষেই মনের জমিনে জং ধরা কষ্টরা সব পালায়।স্বচ্ছ শরাবে ভাসে তোমার
মুখ,না পাওয়ার বেদনায় মোচর দিয়ে উঠে বুক।
মিমু,মিমু বলে নাম ধরে ডাকি
হা হা করে হাসে সব সাকী।
নগরে এসেছে নতুন মাতাল চার পেগ হয়নি,এখনও তাতেই হয়েছে বেতাল।সেখান থেকে
বেরিয়ে পড়ে,আপন মনে ফুটপাত ধরে হেটে চলি এমন দিন কি ছিল আমার! চার দিক ঘিরে
আছে কবরের অন্ধকার।রাত বাড়ার সাথে সাথে প্রশ্নটা মাথায় ঘুরপাক খায়।কেউ জানতে চায় না,
কিভাবে দিন যায়।
অমাবশ্যার রাতে আমার ঘরে আসে পূর্ণ শশী
খোয়াব নামা মেলে দেখি সুন্দরী অষ্টাদশী।
আমি চিনি সেই নিশীথিনীরে,যারে আমি দেখেছিলাম রত্নাই নদীর তীরে।খেজুর বনের শীতল ছায়ায়,
একদিন ভালবেসেছিলাম কি মায়ায়!
কি এক অজানা কারনে অর্ধযুগের ব্যাবধানে
সে আমায় পাঠিয়েছিল এই নগরে নির্বাসনে।
ট্রাফিক জ্যামে থমকে গেছে জীবন,বুঝতেই পারিনি নিঃশব্দে কবে হয়েছে মরণ।আমার দখিন দুয়ার
খোলা ছিল যার অপেক্ষায়,তার মুখ দেখি এখন খোয়বনামায়।
কত রাত কেটে যায় ঘুমহীনতায়
বুকের জমিনে ধরেছে আজব ঘুন পোকায়।
মরুর তৃষ্ণায় চৌচির বুকের ছাতি,নিকষ অন্ধকারে পড়ে থাকি জ্বলে না কোন বাতি।এই অন্ধকারে হারিয়ে
যেতে,যেতে হঠাৎ মনে পড়ে,যদি এসে আমাকে না পেয়ে ফিরে।মনে হয় নগর ছেড়ে পালিয়ে যাই,যেখানে
একটু প্রশান্তি পাই।এই কংক্রীটের নগরে ঘুরছে না জীবনের চাকা,সব কিছু কেমন যেন লাগে ফাঁকা,ফাকা।
কত কালে হবে আমার অকাল বোধন
নিকষ অন্ধকারে চলছে এখন চন্দ্র গ্রহন!
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০