এই যে বাবু একটু দাড়াবেন!
মানিক চকোত্তিদের
বাড়ীটা কোথায়,দেখিয়ে দিতে পারেন?
কি মশাই চিনতে পারছেন নাতো
ঔ যে বাংলাদেশ থেকে এসেছিল
দেখতে ঠিক চাষা ভূষা বাঙ্গালদের মতো।
লোকটি ছিল মধ্য পঞ্চাশের বিপত্নীক
সাথে ছিল বিবাহ যোগ্য দুটি মেয়ে
ধনী নয়,ছিলেন ভূমিহীন প্রান্তিক।
সংসারী মোটেই নয়,একেবারে আলাভোলা
এবার চিনেছেন মশাই?
লোকটি কিন্তু ছিলেন,ভীষন দিল খোলা।
তবুও যদি চিনতে না পারেন আরও বলি
৭১ এ যোদ্ধা ছিল
পায়ে তার লেগেছিল একটা গুলি।
ক্রাচে ভর করে হেটে চলেন
আপনাদের দেশে থাকেন
কিন্তু পূর্ববঙ্গীয় ভাষায় কথা বলেন।
কথা বলেন কম বটে,মনটা বেজায় নরম
স্টেনগান,এসএমজি চালাতে পারেন
গোঁয়ার মেজাজী লোকটা তখন,ভীষন রকম গরম।
আবার ভাববেন না নকশাল
ভাসানীর ভাবশিষ্য
ছিলেন না তিনি বাকশাল।
বড় মেয়েটি মাধবীলতা আমারেই সমবয়সী
ছোট টি মধুরিমা
আমার দুক্লাশ নিচে পড়ত,কথা বলতো বেশী।
এখন ওরা কোথায় আছে কিছুই জানিনা
কোথায় হারিয়ে গেল
আমার ছেলে বেলার প্রেম মধুরিমা!
ওহ!আরও বলি,স্বাধীন দেশে ধর্মে শুধু হিন্দু ছিল বলে
হঠাৎ এক দিন
বাড়ীটা তার চলে গেল নব্য হানাদারদের দখলে।
বুকভরা অভিমান নিয়ে এখন তিনি রিফিউজী
মার্চ মাস এলে পরে
স্বাধীনতা দিবসে আমরা তারে খুঁজি?
কতটা কষ্ট নিয়ে আছেন নির্বাসনে
কি পেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ করে?
প্রশ্নটি করেনি কারও কাছে,অভিমানে!
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৫