গল্পটা যদি ভাল লাগে তবে লিখে
রাখেন কবি
এই জীবনে অনেক লিখেছেন কল্পচিত্রের
ছবি।
কল্পচিত্র মোটেই নয় বলছি বাস্তবের
কথা
গল্পের ছলে ফুটে উঠেছে জীবনের
কিছু ব্যাথা।
আজকের কথা নয়,বলছি হে মহাজ্ঞানী
দেশটা তখন শাসন করত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী।
বালকের নাম মহিদুল,বালিকা সূরয বালা
দরিদ্র বলে গল্পটা কেউ শোনেনি,করেছে অবহেলা।
বালক ছিল হতভাগা দরিদ্রের সন্তান
সেটাও কিছু না,আসল সমস্যা ধর্মে মুসলমান।
বালিকার বাবাও দরিদ্র বটে,তবে কেরানী
ঠাট বাঁট ঠিক রেখেছে আদিম সনাতনী।
পাঠশালে পড়ে বয়স বারো নাম মহিদুল
যবনের ছেলে হিন্দুর মেয়ে প্রেমে পড়ছে এটাই তার ভুল।
মহিদুলের নামে বিচার ঠুকিল বালিকার
বাবা বৃন্দাবন
কোম্পানী তারে দিয়ে দিল অর্থদন্ড সহ
বিশ বছরের নির্বাসন।
বালকের বাবা নাদের আলী কাঁদে ব্রিট্রিশের
কাছে গিয়ে
সাহেব "ক্ষমা করেন একটা মাত্র ছেলে আমার বাকীটা জীবন
কাটাবো কারে নিয়ে"।
নাদের আলী অনেক ঘুরলেন কোম্পানীর
কুঠিরে
অবশেষে মনের দুঃখে বিষপান করলেন
নিজের ঘরে।
মহিদুলের মা পড়লেন দূরারাগ্য ব্যাধিতে
সেই ব্যাধি তারে নিয়ে গেল শেষ সমাধিতে।
বৃন্দাবন মেয়ের বিয়ে ঠিক করলেন ফাল্গুনের
দুপুর বেলা
পরদিন খবর আসলো,মহিদুলের বিরহে আত্মঘাতী হয়েছে
সূরয বালা।
কণ্যা শোকে পাগল হয়ে ঘোরে বৃন্দাবন
হঠাৎ একদিন মরে গেলেন করে বিষপান।
সূরয বালার মা বিনোদীনি ছিলেন সতী নারী
শোক সইতে না পেরে তিনিও একদিন দিলেন পরাপরে পাড়ি।
নির্বাসন শেষে ঘরে যেদিন ফিরলেন যুুবক মহিদুল
গায়ের লোকে তারে দেখে কেঁদে হলেন আকুল।
কিছু দিন পর মহিদুুল ঘর ছেড়ে পথে,পথে ঘোরে
সূরয বালার জন্য যে তার মনটা এখনও পোড়ে।
এর পর মহিদুলের খবর কারও নেই জানা
বুঝেছেন হে কবি?
গল্পটা আমার নয়,দাদুর মুখে শোনা।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪২