"ফুুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত"
কথাটি কে বলেছিলেন
আজ শুধু কলকাতার আর্য সোসাইটি নয়
এখন আমরা পূর্ববঙ্গের চাষাভূষারাওজানি
এবং আমাদের পরবর্তী হাজার প্রজন্ম জানুক
আমরাও চাই।
কিন্তু কথাটি যখন বলেছিলেন
তখন আপনার নগর কলকাতার চেয়েও
কত বেশী পলাশ,শিমুল,কৃষ্ণচূড়া ফুটেছিল
আমাদের পূর্ববাংলার প্রত্যান্ত পল্লীতে
আপনি কি তা জানতেন?
আপনার পাশের জমিদারের প্রজা হরিপদ দাস
কত স্বপ্ন নিয়ে বড় মেয়েটির নাম বাসন্তী রেখেছিলেন।
সে হয়তো কখনও কবি হিসেবে আপনার নাম শোনেনি
এমনকি আপনার কবিতা পড়ার মত
অক্ষর জ্ঞান টুকু তার ছিল না।
কিন্তু আপনাকে শিলাইদহের জমিদার হিসেবে
ভালোই চিনতেন।
পর পর দুই বছরের খড়ায় ফাল্গুন পেরিয়ে
শ্র্রাবণে ও যখন বৃষ্টি না নামে
খাজনা দিতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছিলেন।
বাসন্তী তার সদ্য বিকাশিত যৌবন ঢাকতে পারেনি
এক টুকরো কাপড়ের অভাবে।
অথচ এত শিমুল ফুঠেছিল এই পূর্ব বাংলায়
কত ফুল এখনও ফোঁটে আমাদের উভয় বাংলায়।
কলকাতা থেকে ঢাকা ট্রাফিক সিগন্যালে
দারিদ্র ভূখা নাঙ্গা ফুলওয়ালীর আনাগোনা।
কত ফুলপিষ্টহয় কলকাতা ঢাকার এলিটদের পদপিষ্টে
তবু আমাদের কোন কষ্ট নেই।
আবারও বলি আপনার ভাষায়
"ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত "
তবে আমরা আপনাকে সাথে নিয়ে
সে বাসন্তী উৎসব পালন করতে চাই।
জানেন আমরা আপনাকে কত মিস করি
কারন আপনি নিজেও তো একটা ফুল ছিলেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৩