বোষ্টমী গো তুমি সুনীলদাকে
যে অন্তরাটুকু শোনাতে চেয়েছিলে
আমাকে শোনাবে সেই গান?
কি এমন ছিল গো বোষ্টমী তোমার অন্তরায়
যার জন্য পঁচিশ বছর প্রতিক্ষায় ছিল বাবু!
তুমি কি জানতে গো বোষ্টমী?
তোমার মত কুলমান হারা বিবাগীর জন্য
এক আলাভোলা বালক
শুন্য দুপুরে পথ পানে চেয়েছিল
কত রাত স্বপ্ন দেখে
পরদিন ভোরের শিশিরে পা ভিজিয়েছে।
তুমি কথা রাখোনি বলে
অভিমান ভরা কবিতা লিখে
চায়ের কাপে,রকের আড্ডায় ঝড় তুলেছিল।
আমি সুনীলদার মত
কোন বিখ্যাত কেউকেটা নই গো
তুমি আসবে আমার বাড়ী
শোনাবে আমায় সে গান?
আমার বিবাগী বুকে
সেই বালকের মত শুধুই শুন্যতা গো বোষ্টমী
আমার নিকানো মাটির আঙ্গিনায়
শীতল পাটি বিছিয়ে দিব
চলার পথে করবী ফুল ছিটিয়ে দিব
অষ্টমূখী রুদ্রাক্ষের মালা পরাবো।
শুক্লা দ্বাদশীর দিন আসতে হবে না
তুমি সুযোগ পেলে এসো
অমাবস্যায় যদি এসো
আমি রেড়ির তেলটুকু
রেখে দিয়েছি কুপি জ্বালার জন্য।
তাইতো কত চন্দ্রভুক অমবস্যায়
অন্ধকারে থেকেছি গো বোষ্টমী।
আমি তোমার সঙ্গ নিবো
আমারও তোমার মত কোন কূলমান নেই গো
সেটা বারো বছর আগে খুইয়েছি
রত্নাই নদীর জলে।
আমার যে চাঁদের চেয়ে বেশী কলংক
আমি অর্ধেক জীবন কাটিয়েছিলাম
এক কুল বধুর আশায়।
বাকী জীবন কাটাবো না হয়
তোমার অপেক্ষায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫০