খবরঃ ভারতীয় হিরো কোম্পানি মটরসাইকেল কারখানা করবে বাংলাদেশে
ভারতীয় বিনিয়োগে আমি আসলে লাভ তেমন একটা দেখি না। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে জানি, ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মচারীতো বটেই, তাদের ভেন্ডরদেরকেও ভারতীয় নিয়োগের বাধ্যবাধকতা থাকে। তাই, চীনা ভেন্ডর হলেও ভারতীয় নিয়োগ দেয়া হয় ভারতীয় প্রতিষ্ঠানকে ম্যানেজ করার জন্য। আর, ভারতীয়রা তাদের রুটির আটা পর্যন্ত ভারত থেকে এনে খায়, তারা ভাত খায় কম। সবজি ১০ টাকার কিনে ৪-৫ টা মরিচ ফ্রি চায়। ২ টাকা খরচ করে মরিচ কিনতেও রাজী হয় না। সপ্তাহে ১ বার নিষিদ্ধ পল্লীতে গিয়েও ভারতীয় প্রমোদবালা খুঁজে কিনা, আমি বলতে পারব না। তাদের উপার্জিত আয়ের প্রায় সবটাই বৈধ ও অবৈধ উপায়ে ভারতে পাঠায়। এছাড়াও, এখানে হিরো হোন্ডার বিজ্ঞাপনের জন্যেও খরচ করতে হবে বলে মনে হয় না। সারা দিন ওপারের চ্যানেলে হিরো হোন্ডার বিজ্ঞাপনেই এখানের কাজ হয়ে যাবে বলে মনে হয়। এসেম্বলিং এর জন্য সকল পার্টস ভারত থেকেই আসবে। আমাদের লোকাল মার্কেট থেকে টায়ার, সীট, বা ছোটখাট পার্টস কেনার কোন সম্ভাবনাও আমি দেখি না। আমাদের ব্যাটারী রপ্তানী ঠেকানোর জন্য ভারতীয়দের আরোপ করা এন্টি-ডাম্পিং শুল্কের কথা এত সহজে ভোলার নয়। ওদের ভালো ওরা জাতীয় ভাবে ঠিকই বুঝে। সমস্যা হচ্ছে, আমাদের এই বুঝটা নেই। এই জয়েন্ট ভেনচারে আমাদের মাতলুব সাহেবের নিটোল জড়িত আছে। আমি নিশ্চিত, সরকারী বিভিন্ন ইনসেনটিভ ও ট্যাক্স মওকুফ বা ফাঁকি উনারা ভালই আদায় করতে পারবেন।
এত কথা বলতে হত না, যদিনা এই বিনিয়োগে দেশী কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হত, যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা হবার মাধ্যমে দেশীয় শিল্পের বিকাশ হত, সরকার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে লাভবান হত। আশা করব, আমাদের নীতি-নির্ধারকরা একটু ভেবে দেখবেন। বিদেশী বিনিয়োগ বন্ধ করতে বলছি না। দেশী কর্মসংস্থান বৃদ্ধির উপায় ভাবার কথা বলছি।