তোমার চুলের মসৃন ভাজে সাগরের ঢেউ আবিরাম খেলা করে
আমি সূর্যদয়ের মত সেখানে ধীরে অতি ধীরে অঙ্গুলের খেলা দেখি
তোমার সুনিপুন হাতে ।
নিজেরই অজান্তে তোমার মুখের বেলাভূমিতে এলিয়ে পরে হঠাৎ হঠাৎ
যেন কোন কাব্যিক ঢং
তুমি সুরার পেয়ালা তুলে নেবার মত আলতো করে সরিয়ে দিলে পিছন পানে
তারপরও এক গোছা থেকে গেল তোমার ললাটের কোল ঘেষে
যে টুকু দুলছে হাওয়ার তালে যেমন কোন
নৌকা দোলে উজান গাঙ্গে ঢেউয়ের সাথে
তোমার চোখে মৃত ভ্রমন উপুর হয়ে শুয়েই থাকে সকাল বিকাল
যেমন থাকে পদ্ম ফুলে মৌ বিলাসী মৌ পোকা সব
হিল্লোলিত বাতাস পেলে তোমার চোখের পাপড়ি মেলে তাকাও তুমি
খুন হয়ে যাই বাকাঁ ভ্রুরুর ধনুক টানে
কি দিলে গো লাস্যময়ী তোমার কানের লতির ফাকেঁ , যেখানটাতে
তুলি ধরা চিত্রকর এক সকাল বিকাল কথা আকেঁ
ঠোটেঁর ফাকেঁ বরফ কুচি হাসি দিলে খেলা করে তারি সাথে টোল পরে
যায় গোলাপ রাঙ্গা কপোল টাতে
সাতনরী হার গলায় তোমার সর্পচূড়ার মনি জ্বলে
চলি দিয়ে লুকিয়ে রাখো স্বপ্নভাজের পাহাড় যুগল খুব যতনে
বাদল দিনের পূর্ন পুকুর তোমার তনু
হাজার রকম দৃষ্টি সেথায় নতজানু শুধুই তারা সুযোগ খোজেঁ
পানীয় জলের তোমার কাছে, তুমি দেখায় চাপাঁ হাতের অনামিকায় আংটি আছে
কিন্তু আমি অবুঝ বালক, সকল বুঝি তবু খুজিঁ শাওন ধারা তোমার কাছেই খুব লুকানো
ইচ্ছে হলেই একটু বাধনঁ খুলতে পারো আমার মত মরুর তরে
ইচ্ছে হলেই বাধঁ ভাঙ্গা ডাক দিতে পারো প্রবল ঝড়ে
শুধু তোমার ইচ্ছে হালেই পাহাড় তলের মনি পাবো শুধু তোমার ইচ্ছে হলেই
মৌ পোকাটার কামর খাবো শুধু তোমার ইচ্ছে হলেই বরফ কুচি আমার হবে
শুধু তোমার ইচ্ছে হলেই নতুন করে আংটি বদল ।