শোষনের দোসর হয়ে ধর্মকে ঢাল বানিয়ে চৌধুরী মইনুদ্দীন যে মেধা শক্তিকে নির্মূল করে দেয়ার জন্য হত্যাযজ্ঞের নেতৃত্ব দিয়েছিল, সেখানেও কাপড়ে মুখ ঢেকে, কালো পোষাক গায়ে চাপিয়ে চড়াও হয়েছিল, তার নিজেরই শিক্ষক থেকে শুরু করে অন্যদের বাড়িতে। কাউকে পাওয়া যায়, মৃত, কেউ কোনওমতে বেঁচে যান, কেউ আজো নিঁখোজ।
যেকথাটা এখানে লেখার যে নিজে যেটাকে 'প্রকৃত' কাজ বলে মনে করেছিল চৌধুরী সেখানেও মুখ ঢেকেই অপারেসন চালাচ্ছিল। অর্থাৎ প্রাকাশ্যে সেই কাজ করেনি, মুখ ঢাকা মানে 'পরিচয় গোপন' করা।
প্রশ্ন : কেন ?
যে কাজ সঠিক সেখানে কী কেউ লুকিয়ে করে ?
যুদ্ধে কোন সৈনিক তার নিজের পোষাক ফেলে, মুখে ঢেকে বন্দুক চালায় ?
বা অন্যভাবে বল্লে চৌধুরী নিজে যে কাজ করছে, সেটাযে অপরাধ সে ঠিকই জানত। অর্থাৎ, ধর্মের কারন দিয়েও 'অন্যায়' টি তার নিজের কাছেই 'অপরাধ' এর বেশি যেতে পারেনি।
এবার দেখি, অন্য একটা দিক : চৌধুরী এখন কী করছে ?
লন্ডনে, ধর্ম নিয়ে কাজ করছে নিজের গন্ডি তৈরী করছে। মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা দাদন্বের হিসাব রেখেছে এক সময়। এবং সেখানেও "Chowdhury Mueen-Uddin’s rehabilitation continued as Government decided to engage with Muslim Council of Britain in the name of engaging with Muslims" ------মানে কোনও পরিস্কার যুক্তি নেই।
কোনও দেশের সরকারের তার দেশের নাগরিকের সাথে সম্পৃক্ত হতে কী 'মাধ্যম' দিয়ে পৌছাতে হয় ?
দেখা যাচ্ছে সিস্টেম কে এইসব লোকেরা ঠিক ব্যবহার করে যায় কিংবা সিস্টেম তাদের নিজের জন্য তাদের বাঁচিয়ে রাখে। নজর ঘুরিয়ে দেয় মূল বিষয় থেকে। এক গ্যাড়াকল ব্যবস্থা টিঁকিয়ে কায়েমী স্বার্থ বজায় রাখে, যেখানে পার পেয়ে যায় শোষক এবং শোষিত হতে থাকে আপাত নিরীহ জনগন। এবং কখনও নিজেরাই লড়তে থাকে নিজেদের মধ্যে, মূল শত্রুকে চিন্হিত করতে না পেরে বা না বুঝে।
এটাই হচ্ছে, সবচেয়ে উপযুক্ত পরিস্থিতি যেখানে মানুষ সোচ্চার হন এবং আওয়াজ দেন।
এইসব কথা লেখার কারন একটাই, এক নৃশংস লোকের খাতিরেও সমর্থক জুটে যাচ্ছে স্টিকি পোস্টে। একেবারেই মইনউদ্দিনের কায়দা। গোপনে হত্যা। কেউ বা পোস্ট নয়, লেখকে দায়ী করে মাইনসা দিচ্ছেন, ঠিক যেমন ধর্মকে ঢাল করে শোষকের পক্ষ নিয়েছিল।
এদের চিন্হিত করা যাচ্ছে না কারন গ্যাড়াকল সিস্টেম।
এবং এসব করে, মূল বিষয়টি থেকে দৃষ্টি সরে যাচ্ছে। অপরাধের বিচারের দাবী তলিয়ে যাচ্ছে মানে, শোষিত হতে থাকে আপাত নিরীহ জনগন।
কেউ ধর্মের সুরসুরিতে লেখকে হেয় করছেন এক অদ্ভুদ যুক্তিতে যে, 'এইরকম বিকৃত লোকের পোস্ট স্টিকি কেন বলে ?" বা 'খারাপ লোকের ভাল কথা" কিংবা বলছে যে সামু নিজেই নোটিশ বোর্ডে ঝুলিয়ে প্রচার করতে পারত মানে, "decided to engage with Muslim Council of Britain" মত ফালতু যুক্তি যার জন্য চৌধুরী ইউ। কে এর বাসিন্দা মানে চৌধুরী তো বিষয় না খালি মুসলিমদের সাথে সম্পৃক্ত থাকত তাকে রাখা বলে পাশ কাটানো মানে স্টিকি পোস্টে না রেখে পোস্টটিকে সাইড-লাইন করে দেয়া।
ব্যাক্তিগত ভাবে, আমার বিশেষ কিছুই বলার নেই মনে হতে পারে কারন আমি চৌধুরীর অপরাধের শিকার যারা তাদের ভৌগলিক খন্ডের শরিক না।
কিন্তু এই রকম লোক বা যে সিস্টেমে যে টিঁকে আছে, সেটা সারা বিশ্বেই আছে এবং শোষনের লড়াইয়ে কোনও ভূগোল নেই।
আক্ষরিক অর্থেও এই ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ বিশেষ প্রয়োজন মইনউদ্দিনকে বিচারে আনতে।
যেমন আমরা নিজেদের কেউ না হলেও, সাম্রজ্যবাদী বোমাবাজির ধিক্কার জানাই দেশে। সাউথ আফ্রিকার বর্নবিদ্বেষের প্রতিবাদ করেছি।
প্যালেস্তাইনের জন্য সমর্থন জানাই। ইরানে গনতন্ত্র বিকাশের দাবী জানাই।
সুতরাং, এই মাইনাসকারীদের চিন্হিতকরা মানে তাদের মতবাদকেই বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে। তাদের নিজের পথে আনতে হবে।
প্রত্যেকে মইনউদ্দীনের বিচার চেয়ে একটি একটি পোস্ট প্রত্যেক দিন দেই।
দাবী জোড়ালো হোক। অন্যসব পিছিয়ে যাবে।
আসুন বন্ধু প্রত্যেকে পোস্ট লেখা শুরু করি।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০১০ দুপুর ২:১৫