এই হচ্ছে কওমি মাদ্রাসার ভেতরকার মোটামোটি অবস্থা। হুজুরদের সম্পর্কে বেশী কিছু বলতে পারছিনা কারন তার থাকে মাদ্রাসার বাইরের অংশটায়। অফিসিয়াল কাজ-কর্ম তারাই পরিচালনা করেন।
কওমি থেকে পাশ করে আসা মেয়েগুলোকে কোন মাসা’লার ব্যপারে প্রশ্ন করুন,সে হাদিস -কোরআন এর উক্তি স হ মাসআলার সমাধান বলে দিবে। উল্লেখ্য যে, গড়ে ২৫% মেয়েরা কিতাব ভালো বুঝে। বাকিরা হয়তো পড়াশোনায় আনন্দ পায়না অথবা টিচারদের পড়ানো আনন্দদায়ক হয়না একারনে কিতাব ঠিক মত বোঝেনা।
যখন আপনি একটু পেঁচিয়ে প্রশ্ন করবেন অথবা একটু কঠিন শব্দ ব্যব হার করবেন তখন দন্ধে পরে যাবে। ভাষা জ্ঞান এদের খুব দুর্বল। তবে ব্যতিক্রম কিছু আছে যারা আপনার সাথে তর্ক চালিয়ে যেতে পারবে। এরা সংখ্যায় এত কম যে আপনি-আমি হয়তো আশে পাশে পাবোনা।
বদ্ধ পরিবেশ আর শুধু মাত্র আরবি কিছু বই পড়ে পাশ করা মেয়েদের কন্ফিডেন্স লেভেল খুব কম থাকে। বডি ল্যন্ঙুয়েজই তা বলে দেয়। শিক্ষকরা বাইরে জগৎ ভালো নয় কেবল এ জিনিসটা বলে বলে থাকেন। কিন্তু কিভাবে সেখানে সারভাইভ করতে হবে সেটা বলেননা। বরং পাশ করার পর স্বামীর ঘরে আরেক জেল খানায় পাঠিয়ে দেয়ার জন্য অভিবাবকদের উৎসাহিত করে থাকেন।
এত গুলো ম্যান পাওয়ার অযথাই নষ্ট করেন এরা। এসব মেয়েদের লক্ষ্য থাকে ইসলাম প্রচার-প্রসার করা। বাংলাদেশে থেকে আরবী আর উর্দু শিখে এরা কিভাবে ইসলাম প্রচার করবে তা হুজুররাই ভালো বলতে পারবেন। ইংলিশ তো দুরে থাক বাংলাতেই ঠিক মত কথা বলতে পারেনা এরা।
বাইরে পড়ুয়া মেয়েদের সামনে এরা দুর্বলতায় নজু হয়ে থাকে অথবা বাইরে পড়ুয়া মেয়েরা বেপর্দা, ইসলাম জ্ঞান নেই বলে তাদের খারাপ চোখে দেখে। সেটা বুজা যায় এদের চোখ দেখলেই। এমন একটা ব্যপার চোখের মধ্যে থাকবে যে : জেনারেল লাইনে পড়ুয়া মেয়েটি প্রায় দোজখের দোরে পৌছে গেছে ।
এদেরকে এভাবেই শেখানো হয়। এমন কি বলা হয় যে , যে মেয়েরা পর্দা করেনা-ছেলেদের সাথে কাজ-কর্ম করে তারা ছেলেদেরই সমতুল্য, অতএব, এসব মেয়েদের সাথেও পর্দার হুকুম রয়েছে। এমন ভাবে ব্রেন ওয়াশ করানো হয় যে অবাক হয়ে যেতে হয় এদের কথা শুনলে।
আমিও আগেও বলেছি ব্যতিক্রম কিছু মেয়ে আছে। কিন্ত তাতে কওমি মাদ্রাসার হুজুর বা আপাদের কোন রকম ক্রেডিট নেই। পুরোটাই তার পরিবারের স হযোগিতা ।
কারো যদি আরো জানতে ইচ্ছে করে তাহলে কিছু মাদ্রাসা ঘুরে আসতে পারেন। অবশ্য ভেতরে শুধু মেয়েদেরকেই ঢুকতে দেয়া হবে।এক দু দিনে খুব বেশী দেখে বুজবেন না। আপনার পরিচিত কোন মেয়ে পড়ে এসব মাদ্রাসায় তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন। “তোমাদের মাদ্রাসায় না কি এমন হয়” একথা না বলে স হজ ভাবে জানতে চান নিয়ম কানুন।
শিক্ষিকাদের কাছে জিজ্ঞেস করলে কথার সাথে সাথে সায় দেন ভালো নিয়ম কানুন। আস্তে আস্তে দেখুন কি সব আজব নিয়ম কানুন। অবাক পরে হন। আগে সবটা শুনুন। তারপর প্রশ্ন করুন।
আমার কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিরাদের জন্য আমার এই লেখা আমার অন্যান্য কাজের মতই হতাশা জনক আরেক কাজ। ওনাদের আমি সন্তুষ্ট করতে পারলাম না আর। এ জীবনে না হোক পরবর্তি জীবনে তারা বুঝবে কাজ গুলো খারাপ ছিলোনা। কওমির এ সব ভেতরকার কথা না বললে কিয়ামতের দিন আল্লাহ ঝাড়ি মারতেন ঠিকই দেশের প্রতি দায়িত্ব পালনের অব হেলায়। জন গনের জানা উচিত এ ব্যবস্থা সম্পর্কে।
কোনো বড় হুজুর/বড় আপা/ বড় খালাম্মা এই লেখা পড়ে থাকলে এবং এ ব্যপারে কোন কোন কথা বলার থাকলে দয়া করে এখানে বলুন। তাতে আমরা আরো কিছু জানতে পারবো আপনাদের মাধ্যমে।
ধন্যবাদ সবাইকে ।