এক মেঘমুক্ত বিকেলে এক সুবোধ বালকের সাথে নদী দেখতে বেরুলাম। নতুন চড় উঠেছে, তাতে নতুন ফসল।
মির মির করে নড়ছে ধান চারা। অচেনা পাখির কন্ঠস্বরে ডুবে যাওয়ার মত বিকেল।
সন্ঙির উপস্থিতি ভুলে যাওয়ার মত সময়। দেখে মনে হচ্ছে সেও খুব উপভোগ করছে।
হঠাৎ সে বলে উঠলো,
“শোনো, তুমি অনেক টা নদীর মতন।
যখন যেখানে তোমার বিচরন
সেখানেই নতুন বসতি, নতুন ফসল, নতুন প্রাণ।
আমআর মধ্যে একটা সজীবতা কাজ করছে।”
তার কালো রিমের চশমার ভেতর দিয়ে চোখ বোঝার চেষ্টা করলাম।
তাকে বললাম,
“কথা সত্যি হলেও, এইটা আপনার বলা ঠিক হয়নাই।
নদী এক দিক দিয়া ভান্গ্ঙা শুরু করলে জনবসতির চৌদ্দ গুষ্টি স হ ডুবায় দেয়।
আর কখন যে কোন দিকে গতি বদল করে অন্তত একজন ব্যংকারের তা সাধ্য নাই আন্দাজ করার।
এই দেখেননা আজ যেমন আমার মামাত বোনের দেবরের সাথে পাবলিক লাইব্রেরিতে শর্ট ফি্লম দেখার কথা ছিলো,
অথচ আমি আপনার সাথে নদীর চড় দেখতে বের হইছি।”
এর ১৫মিনিট পর সে বললো, “আজ ফিরি, পরে দেখা হবে।”
এরপর একটা রবিন্দ্র সন্গ্ঙিতের আসরে যাওয়ার কথা থাকলেও তার ফোন আর পাইনি।
বালক বুঝি গিয়েছে যে বালিকা সুবিধার না।