নতুন প্রজন্মের অঙ্গীকার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার
২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয় পরাজয়ের ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলো ক্ষমতাসীন দলের এই একটি মাত্র অঙ্গীকার।
জীবনানন্দ দাশ এই বাংলায় আসতে চেয়েছিলেন শঙ্খচিল বা শালিকের বেশে। আর জাতির পতাকা খামচে ধরা শকুন জামায়াতে ইসলামী মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এদেশে এসেছিলো শান্তি কমিটি, রাজাকার, আল বদর, আল শামস্, ইসলামী ছাত্র সংস্থা, পরবর্তীতে ইসলামী ছাত্র শিবির, এবং ইসলামী ছাত্রী সংস্থার বেশে।
যুদ্ধাপরাধী এই চক্র ৩০ লাখ শহীদের গুলিবিদ্ধ করোটির উপর দাড়িয়ে এই বাংলার মাটিতে খেলেছে দম্ভের হোলি খেলা। আর সেটা সম্ভব হয়েছে এ দেশে তাদের কিছু ক্ষমতালোভী দোসরদের কারণে।
কিন্তু এ প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধারা তাদের এ দম্ভকে ক্ষমা করেনি।
মহাজোট সরকারের এই অঙ্গীকার মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আমাদের স্বজনদের মরা লাশগুলোতে এসেছিলো নতুন জোয়ার। বাংলার তরুণদের মনে বাজছিলো জহির রায়হানের সেই কবিতা---
ওদের জানিয়ে দাও,
ওরা আমার মা-বাবাকে হত্যা করেছে কুকুর বিড়ালের মতো
স্টীম রোলারের নিচে...
ওদের জানিয়ে দাও,
ওরা দেখেও যদি না দেখে, বুঝেও যদি না বোঝে
গরম লোহার শলাকা দুচোখে দিয়ে ওদের জানিয়ে দাও
মরা লাশ গুলোতে কেমন জীবন এসেছে...
আজ এইসব শকুনদের পালের গোদা গোলাম আযম গ্রেপ্তার হয়েছে। এই আনন্দের ক্ষণে আমরা উদ্বেলিত কিন্তু আমরা এখনও জয়োধ্বনি করতে পারছি না। আমরা তখনই জয়োধ্বনি করবো যখন ৭১ এ সংগঠিত সকল মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা, এবং যুদ্ধাপরাধের দ্রুত বিচার করে শাস্তি দেয়া হবে। এই বুড়ো শকুন সহ সবকয়জন রাজাকার শকুনের নখ ভেঙ্গে ফেলা হবে। হত্যা করা হবে এই সব জানোয়ারদের।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:০২