ব্লগ ও ব্লগারদের গল্প
বাংলা ব্লগগুলো যখন অস্তিত্ব সংকটে ভুগছিল, তখন লেখালেখি নামের বাংলা ব্লগটা খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠল। লেখক পাঠকদের মুখে মুখে কেবল লেখালেখি ব্লগের নাম। এই ব্লগে লিখে অনেক লেখক বাংলা সাহিত্যে প্রতিষ্ঠা পেয়ে আজ নিজেদের রবি ঠাকুর, শরৎচন্দ্র বা হুমায়ূন আহমেদ ভাবা শুরু করেছেন। এ দেখে বিলুপ্ত প্রায় ব্লগগুলোর কর্তৃপক্ষ সকলে লেখালেখি ব্লগের কর্তাব্যক্তি জনাব আক্তার হুসেনের সাথে বৈঠকে বসল। তার কাছে সবার এক জিজ্ঞাসা, ব্লগের জনপ্রিয়তা আজো ধরে রাখা হয়েছে কিভাবে। তারা তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা জানালেন। তারা জানালেন, ব্লগগুলো টেকানোর জন্য তারা নাানা রকমের কাজ করছেন। মাসিক ব্লগ সংকলন করা হচ্ছে। পিডিএফ বই করা হচ্ছে। সেরা লেখকদের ভাল লেখাগুলো স্টিকি করে রাখা হচ্ছে। এমনকি বইমেলাতে নিয়মিত ভিত্তিতে বাছাই লেখা নিয়ে বই বের করা হচ্ছে। তবুও কিছুই হচ্ছে না।সবাই ব্লগ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। লেখালেখি ব্লগ কী এমন আলাদ্দীনের চেরাগ পেল যে তার জনপ্রিয়তা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে?
আক্তার সাহেব সবার কথা ধৈর্য্য ধরে শুনলেন। তারপর বললেন, আমরা প্রতি মাসে সেরা পাঠক নির্বাচিত করে তাকে পুরুস্কৃত করি।
ট্রান্সফার অর্ডার
অন্যায়টা অতো গুরুতর কিছু ছিল না। তাও বাস্তব জীবনে করা কোনো অন্যায়ের জন্য এমন শাস্তি পেলে একটা কথা ছিল। ভার্চুয়াল জগতকেও এতো গুরুত্বপূর্ণ ভাবা হয় এটা ওহীর একেবারেই জানা ছিল না। তাই গতকাল ফেসবুক আইডি ক্রিয়েট করার সময় নিজের রিলেশনশীপ স্ট্যাটাসে ম্যারিডের বদলে সে সিঙ্গল কথাটা লিখেছিল। তার ধারনা, মেয়েরা বিবাহিত কোন লোকের ফেসবুক ফ্রেন্ড হতে চায় না। তাই সে মিথ্যা কথাটা লিখেছিল। যদি জানত এ কাজের কারনেই তার ট্রন্সফার অর্ডার জারি হয়ে যাবে তবে কখনোই এটা করত না। ট্রান্সফার অর্ডারে অবশ্য লেখা আছে, ভার্চুয়াল জগতে হোক আর বাস্তবে, সকল অপরাধই সমান। সকল অপরাধই মানব মন থেকে সৃষ্ট। যেখানে ওহীকে ট্রান্সফার করা হয়েছে সেখান থেকে আবার এখানে ফিরে আসতে তার অনেক পরীক্ষার সম্মখীন হতে হবে,অনেক যন্ত্রনা সহ্য করতে হবে। ভাবতেই গা শিউরে উঠছে।
ওহীকে নরকে ট্রান্সফার করা হয়েছে।
মেয়ে পটানোর উপায়!
নাজিম অনেক অনেক মেয়েদের পেছনে দিন রাত ঘুরেও যখন তাদেরকে পটাতে ব্যর্থ হল তখন ঠিক করল মেয়েদের পেছন আর ঘুরবে না। মেয়েরা যত নষ্টের মূল। ধনুক ভাঙা পণ করল সে, মেয়েদের পেছনে আর কখনো কোন টাকা-পয়সাও খরচ করবে না। অনেক হয়েছে। এনাফ ইজ এনাফ!
তখন থেকেই মেয়েরা তার পেছন ঘুরা শুরু করেছিল!
ঢাকা মেডিকেল
রুবেল তাকে বলেছিল সিলেট মেডিকেলে ভর্তি হতে। মেয়েটি বলেছিল, ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হওয়া তার ছেলেবেলার স্বপ্ন। রুবেল বলেছিল, দেখো, সিলেট মেডিকেলে ভর্তি হলে তুমি সিলেটে থাকতে পারবে। আমিও যেহেতু এখানেই পড়াশুনা করছি, দুজনের কাছাকাছি থাকা হবে। মেয়েটি উত্তরে বলেছিল, ঢাকা মেডিকেলে চান্স পেয়েও সেখানে ভর্তি না হওয়ার মতো বোকা আমি না।
রুবেল তখন বুঝে নিয়েছিল, মেয়েটি তাকে ভালবাসে না. ভালবাসে ঢাকা মেডিকেলকে।
সুখে শান্তিতে বসবাস
অতঃপর কবির ও তানিয়া সুখে শান্তিতে বসবাস করতে থাকল। তাদের সেপারেশনের পর।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৭