অবহেলিত!
আমাদের বাসায় যখন একটা টিভি ছিল তখন আম্মা আর বোন টিভিটা তাদের একক সম্পত্তি ভেবেছিলেন। টিভিতে শুধু স্টার প্লাস চলত।
কালক্রমে আরেকটি টিভি যখন আসল, তখন সেটা দখল করলেন আব্বা। সেটাতে তাই সবসময় বাংলা খবর আর বিটিভি চলত।
তারপর যখন তৃতীয় টিভি আসল তখন সেটা পড়ল আমার বউয়ের দখলে। তাতে সনি টিভি ছাড়া আর কোন চ্যানেল চলে না।
ভাবলাম আরেকটা টিভি আসলেই কেবল ইচ্ছামত চ্যানেল দেখার ভাগ্য হবে আমার।
একসময় সেটা আসল। কিন্তু ততোদিনে আমার ছেলে তিন বছরে! তাই খালি কার্টুন চ্যানেলগুলো চালাতে হয়।
আমি এখন পঞ্চম টিভির অপেক্ষায়!
কিডন্যাপড
ইউ আর কিডন্যাপড মিস ডলি! গাড়িতে উঠুন।
ডলি আঁতকে উঠে পেছনে তাকিয়ে আমাকে দেখে হেসে উঠল।
কিডন্যাপ্ড হওয়া একজনের মুখে হাসি দেখে আমি অবাক হলাম!
শুধু হেসেই ক্ষান্ত হল না, সেইসাথে ঝাড়ি দিয়ে উঠল, আরো আগে কিডন্যাপ করলে না কেন গাধা?
বই কেনা
সঞ্জয় বই কিনবে গিফট দেয়ার জন্য। সাথে আমাকে নিয়ে গেল।
আমি বললাম, গীতবিতান কিনে নাও।
সে বলল, না আমার মনে হয় ওই যে... ওই বইটা ভাল হবে।
বইটার দিকে তাকিয়ে দেখি ওটার নাম এবং লেখকের নাম দুটোই অপরিচিত। জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কি এই লেখকের নাম আগে শুনেছো?
সে জানাল, না।
তাহলে বরং তুমি এটা কিনতে পার। ম্যাক্সিম গোর্কির মা হাতে নিয়ে সঞ্জয়কে সেটা দেখালাম।
সঞ্জয় তার আপত্তি জানিয়ে আরেকটি বই দেখাল।
ওটাও আমার কাছে অপরিচিত। তাই আবার জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কি এটা পড়েছ?
সে মাথা নাড়াল, না।
তুমি না আমাকে বললে ভাল একটা বই গিফট দিতে চাও। তাহলে অজানা অচেনা লেখকের বই বাছাই করছ কেন? আমি প্রশ্ন করলাম।
সে বলল, দেখছেন না, প্রচ্ছদগুলো কত সুন্দর!
সম্পাদনা
আমি একটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলাম। একজন লেখক তার একটি লেখা দিয়ে শর্ত জুড়ে দিলেন, তার লেখাটা হুবুহু প্রকাশ করতে হবে। কোন সম্পাদনা চলবে না।
আমি তাকে ঐ পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব দিয়ে দিলাম।
পত্রিকা প্রকাশ হল।
দেখি তার লেখাটাই পত্রিকার কোথাও জায়গা পায় নি।
প্রশ্ন ও উত্তর
আমাকে তারা প্রশ্ন করল, এতো ঘন ঘন লিখছ কেন? এতো না লিখে একটা মানসম্পন্ন লেখা লিখ। পাঠক গুরুত্ব দিয়ে পড়বে।
বললাম, এতো লিখছি অন্তত একটা মানসম্পন্ন লিখা লেখার জন্য।
ব্যক্তিগত গল্প- ৬
-হ্যালো।
-হ্যালো।
-কি করছ?
-গল্প লিখছি।
-সারাক্ষণ লেখা! ভাল ভাল! আমি বাপের বাড়ি আসায় খুব ফুর্তিতে আছ, তাই না? চুটিয়ে লিখছ। আমি আসলে কী করবে?
-কি আর করব? লেখালেখি থামিয়ে দেব!
আমার উত্তর শুনে বউ খুশি হল কি না জানি না, তবে কথাটা সত্যি।
ব্যক্তিগত গল্প- ৭
আমাদের বাসায় সবচেয়ে মজার সময়টা হল দুপুর ১২ টা থেকে ১ টার ভেতর। এ সময়টা বাসার সব সদস্য এক সাথে জড়ো হয়ে চা খাই আর গল্প করি। তাই আমাদের সবার খুবই প্রিয় ঐ সময়টা। পরিবারের সবাই সপ্তায় সাত দিন সময়টা উপভোগ করে। আর আমি? কেবল ছুটির দিন!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:০১