এই আরেকটি শব্দ মাথায় এসে পড়লো, ব্যথা পেলাম-
অনেক ভারি শব্দ, বর্ণ মাংসের স্তুপগুলো এভাবে কে
ছুঁড়ে ফেলছে? উপরে তাকাতেই রঙচটা দোতলা ঘরের
জানালায় চোখ পড়লো।
আরিব্বাপ্স!! এই ঘরে তো এক কবি থাকে, ছবি আঁকে,
শব্দ আর রঙের স্তুপ জমায়, বোকা মানুষ।
চুলে মনে পাক ধরিয়ে এখনো শব্দের ব্যবহারি শিখেনি,
আর শিখবেই বা কবে? মাটিতে মেশার সময় হয়েছে
নিজের এপিটাফে কি লিখবে তাই
হয়তো ঠিক করতে পারেনি।
বুড়ো খোকা, আমায় জিজ্ঞেস করে “দেশটা কি সুস্থ হয়েছে?”
আমি বলি, “দেশের কি অসুখ ছিল নাকি?”
হ্যাঁ, বড্ড অসুখ, শরীরের সবখানে ঘা- চোখে,মুখে,ফুসফুসে,অন্ত্রে,যন্ত্রে,কন্ঠে,
হ্রদপিন্ডে এমনকি চিন্তায়,চেতনায় সবখানে, সবখানে কীট বাসা বেঁধেছে
প্রজনন করছে,বংশ বাড়াচ্ছে প্রবল গতিতে- বিদ্যুতের মতো।
আর অনেক জ্বরের ঘোরে প্রলাপের মতো কিছু ঠোঁটে আটকে গেলো।
আমি বলি, ‘কই কেউ তো কিছু বলে নি”
বৃদ্ধ শোকগাঁথার মতো বলে যায়-
সবাই তাকিয়ে দেখছে, একপাশে হাসি শোনা যায়, সেই শব্দ ছাপিয়ে তালির আওয়াজ
বেঁজে উঠলো।
আমি অবাক হই, “এতো নির্মম?”
বৃদ্ধ দূর দিগন্তে তাকিয়ে বলে, “এই শরীর এখন ওদের বিনোদন, ওরা মানুষের রক্তে তৃষ্ঞা
মেটায়, ভাইয়ের মাংসে ক্ষুধা”
................................................................... পরে লিখবো।