এই সময়স্রোত বয়ে অতলান্তিকে পৌঁছালে
কোন ঔপন্যাসিকের লেখায় চায়ের কাপ হাতে-
যুবকের ছবিতে ভেসে উঠব হয়তো,
আমি হয়তো রয়ে যাবো,
অপ্রত্যাশিত মেঘমালার বৃষ্টির রাতে।
আমি হয়তো রয়ে যাবো-
উদ্ভ্রান্ত কল্পনাবিলাস ঝুলে থাকবে
ব্যস্ত কারো সময়বৃত্তের মুহুর্তের কাঁটায়,
বিস্ময়ের সব দুপুর হয়তো কিশোরের-
ঘোরলাগা নাটাই আর ঘুড়িতে
অথবা কিশোরীর হাতে বৃষ্টির ফোঁটায়।
আমি হয়তো রয়ে যাবো-
এক মুহুর্তের ভুলে, বুলেটের মিছিলে-
ফেলে যাওয়া জুতোয়,
অনেক জিজ্ঞাসার পথে বাবার এক
আংগুলে কৌতুহলী শিশুর ভরসার
অবিরাম সব ছুতোয়।
আমি হয়তো রয়ে যাবো-
কালবৈশাখীর ঝড়ে নৃত্যরত নারকেলের পাতায়,
এক দৌড়ে স্বপ্নে পৌঁছাতে চাওয়া কেউ
কিংবা অবাক সভ্যতায় আহত কারো
ক্ষমাহীন চোখের তারায়।
আমি হয়তো রয়ে যাবো-
বাতাসে ভেসে বেড়ানো অতিব্যবহৃত
গতানুগতিক সব অনুভুতিতে,
পাতাকুড়ানি মেয়ের সলাজ স্বপ্নে-
রেললাইনে হতাশ তরুনের মহাযাত্ত্রায়।
আমি হয়তো রয়ে যাবো-
না’থাকাদের দলে, ঈশ্বরের ভুলে
আমার ঘামের গন্ধ নিয়ে আসবে নতুন ছেলে,
ঈশ্বরের ভুলে-অবাক কৌতুহলে
দুর্বা ঘাসের কোলে, অনাঘ্রাতা ফুলে।।