লিখেছেন পেন্সিল, ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩১
এক চুমুকে বুশমিলের পুরোটুকু শেষ করে দৌড়াতে দৌড়াতে প্লেনে উঠতে গিয়ে দেখি ফ্লাইট অনাকাংখিত কারনে বিলম্ব। মেজাজ চরম বিগড়ে গেলো। মনে মনে অল্প কয়েকটা শ্লীল এবং অনেক গুলো অশ্লীল গালি দিলাম এয়ারলাইন্সকে। যাইহোক একটু পরে প্লেনে উঠে জানালার পাশে বসে গেলাম। প্লেনে উঠলেই আমার কেমন জানি একা লাগতে থাকে। ইচ্ছা... বাকিটুকু পড়ুন
মাথার উপরে বেশ বড়সড় একটা সূর্য নিয়ে আমি হেঁটে যাচ্ছিলাম। কাঁধে শান্তি নিকেতনি স্টাইলে একটা ঝোলা। ঝোলার ভেতরে খুটিনাটি অনেক কিছু। পাশে বয়ে যাচ্ছে লিভারপুলের মার্সি নদী। মাঝে মাঝে দমকা হাওয়ায় টুপিটা উড়ে যেতে চাচ্ছে। হাঁটতে হাঁটতে বেশ ক্লান্ত লাগছিল। আসলে সারাদিনে প্রচুর হেঁটেছি। লিভারপুল গিয়েছিলাম পিকাসোর চিত্র প্রদর্শনী দেখতে।... বাকিটুকু পড়ুন
হঠাৎ করে লিখতে ইচ্ছে হল। অন্যসময় অনেক ভেবেচিন্তে লিখতে বসি। কি নিয়ে লিখব ঠিক করা থাকে। আজকে তেমন কিছু নেই। যেন লেখার জন্যেই লেখা। যেমন অনেকটা বেঁচে থাকার জন্যেই বেঁচে থাকা। সামনে ফাইনাল পরীক্ষা। যেন এইতো আর কিছুদূর। কিন্তু আসলেই কি তাই?
আসলেই কি গন্তব্য বলে কিছু আছে? অন্তত: আমার... বাকিটুকু পড়ুন
এই শহরে আমি আসার পরে প্রথম যেদিন তুষারপাত হয়েছিল সেদিনই আমি প্রথম ওদের বাসায় গিয়েছিলাম। তাই তুষারপাতের সাথে ওর নামটাও বেশ ভালোভাবেই জড়িয়ে আছে। সেদিন ঘুম থেকে উঠে জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি বাইরেটা সাদা হয়ে আছে। অদ্ভুত সুন্দর সেই দৃশ্য। গরমের দেশের মানুষের কাছে জীবনের প্রথম তুষারপাত একটুতো স্মরনীয়... বাকিটুকু পড়ুন
প্রতি রোববারের মতো আরেকটা রোববার এলো। আমি একটু বেলা করে ঘুম থেকে উঠলাম। উঠেই সুমনের 'রোববার' গানটা ছেড়ে দিলাম ল্যাপটপে। এখন কি করব বুঝতে পারছিনা। নাস্তা করা দরকার। কিন্তু নাস্তা বানাতেও ইচ্ছা করছেনা। খেতে ইচ্ছা করছে পরোটা আর ডিম পোচ।
গতরাত থেকে একটু মেজাজ খারাপ। লন্ডনে আসা এক যাত্রীর কাছে ঢাকা... বাকিটুকু পড়ুন
বেশ অনেক দিন কিছু লেখা হয়না। সেদিন রাতে অবশ্য খুব লিখতে ইচ্ছা হচ্ছিল। শহরে একটু আগেই হালকা বৃষ্টি হয়ে গেল। ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছিল। কিন্তু কেমন জানি সব কিছু শান্ত করে দিল খবরটা। প্রেমিকার এনগেজমেন্ট অসাধারন কোন ব্যাপার না। পৃথিবীতে প্রতিদিন কত শত সম্পর্ক ভেঙ্গে যাচ্ছে, কতজন ভুলে যাচ্ছে কতজনের কথা।... বাকিটুকু পড়ুন
বসেছিলাম গ্লাসগোর একটা পুরনো বারে। রাত বেশী হয়নি। একটু পড়েই আমার বাস ছাড়বে লন্ডনের পথে। লম্বা জার্নি। তাই একটু গলা ভেজানো। অবশ্য স্কটল্যান্ডে এসে স্কটিশ হুইস্কি না টেস্ট করলে কি আর চলে? ট্যাক্সি ড্রাইভার অ্যালান বারবার করে বলে দিয়েছে বেশী ড্রিংক না করতে। স্কটিশ ইংরেজিটা অনেকটাই আলাদা। তারপরেও এটুকু... বাকিটুকু পড়ুন
এখন রাত প্রায় বারোটা। জোছনা ঝলসানো একটা রাত। চাঁদের দিকে বেশীক্ষণ তাকিয়ে থাকা যাচ্ছে না। কেমন জানি ঘোর লাগা একটা অনুভূতি। গিয়েছিলাম অক্সফোর্ডে। ফিরতি ট্রেনে পুরোটা সময় চাঁদটা আমার সংগেই ছিল। ট্রেনের জানালায় চাঁদ কিন্তু অদ্ভুত সুন্দর। এখানকার ট্রেনগুলো কেমন জানি নিঃশব্দ। পু ঝিক ঝিক শব্দ নেই। কেমন জানি অনুভূতিহীন।... বাকিটুকু পড়ুন
ঢাকা থেকে এসেছি বেশ অনেক দিন হয়ে গেল। ফেলে আসা ঘরটার কথা খুব মনে পড়ছে। মাঝরাতে ঠান্ডা পানি খাওয়ার ফ্রিজটা,কালো টেবিল ঘড়িটা,হাতল ভাঙা আলমারিটা...সব কিছু। হয়তো ঘড়িটার ব্যাটারি শেষ হয়ে গেছে। জানতে ইচ্ছা করছে কাঁটাগুলো কোথায় থেমে আছে।
সেদিন সন্ধ্যায় কাজ শেষ করে ফোর্কলিফটারটার উপর বসে ছিলাম। মাথার উপর প্রায়ান্ধকার এক... বাকিটুকু পড়ুন
অনেক দিন পর লিখছি। গত কয়েক মাস পরীক্ষা আর পড়াশোনার চাপে রাতগুলো অতীতচারী হতে পারেনি। তাহলে কি সব কান্না শুধু অতীতের জন্যই? কি জানি! ইদানিং আর মাঝরাতে কান্না পায় না। এখনতো প্রায় রাত তিনটা। জানালায় ওয়াল মেটের মত রাতের আকাশ ঝুলে আছে। পরীক্ষা শেষ হয়েছে কয়েকদিন হলো। ব্যাস্ততা নেই বললেই... বাকিটুকু পড়ুন
সেদিন আমরা তিন বন্ধু মিলে গেলাম লং ড্রাইভে। ফেরার সময় গাড়িতে চলছিল বৃষ্টি বিষয়ক কিছু পুরনো গান। হঠাৎ একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম যে কেউই আমরা কথা বলছিনা। গোঁধুলির সিঁদুর আকাশকে পেছনে ফেলে যখন আমরা ব্যস্ত শহরের পথে রওনা দিয়েছি তখন থেকেই এই অদ্ভুত নৈঃশব্দ্য। এক সময় যন্ত্র নগরীর যন্ত্রনাকর শব্দে... বাকিটুকু পড়ুন
মাঝে মাঝে চারপাশের মানুষ গুলোকে গাছ মনে হয়। এই কোলাহলময় শহরটাকে মনেহয় গহীন অরণ্য। যে অরণ্যে আমি যেন হারিয়েছি পথ। এখানে পাখির কূজন নেই,আছে যন্ত্রের কিচির মিচির। এখানে কেউ বটগাছের মত ব্যস্ত। কেউ সারি বাঁধা খেজুর গাছ। কেউ জারুল, তমাল কিংবা হিজল। কেউ সৈকতের ঝাউবন, কেউবা হাওয়ায় দোলা শালবন। কেউ... বাকিটুকু পড়ুন
অনেকদিন পর আজ লিখতে বসেছি। অনেকক্ষণ পেন্সিল হাতে বসেছিলাম। কিছুই মনে আসছে না। আমার এই ঘরটা আসলে বেশ ছোট। ছোট ঘরে ছোট একটা জানালা। সদ্য শেষ হওয়া পূর্ণিমার পর ক্ষয়ে যাচ্ছে চাঁদ। সামনের রাস্তায় নিশাচর গাড়িগুলোকে কদাচিৎ চোখে পড়ে। রাস্তার ওপাশের উঁচু উচুঁ ফ্ল্যাট গুলো যেন আকাশকে ঢেকে দিতে চায়।... বাকিটুকু পড়ুন