তোমার প্রতিটা শব্দেরই আলাদা একেকটি রূপ আছে
ইস ! শব্দটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে স্মিত হাসি মুখে চোখগুলো
ছোট হয়ে যাওয়া তোমার মুখখানি ।
আবার যখন অবহেলা করে “ইচ্ছা” কথাটা বল তখন তোমাকে কুচো চিংড়ি
মাছওয়ালার মতো মনে হয় “নিলে নিবেন না নিলে ফুটেন” ।
শোন মেয়ে, আমার যে আর কোথাও যাবার উপায় নেই,
তোমার কাজল টানা চোখে আমার জমানো স্বপ্নগুলো আটকে গেছে ।
এখন তুমি আমায় ভালোবাসো অথবা নাই বাসো
স্বপ্ন দেখার জন্য তোমাকে ভীষণ প্রয়োজন ।
তোমার মনে পড়ে, আহসান মঞ্জিলের খোলা ব্যালকনির নিচে
দাড়িয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলাম ?
শুধু একবার ভালোবেসে দেখ, মাননীয় সরকার মহোদয়ের কাছ থেকে
ভরা জ্যোৎস্নার কোন এক রাতের জন্য আহসান মঞ্জিল লিজ নিয়ে নেব ।
সেদিন তুমি একরঙা চিকন পাড়ের শাড়ির সাথে দু’হাত ভরে কাঁচের চুড়ি পড়ো ।
আমার নজর লাগা থেকে তোমার চোখদুটো বাঁচাতে মোটা কাজলের রেখায়
আলপনা আঁকতে ভুলে যেওনা ।
অতঃপর আহসান মঞ্জিলের ব্যালকনিতে টেবিলে মুখোমুখি চায়ের কাপ হাতে নিয়ে
জ্যোৎস্নার আলোতে সারারাত গল্প করবো ।
তুমি হয়তো কথার খেই হারিয়ে জ্যোৎস্নার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবে,
আমি সব সময়ের মত তৃষ্ণার্ত নয়ন হয়ে তোমাকেই দেখবো ।
আমি জানি তুমি চোখে চোখ রাখতে পারো না, একবার ভালোবেসে দেখো কিভাবে
চোখে চোখ রেখে সময়ের স্রোতে হারাতে হয় শিখে নিবে ।
বেশ হাসি পাচ্ছে, অবাক হচ্ছ তো !
স্বয়ং নবাব সলিমুল্লাহ সাহেব কোন পূর্ণিমার রাতে তার স্ত্রীর সৌন্দর্যে এভাবে
মেতে উঠেছিলেন কিনা জানি না,
অথচ আজ এতোগুলো বছর পর তারই প্রাসাদ নিয়ে কোন এক যুবক
তার প্রিয়তমাকে নিয়ে স্বপ্ন সাজাতে বিভোর !
হুহ ! আমিই বা কম কিসে !
যার হৃদয় সিংহাসনে তোমার মতো প্রেয়সী জায়গা জুড়ে থাকে
সেও তো রাজা – বাদশাহ’ই বটে !
পদ্মা পাড়ের মেয়ে, আর কতটা ভালবাসলে তোমার হৃদয় জয় করা যায়,
পরিসংখ্যানটা জানলে বড্ড ভালো হতো...
(০৬/১১/২০১৪)
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:০৪