২০০৮ সালে যখন এস.এস.সি পরীক্ষা দেই প্রথম পরীক্ষা ছিল ইংলিশ ১ম পত্র । ছাত্র হিসেবে মাঝারি মানের ছিলাম । সারাদিন না খেয়ে ঘুরলাম প্রশ্নের জন্য । সবার এক কথা রাত্রে পাওয়া যাবে । রাত্রে একটার পর একটা ফোন । অমুক তমুক এর কাছ থেকে প্রশ্ন প্রায় ১০/১২ সেট জমল । অবশ্য পরীক্ষায় এর কিছুই আসে নাই
গনভাবে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি গত বছর পর্যন্ত ছিল না । অথচ এই বছর পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি, ইন্টার সহ প্রায় সব পরীক্ষার প্রশ্ন ই ফাঁস হল । ফেসবুক পেজ থেকে শুরু করে ফটোকপির দোকানে ও প্রশ্ন পাওয়া যায় । সত্যিই, ডিজিটাল বাংলাদেশ ! পঞ্চম শ্রেণী অথবা অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া একজন ছাত্র যখন আগের রাতে প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দেয় ভবিষ্যতে অবশ্যই এ বিষয়টি নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে ।
এস.এস.সি পরীক্ষায় এবার পাসের হার এবং জিপিএ ৫+ এর রেকর্ড আগের সব রেকর্ড কে ছাড়িয়েছে । প্রায় প্রতি ১০ জনে একজন A+ ! যারা সারা বছর খেটে খুটে ভালো রেজাল্ট করেছ তাদের সবার প্রতি অনেক অনেক শুভ কামনা রইল ।
এস.এস.সি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ সহ পাসের রেকর্ড এবং বর্তমান সরকারের ঝুলিতে আরেকটি সাফল্য । প্রধানমন্ত্রী কে আন্তরিক অভিনন্দন শুধু আপনার কাছে জানতে ইচ্ছে করে, এস.এস.সি পরীক্ষার্থী প্রতি ১০ জনে একজন যারা জিপিএ ৫ পেয়েছে ভবিষ্যতে অন্তত তাদের চাকরির দায়িত্ব আপনি নিচ্ছেন তো...
আর শিক্ষা মন্ত্রী ! তিনি তো এ বছর নোবেল কমিটি থেকে তার কৃতিত্তের জন্য নোবেল পাওয়ার যোগ্য । অবশ্য কোন ক্যাটাগরিতে পাবেন সেটাই বিষয় । আগামী বছর ও মন্ত্রি পদে থাকলে হয়ত যারা পরীক্ষার হলে উপস্তিত হবে তাদের সবাইকে জিপিএ ৫ আর যারা একটু ভালো করবে তারা গোল্ড, ডায়মন্ড, প্লাটিনাম A+ !
হায়রে ডিজিটাল দেশ... ডিজিটাল শিক্ষা ভবিষ্যৎ...!!!